যুক্তরাষ্ট্রের আপস্টেট নিউ ইয়র্কে বেড়াতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে প্রাণ হারালেন দুই বাংলাদেশি।
তাদের পরিবারের আরেকজন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। পানিতে না ডুবলেও ঘটনার আকস্মিকতায় সংজ্ঞা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরেকজন।
তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রস্থ কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা রুহুল আমীনের পরিবারের সদস্য। নিউ ইয়র্ক সিটির বেলরোজ থেকে তারা আপস্টেট নিউ ইয়র্কের বেথেল টাউনে সমুদ্র সংলগ্ন হোয়াইট লেকে গিয়েছিলেন বেড়াতে। রোববার সকালে সেখানেই এ বিপর্যয় ঘটে।
রুহুল আমীনের জামাতা আফরিদ হায়দার (৩৪) এবং ছোট ছেলে বাছির আমীন (১৮) লেকের পানিতে ডুবে মারা যান। রুহুল আমিনের ছোট মেয়ে নাসরিন আমীনকে (২১) পানি থেকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় স্থানীয় গারনেট হাসপাতালে।
নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ১২০ মাইল দূর সুলিভান কাউন্টি দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনজনের ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে তাদের ডুবুরিরা সেখানে যান। তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও আফরিদ ও বাছিরকে বাঁচানো যায়নি।
নাসরিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বরুড়া উপজেলা সমিতির সেক্রেটারি বদরুল হক আজাদ।
তিনি বলেন, “লেকের ধারে একটি বাসা ভাড়া করেছিলেন আফরিদ। স্ত্রী নাঈমা, শ্যালিকা, শ্যালকসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ২৭ অগাস্ট ওই বাসায় ওঠেন তারা। রোববার সকালে নাস্তা করে তিনজন নামেন লেকে। ঘণ্টা দুই পর বাছির গভীর পানিতে ডুবে গেলে এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির অবতারণা হয়।”
বদরুল আজাদ জানান, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আফরিদ হায়দারের সাথে বিয়ে হয় নাঈমার। পানিতে নামেননি বলে বেঁচে গেলেও ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি সংজ্ঞা ফারিয়ে ফেলেন। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আফরিদ ছিলেন নিউ ইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ার বাসিন্দা আরজু হায়দার দম্পতির একমাত্র ছেলে। তাকে হারিয়ে গভীর শোকে কাতর তার পরিবার।
ওই লেকের ধারের এক বাসিন্দা এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনিই টহল পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, প্রথমে এক তরুণ (বাছির) পানিতে ডুবে গেলে আরেকজন (আফরিদ) তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। কিন্তু তিনিও ডুবতে শুরু করলে তাদের সঙ্গী তরুণী (নাসরিন) পানিতে ডুব দেন দুজনকে বাঁচাতে।
ফোন পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা পৌঁছান হোয়াইট লেক এবং কোনিউগা লেক এলাকা থেকে। তারা তিনজনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সময় লেকের উপরিভাগের পানি কিছুটা উষ্ণ থাকলেও গভীরে খুবই ঠাণ্ডা থাকে। ওই ঠাণ্ডা পানির সংস্পর্শে এলে শরীর অবশ হয়ে যায়, ফলে তীরে ফেরা কঠিন হয়ে পড়ে। লেকের এ চরিত্রের কথা হয়ত ওই পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।
বদরুল আজাদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে বাছির ও আফরিদের জানাজা হবে। তাদের দাফন করা হবে লং আইল্যান্ডে ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম গোরস্থানে।
মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের আপস্টেট নিউ ইয়র্কে বেড়াতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে প্রাণ হারালেন দুই বাংলাদেশি।
তাদের পরিবারের আরেকজন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। পানিতে না ডুবলেও ঘটনার আকস্মিকতায় সংজ্ঞা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরেকজন।
তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রস্থ কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা রুহুল আমীনের পরিবারের সদস্য। নিউ ইয়র্ক সিটির বেলরোজ থেকে তারা আপস্টেট নিউ ইয়র্কের বেথেল টাউনে সমুদ্র সংলগ্ন হোয়াইট লেকে গিয়েছিলেন বেড়াতে। রোববার সকালে সেখানেই এ বিপর্যয় ঘটে।
রুহুল আমীনের জামাতা আফরিদ হায়দার (৩৪) এবং ছোট ছেলে বাছির আমীন (১৮) লেকের পানিতে ডুবে মারা যান। রুহুল আমিনের ছোট মেয়ে নাসরিন আমীনকে (২১) পানি থেকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় স্থানীয় গারনেট হাসপাতালে।
নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ১২০ মাইল দূর সুলিভান কাউন্টি দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনজনের ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে তাদের ডুবুরিরা সেখানে যান। তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও আফরিদ ও বাছিরকে বাঁচানো যায়নি।
নাসরিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বরুড়া উপজেলা সমিতির সেক্রেটারি বদরুল হক আজাদ।
তিনি বলেন, “লেকের ধারে একটি বাসা ভাড়া করেছিলেন আফরিদ। স্ত্রী নাঈমা, শ্যালিকা, শ্যালকসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ২৭ অগাস্ট ওই বাসায় ওঠেন তারা। রোববার সকালে নাস্তা করে তিনজন নামেন লেকে। ঘণ্টা দুই পর বাছির গভীর পানিতে ডুবে গেলে এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির অবতারণা হয়।”
বদরুল আজাদ জানান, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আফরিদ হায়দারের সাথে বিয়ে হয় নাঈমার। পানিতে নামেননি বলে বেঁচে গেলেও ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি সংজ্ঞা ফারিয়ে ফেলেন। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আফরিদ ছিলেন নিউ ইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ার বাসিন্দা আরজু হায়দার দম্পতির একমাত্র ছেলে। তাকে হারিয়ে গভীর শোকে কাতর তার পরিবার।
ওই লেকের ধারের এক বাসিন্দা এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনিই টহল পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, প্রথমে এক তরুণ (বাছির) পানিতে ডুবে গেলে আরেকজন (আফরিদ) তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। কিন্তু তিনিও ডুবতে শুরু করলে তাদের সঙ্গী তরুণী (নাসরিন) পানিতে ডুব দেন দুজনকে বাঁচাতে।
ফোন পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা পৌঁছান হোয়াইট লেক এবং কোনিউগা লেক এলাকা থেকে। তারা তিনজনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সময় লেকের উপরিভাগের পানি কিছুটা উষ্ণ থাকলেও গভীরে খুবই ঠাণ্ডা থাকে। ওই ঠাণ্ডা পানির সংস্পর্শে এলে শরীর অবশ হয়ে যায়, ফলে তীরে ফেরা কঠিন হয়ে পড়ে। লেকের এ চরিত্রের কথা হয়ত ওই পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।
বদরুল আজাদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে বাছির ও আফরিদের জানাজা হবে। তাদের দাফন করা হবে লং আইল্যান্ডে ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম গোরস্থানে।