দেশ ও দেশের বাইরে ‘হাওয়া’ সিনেমার হাওয়ায় দুলছে সিনেমাপ্রেমী মানুষেরা। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই যেন সাফল্যের হাওয়ায় ভাসছে নিভে যাওয়া বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। ‘হাওয়া’ মুক্তির পর সিনেমাটি দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। উত্তর আমেরিকার শতাধিক সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ মুক্তির চার দিনের মাথায় আড়াই লাখ ডলার আয় করার খবর আসে।
গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্পের ‘হাওয়া’ সিনেমা এবার একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে (অস্কার) যাচ্ছে। ৯৫তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে ‘বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম’ বিভাগে বাংলাদেশ থেকে লড়াই করতে যাচ্ছে সিনেমাটি।
২০২৩ সালের ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ৯৫তম অস্কারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। এর আয়োজনে থাকছে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে ২৪টি শাখায় দেয়া হবে পুরস্কার।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং স্বয়ং মেজবাউর রহমান সুমন।
গভীর সমুদ্রে একদল জেলে মাছ ধরতে গিয়ে নানা রহস্যময় ঘটনার মুখোমুখি হন। কখনও উত্তাল সমুদ্রে, কখনও মানুষের আচরণে মাছধরা নৌকাটি হয়ে ওঠে সমুদ্রের চেয়েও ভয়ংকর। আর রহস্যময় এক নারীকে নিয়ে ঘটতে থাকে নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এর মাঝেই আছে টুইস্ট। যা দর্শকদের টেনে নিয়ে যায় গল্পের শেষ অবধি।
তবে ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়। ‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখার দৃশ্যায়নের অভিযোগ ওঠে পরিচালকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ এনেছিলেন বাংলাদেশের বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন শাখা। বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্ল্যা পাটোয়ারী সেসময় জানিয়েছিলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ৩৮, ৪১ ও ৪৬ ধারা অনুসারে পাখি আটকে রাখার দৃশ্যায়ন একটি অপরাধ।
‘হাওয়া’ সিনেমায় পাখি আটকে রাখার দৃশ্যটি নিয়ে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল। তাঁদের সেই দাবি মেনে দৃশ্যটি বাদও দেওয়া হয়েছিল।
তবে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মামলার পথ থেকে সরে আসার উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ।
শুধু তাই নয়, এই ছবিটি একটি কোরিয়ান ছবির নকল বলেও দাবি তুলেছিলেন অনেকে। তবে সেই দাবি খারিজ করে দেন পরিচালক।
অস্কারে বিদেশি ভাষার বিভাগে মনোনয়নের জন্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আহ্বান করা হলে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ও সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত ‘হাওয়া’ এবং মুহাম্মদ কাইয়ুম পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমা দুটি জমা পড়ে।
গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের কার্যালয়ে সিনেমা দুটি দেখার পর ‘হাওয়া’ সিনেমাটিকে চূড়ান্ত করে ৯৫তম অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি ও অস্কার কমিটির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান, চলচ্চিত্র সমালোচক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালক শামীম আখতার, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু এবং চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত।
‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, মাহমুদ আলম, বাবলু বোসসহ আরও অনেকে।
রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশ ও দেশের বাইরে ‘হাওয়া’ সিনেমার হাওয়ায় দুলছে সিনেমাপ্রেমী মানুষেরা। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই যেন সাফল্যের হাওয়ায় ভাসছে নিভে যাওয়া বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। ‘হাওয়া’ মুক্তির পর সিনেমাটি দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। উত্তর আমেরিকার শতাধিক সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ মুক্তির চার দিনের মাথায় আড়াই লাখ ডলার আয় করার খবর আসে।
গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্পের ‘হাওয়া’ সিনেমা এবার একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে (অস্কার) যাচ্ছে। ৯৫তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে ‘বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম’ বিভাগে বাংলাদেশ থেকে লড়াই করতে যাচ্ছে সিনেমাটি।
২০২৩ সালের ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ৯৫তম অস্কারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। এর আয়োজনে থাকছে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে ২৪টি শাখায় দেয়া হবে পুরস্কার।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং স্বয়ং মেজবাউর রহমান সুমন।
গভীর সমুদ্রে একদল জেলে মাছ ধরতে গিয়ে নানা রহস্যময় ঘটনার মুখোমুখি হন। কখনও উত্তাল সমুদ্রে, কখনও মানুষের আচরণে মাছধরা নৌকাটি হয়ে ওঠে সমুদ্রের চেয়েও ভয়ংকর। আর রহস্যময় এক নারীকে নিয়ে ঘটতে থাকে নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এর মাঝেই আছে টুইস্ট। যা দর্শকদের টেনে নিয়ে যায় গল্পের শেষ অবধি।
তবে ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়। ‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখার দৃশ্যায়নের অভিযোগ ওঠে পরিচালকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ এনেছিলেন বাংলাদেশের বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন শাখা। বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্ল্যা পাটোয়ারী সেসময় জানিয়েছিলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ৩৮, ৪১ ও ৪৬ ধারা অনুসারে পাখি আটকে রাখার দৃশ্যায়ন একটি অপরাধ।
‘হাওয়া’ সিনেমায় পাখি আটকে রাখার দৃশ্যটি নিয়ে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল। তাঁদের সেই দাবি মেনে দৃশ্যটি বাদও দেওয়া হয়েছিল।
তবে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মামলার পথ থেকে সরে আসার উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ।
শুধু তাই নয়, এই ছবিটি একটি কোরিয়ান ছবির নকল বলেও দাবি তুলেছিলেন অনেকে। তবে সেই দাবি খারিজ করে দেন পরিচালক।
অস্কারে বিদেশি ভাষার বিভাগে মনোনয়নের জন্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আহ্বান করা হলে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ও সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত ‘হাওয়া’ এবং মুহাম্মদ কাইয়ুম পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমা দুটি জমা পড়ে।
গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের কার্যালয়ে সিনেমা দুটি দেখার পর ‘হাওয়া’ সিনেমাটিকে চূড়ান্ত করে ৯৫তম অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি ও অস্কার কমিটির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান, চলচ্চিত্র সমালোচক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালক শামীম আখতার, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু এবং চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত।
‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, মাহমুদ আলম, বাবলু বোসসহ আরও অনেকে।