হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী পন্ডিত বিরজু মহারাজ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাড়িতেই ছিলেন বিরজু মহারাজ। নাতিদের সঙ্গে খেলছিলেন তিনি। আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবকিছু শেষ। সম্প্রতি তার কিডনির অসুখ ধরা পড়েছিল। ডায়ালিসিসও চলছিল বলে জানা গেছে।
লখনৌয়ের বিখ্যাত ‘মহারাজা’ ঘরানায় জন্ম বিরজু মহারাজের। তাঁর জন্ম ১৯৩৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ে। জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল ব্রিজমোহন নাথ মিশ্র। সাত পুরুষ ধরে তাদের পরিবারে কত্থক নাচের চর্চা চলছে। তার দুই চাচা শম্ভু মহারাজ এবং লচ্ছু মহারাজ ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী। বাবা অচ্চন মহারাজই ছিলেন বিরজুর গুরু। বাবা অচ্চন মহারাজের কাছেই প্রথম তালিম শুরু বিরজু মহারাজের। পরে কাকা লচ্ছু মহারাজ ও শম্ভু মহারাজের কাছে নাচ শেখেন। শুধু নাচ নয় কণ্ঠসংগীতেও পারদর্শী ছিলেন বিরজু মহারাজ। ভালো তবলাও বাজাতেন। বাজাতেন পাখোয়াজ, সরোদ, সেতার, বাঁশি ও বেহালা।
১৯৫২ সালে কলকাতার একটি মঞ্চে জীবনের প্রথম পারফর্ম করেন। তখন থেকেই কলকাতার সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল বিরজুর। এরপর চাচাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। ধীরে ধীরে মেলে ধরেছেন নিজেকে। দেশ-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। রয়েছে প্রচুর ছাত্রছাত্রী।
শাস্ত্রীয় সংগীতের একাধিক ধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিরজু মহারাজ। বহু ছবিতে কোরিওগ্রাফারের কাজও করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্তর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’র কোরিওগ্রাফি। ছবিতে দুটো গানের কোরিওগ্রাফি করেন। তার মধ্যে একটা ছিল ‘কানহা মে তোসে হারি’। গানটির সঙ্গে ছিল আমজাদ খানের অভিনয়। ‘বাজিরাও মাস্তানি’ চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৬ সালে ‘শ্রেষ্ঠ কোরিওগ্রাফার’ হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পেয়েছেন সংগীত ও নাটক আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড, কালিদাস সম্মাননা, নৃত্যচূড়ামণি পুরস্কারসহ আরও অসংখ্য পদক ও পুরস্কার।
বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল এই নৃত্যসাধকের। অনেক প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী সরাসরি এই নৃত্যগুরুর শিষ্য ছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী শিবলী মুহম্মদ, মুনমুন আহমেদ; এমনকি বলিউডের অনেক নামকরা অভিনেত্রীও এই নৃত্যগুরু কাছে তালিম নিয়েছেন।
বিরজু মহারাজ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরেও এসেছিলেন বাংলাদেশে, ছায়ানটে কত্থক নৃত্য উৎসবের মঞ্চে শুনিয়েছিলেন নিজের কর্মময় জীবনের গল্প, নাচ নিয়ে একান্ত ভাবনার কথা।
সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী পন্ডিত বিরজু মহারাজ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাড়িতেই ছিলেন বিরজু মহারাজ। নাতিদের সঙ্গে খেলছিলেন তিনি। আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবকিছু শেষ। সম্প্রতি তার কিডনির অসুখ ধরা পড়েছিল। ডায়ালিসিসও চলছিল বলে জানা গেছে।
লখনৌয়ের বিখ্যাত ‘মহারাজা’ ঘরানায় জন্ম বিরজু মহারাজের। তাঁর জন্ম ১৯৩৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ে। জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল ব্রিজমোহন নাথ মিশ্র। সাত পুরুষ ধরে তাদের পরিবারে কত্থক নাচের চর্চা চলছে। তার দুই চাচা শম্ভু মহারাজ এবং লচ্ছু মহারাজ ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী। বাবা অচ্চন মহারাজই ছিলেন বিরজুর গুরু। বাবা অচ্চন মহারাজের কাছেই প্রথম তালিম শুরু বিরজু মহারাজের। পরে কাকা লচ্ছু মহারাজ ও শম্ভু মহারাজের কাছে নাচ শেখেন। শুধু নাচ নয় কণ্ঠসংগীতেও পারদর্শী ছিলেন বিরজু মহারাজ। ভালো তবলাও বাজাতেন। বাজাতেন পাখোয়াজ, সরোদ, সেতার, বাঁশি ও বেহালা।
১৯৫২ সালে কলকাতার একটি মঞ্চে জীবনের প্রথম পারফর্ম করেন। তখন থেকেই কলকাতার সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল বিরজুর। এরপর চাচাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। ধীরে ধীরে মেলে ধরেছেন নিজেকে। দেশ-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। রয়েছে প্রচুর ছাত্রছাত্রী।
শাস্ত্রীয় সংগীতের একাধিক ধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিরজু মহারাজ। বহু ছবিতে কোরিওগ্রাফারের কাজও করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্তর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’র কোরিওগ্রাফি। ছবিতে দুটো গানের কোরিওগ্রাফি করেন। তার মধ্যে একটা ছিল ‘কানহা মে তোসে হারি’। গানটির সঙ্গে ছিল আমজাদ খানের অভিনয়। ‘বাজিরাও মাস্তানি’ চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৬ সালে ‘শ্রেষ্ঠ কোরিওগ্রাফার’ হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পেয়েছেন সংগীত ও নাটক আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড, কালিদাস সম্মাননা, নৃত্যচূড়ামণি পুরস্কারসহ আরও অসংখ্য পদক ও পুরস্কার।
বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল এই নৃত্যসাধকের। অনেক প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী সরাসরি এই নৃত্যগুরুর শিষ্য ছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী শিবলী মুহম্মদ, মুনমুন আহমেদ; এমনকি বলিউডের অনেক নামকরা অভিনেত্রীও এই নৃত্যগুরু কাছে তালিম নিয়েছেন।
বিরজু মহারাজ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরেও এসেছিলেন বাংলাদেশে, ছায়ানটে কত্থক নৃত্য উৎসবের মঞ্চে শুনিয়েছিলেন নিজের কর্মময় জীবনের গল্প, নাচ নিয়ে একান্ত ভাবনার কথা।