এই প্রথম কলকাতার নন্দনে ভিড় সামলাতে পারছেনা পুলিশ। কারণ সেখানে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ চলছে। ঢালিউডের ‘হাওয়া ’ প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশের পাঁচ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। কলকাতার অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নন্দনে উৎসবের প্রথম দিন থেকেই ‘হাওয়া’য় ভাসছে কলকাতা। বাংলাদেশের ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’ ছায়াছবির প্রায় তিন দশকের বেশী সময় পর ফের কলকাতায় দর্শকদের মনযোগ কেড়েছে ‘হাওয়া’ ছায়াছবিটি। গত চারদিন কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে তিন বেলাই দর্শকের ঢল বিন্দুমাত্র কমেনি। বাংলা সিনেমা পাগল বাঙ্গালি দর্শকদের আকর্ষণ ও উপচেপড়া এই ভিড় বানিজ্যিকভাবে ‘হাওয়া’কে এক দমকায় পৌছে দিয়েছে জনপ্রিয়তার শিখরে।
শুধুই কি ‘হাওয়া’? বাংলাদেশের সবকটি ছায়ছবি দেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এমন আগ্রহ আর ভিড় গত তিন দশকে দেখা যায়নি- এমন কথা বলেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দেবজ্যেতি চন্দ।
‘হাওয়া’ নতুন স্বাদের গল্প, তাই এই উপচে পড়া ভিড়ের কারণে দর্শকদের অনুরোধে কর্তৃপক্ষ এই চলচ্চিত্ত্র উৎসবের নির্ধারিত পাঁচদিনের মধ্যেই স্পেশাল তিনটি প্রদর্শনীন ‘হাওয়া’র জন্য বাড়ানো হয়েছে। দিন বাড়ানো হয়নি, চতুর্থ দিন সোমবারও বিনামূল্যে প্রদর্শনীর সময় দর্শকদের একটি বড় অংশ অডিটোরিয়ামের মেঝেতে ঠাসাঠাসি করে বসে সিনেমাটি দেখেছেন। এর আগে হলে ঢোকার জন্য প্রায় আধা কিলোমিটারেরও বেশী বিস্তৃত লাইনে দাড়িয়ে হলে ঢোকার জন্য দশর্কদের প্রতিযোগিতা চলে।
অনেককেই এত ভিড়ের কারণে শো না দেখে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। ফিরে যাওয়া এমনই দুজন বালিগঞ্জে সমির পাল ও দমদমের স্বপন মন্ডল সংবাদকে জানায়, চারদিন চেষ্টা করেও আমরা বাংলাদেশের হাওয়া ও বিউটি সার্কাস সিনেমা দুটি দেখতে পারলামনা। উৎসব আয়োজক বাংলাদেশের উচিৎ ছিল পশ্চিম বাংলার বেশীর ভাগ সিনেমা হল ভাড়া নিয়ে অন্তত জনপ্রিয় ছবিগুলো দেখার সুযোগ দেয়া। তারা বলেছেন, নন্দনেওতো প্রচুর টাকা ভাড়া দিয়ে উৎসবটি করতে হয়েছে।
‘হাওয়া’ দেখতে না পেয়ে মধ্য কলকাতার শোভন চক্রবর্তী জানান, আমার ভাগ্যে বাংলাদেশের একটা ছবিও দেখা হলোনা। আজ হাওয়া দেখার বাসনা নিয়ে এসছিলাম কিন্তু এমন দর্শকের চাপ ছিল যেন আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তবে তার এ ব্যাপারে কোন আপসোস নেই, কেননা যারা এই উৎসবের আয়োজন করেছেন সেই বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার নিজে্কেও ‘হাওয়া’ না দেখে চলে যেতে হয়েছে।
‘হাওয়া’ মেজবাউর রহমান সুমন রচিত ও পরিচালিত একটি বাংলাদেশী রহস্য-নাটক চলচ্চিত্র। ছবিটি প্রযোজনা করেছে এ ফেসকার্ড প্রোডাকশনস এবং সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড। ছবিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, সরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু প্রমুখ।
উৎসবের তৃতীয়দিন ‘হাওয়া’ চলাকালিন সেখানে উপস্থিত ছবির প্রধান চরিত্র বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী সংবাদ-কে বলেন, কলকাতায় প্রথম দিনই ব্য্যপক সাড়া জাগিয়েছে যা আমদের কল্পনার বাইরে ছিল। কলকাতার দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নন্দনে অনেকগুলো সিনেমা দেখানো হবে, তার মধ্যে আমি কিছু সিনেমা সাজেস্ট করছি, এই সিনেমাগুলো অবশ্যই সবাই দেখবেন। এগুলো অসাধারণ সিনেমা। পরে কিন্তু এই সিনেমা গুলো আর হয়তো খুজেই পাবেন না, সিনেমাগুলো হলো ‘নোনা জলের কাব্য’, ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’, ‘পরান’, ‘লাল মোরগের ঝুটি’ও ‘বিউটি সার্কাস’। এই সিনেমা ৫টি দেখে রিভিউ করুন, দেখবেন এগুলো অসাধারণ সিনেমা। তবে তিনি দুঃখ করে বলেন বাংলাদেশের ছবিগুলো পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতায় এত জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও কলকাতায় বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হতে পারছেনা । এই জন্য তিনি দুদেশের সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০২২
এই প্রথম কলকাতার নন্দনে ভিড় সামলাতে পারছেনা পুলিশ। কারণ সেখানে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ চলছে। ঢালিউডের ‘হাওয়া ’ প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশের পাঁচ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। কলকাতার অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নন্দনে উৎসবের প্রথম দিন থেকেই ‘হাওয়া’য় ভাসছে কলকাতা। বাংলাদেশের ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’ ছায়াছবির প্রায় তিন দশকের বেশী সময় পর ফের কলকাতায় দর্শকদের মনযোগ কেড়েছে ‘হাওয়া’ ছায়াছবিটি। গত চারদিন কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে তিন বেলাই দর্শকের ঢল বিন্দুমাত্র কমেনি। বাংলা সিনেমা পাগল বাঙ্গালি দর্শকদের আকর্ষণ ও উপচেপড়া এই ভিড় বানিজ্যিকভাবে ‘হাওয়া’কে এক দমকায় পৌছে দিয়েছে জনপ্রিয়তার শিখরে।
শুধুই কি ‘হাওয়া’? বাংলাদেশের সবকটি ছায়ছবি দেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এমন আগ্রহ আর ভিড় গত তিন দশকে দেখা যায়নি- এমন কথা বলেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দেবজ্যেতি চন্দ।
‘হাওয়া’ নতুন স্বাদের গল্প, তাই এই উপচে পড়া ভিড়ের কারণে দর্শকদের অনুরোধে কর্তৃপক্ষ এই চলচ্চিত্ত্র উৎসবের নির্ধারিত পাঁচদিনের মধ্যেই স্পেশাল তিনটি প্রদর্শনীন ‘হাওয়া’র জন্য বাড়ানো হয়েছে। দিন বাড়ানো হয়নি, চতুর্থ দিন সোমবারও বিনামূল্যে প্রদর্শনীর সময় দর্শকদের একটি বড় অংশ অডিটোরিয়ামের মেঝেতে ঠাসাঠাসি করে বসে সিনেমাটি দেখেছেন। এর আগে হলে ঢোকার জন্য প্রায় আধা কিলোমিটারেরও বেশী বিস্তৃত লাইনে দাড়িয়ে হলে ঢোকার জন্য দশর্কদের প্রতিযোগিতা চলে।
অনেককেই এত ভিড়ের কারণে শো না দেখে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। ফিরে যাওয়া এমনই দুজন বালিগঞ্জে সমির পাল ও দমদমের স্বপন মন্ডল সংবাদকে জানায়, চারদিন চেষ্টা করেও আমরা বাংলাদেশের হাওয়া ও বিউটি সার্কাস সিনেমা দুটি দেখতে পারলামনা। উৎসব আয়োজক বাংলাদেশের উচিৎ ছিল পশ্চিম বাংলার বেশীর ভাগ সিনেমা হল ভাড়া নিয়ে অন্তত জনপ্রিয় ছবিগুলো দেখার সুযোগ দেয়া। তারা বলেছেন, নন্দনেওতো প্রচুর টাকা ভাড়া দিয়ে উৎসবটি করতে হয়েছে।
‘হাওয়া’ দেখতে না পেয়ে মধ্য কলকাতার শোভন চক্রবর্তী জানান, আমার ভাগ্যে বাংলাদেশের একটা ছবিও দেখা হলোনা। আজ হাওয়া দেখার বাসনা নিয়ে এসছিলাম কিন্তু এমন দর্শকের চাপ ছিল যেন আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তবে তার এ ব্যাপারে কোন আপসোস নেই, কেননা যারা এই উৎসবের আয়োজন করেছেন সেই বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার নিজে্কেও ‘হাওয়া’ না দেখে চলে যেতে হয়েছে।
‘হাওয়া’ মেজবাউর রহমান সুমন রচিত ও পরিচালিত একটি বাংলাদেশী রহস্য-নাটক চলচ্চিত্র। ছবিটি প্রযোজনা করেছে এ ফেসকার্ড প্রোডাকশনস এবং সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড। ছবিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, সরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু প্রমুখ।
উৎসবের তৃতীয়দিন ‘হাওয়া’ চলাকালিন সেখানে উপস্থিত ছবির প্রধান চরিত্র বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী সংবাদ-কে বলেন, কলকাতায় প্রথম দিনই ব্য্যপক সাড়া জাগিয়েছে যা আমদের কল্পনার বাইরে ছিল। কলকাতার দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নন্দনে অনেকগুলো সিনেমা দেখানো হবে, তার মধ্যে আমি কিছু সিনেমা সাজেস্ট করছি, এই সিনেমাগুলো অবশ্যই সবাই দেখবেন। এগুলো অসাধারণ সিনেমা। পরে কিন্তু এই সিনেমা গুলো আর হয়তো খুজেই পাবেন না, সিনেমাগুলো হলো ‘নোনা জলের কাব্য’, ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’, ‘পরান’, ‘লাল মোরগের ঝুটি’ও ‘বিউটি সার্কাস’। এই সিনেমা ৫টি দেখে রিভিউ করুন, দেখবেন এগুলো অসাধারণ সিনেমা। তবে তিনি দুঃখ করে বলেন বাংলাদেশের ছবিগুলো পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতায় এত জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও কলকাতায় বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হতে পারছেনা । এই জন্য তিনি দুদেশের সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান।