দক্ষিণ আফ্রিকায় গভীর প্লাটিনাম খনিতে ওঠা-নামার কাজে ব্যবহৃত লিফ্ট ছিঁড়ে ৬ শত ৫৬ ফিট নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনা স্থলেই অন্তত ১১ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৭৫ জন । সোমবার দেশটির বৃহত্তম জনসংখ্যার শহর জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের রাস্টেনবার্গে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিশ্বের অন্যতম প্লাটিনাম উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান ইম্পালা প্লাটিনাম কোম্পানির খনিবিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, প্লাটিনাম খনির মালিকপক্ষ ইম্পালা প্লাটিনাম ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ঘটনার পর খনিটির সব ধরণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দিনটিকে কোম্পানিটির ইতিহাসের ‘সবচেয়ে কালো দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধান নির্বাহী নিকো মুলার।
খনি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিকদের খনির ভেতর থেকে উপরে তোলা এবং নিচে নামানোর কাছে ব্যবহৃত একটি লিফ্টের তারে কোনো একটি সমস্যার কারণে হঠাৎ করে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত নিচে পড়ে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্লাটিনাম, সোনা এবং অন্যান্য খনিজ দ্রব্য উৎপাদনকারী বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে বিশ্বের সচেয়ে গভীর খনিগুলোর কয়েকটি রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২২ সালে খনি দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়। তার আগের বছর মারা যায় ৭৪ জন।
এক বিবৃতিতে মুলার বলেন, “দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার ও সহকর্মীদের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদাণ করা হবে।
“অবিশ্বাস্য এই কঠিন সময়ে আমরা আমাদের আহত সহকর্মীদের কথাও মনে রেখেছি।”
ইম্পালা প্লাটিনাম কোম্পানির খনি থেকে উত্তোলিত প্লাটিনাম এই ক্রেনের মাধ্যমে প্রয়োজনমত স্থানান্তর করা হতো।আহতদের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। তাদের হাসাপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন কোম্পাটির মুখপাত্র জোহান থেরন। তিনি এ দুর্ঘটনাকে ‘খুবই অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেন। বলেন, সারা বিশ্বজুড়েই খনিতে এই ধরনের লিফ্ট ব্যবহার করা হয় এবং নিরাপত্তার জন্য এগুলোর সুনাম রয়েছে।
ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে ঠিক কি কারণে সোমবারের দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
দক্ষিণ আফ্রিকায় গভীর প্লাটিনাম খনিতে ওঠা-নামার কাজে ব্যবহৃত লিফ্ট ছিঁড়ে ৬ শত ৫৬ ফিট নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনা স্থলেই অন্তত ১১ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৭৫ জন । সোমবার দেশটির বৃহত্তম জনসংখ্যার শহর জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের রাস্টেনবার্গে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিশ্বের অন্যতম প্লাটিনাম উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান ইম্পালা প্লাটিনাম কোম্পানির খনিবিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, প্লাটিনাম খনির মালিকপক্ষ ইম্পালা প্লাটিনাম ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ঘটনার পর খনিটির সব ধরণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দিনটিকে কোম্পানিটির ইতিহাসের ‘সবচেয়ে কালো দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধান নির্বাহী নিকো মুলার।
খনি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিকদের খনির ভেতর থেকে উপরে তোলা এবং নিচে নামানোর কাছে ব্যবহৃত একটি লিফ্টের তারে কোনো একটি সমস্যার কারণে হঠাৎ করে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত নিচে পড়ে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্লাটিনাম, সোনা এবং অন্যান্য খনিজ দ্রব্য উৎপাদনকারী বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে বিশ্বের সচেয়ে গভীর খনিগুলোর কয়েকটি রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২২ সালে খনি দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়। তার আগের বছর মারা যায় ৭৪ জন।
এক বিবৃতিতে মুলার বলেন, “দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার ও সহকর্মীদের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদাণ করা হবে।
“অবিশ্বাস্য এই কঠিন সময়ে আমরা আমাদের আহত সহকর্মীদের কথাও মনে রেখেছি।”
ইম্পালা প্লাটিনাম কোম্পানির খনি থেকে উত্তোলিত প্লাটিনাম এই ক্রেনের মাধ্যমে প্রয়োজনমত স্থানান্তর করা হতো।আহতদের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। তাদের হাসাপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন কোম্পাটির মুখপাত্র জোহান থেরন। তিনি এ দুর্ঘটনাকে ‘খুবই অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেন। বলেন, সারা বিশ্বজুড়েই খনিতে এই ধরনের লিফ্ট ব্যবহার করা হয় এবং নিরাপত্তার জন্য এগুলোর সুনাম রয়েছে।
ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে ঠিক কি কারণে সোমবারের দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।