alt

আন্তর্জাতিক

বহু যুদ্ধ, হত্যার হোতা যুক্তরাষ্ট্রের কিসিঞ্জারের মৃত্যু

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

দুই প্রেসিডেন্টের প্রশাসনে আট বছর ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্নায়ুযুদ্ধের সময়। রাশিয়া ও তার বলয়ের বিরুদ্ধে যত নীতি ও কৌশল, সবগুলোরই প্রণয়ন ও প্রয়োগ তার নেতৃত্বে।

সেসময়েই তিনি ভিয়েতনামের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেন। নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কম্বোডিয়ার ওপর এক নাগাড়ে বোমা হামলা চালান চার বছর। প্রাণ হারায় অগণিত মানুষ।

তার নির্দেশেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে দেয়া হয়েছিল অবৈধ অস্ত্র, যা দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় বাঙালির ওপর।

১৯৭৩-এ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত চিলির আলেন্দে সরকারকে উৎখাতে সামরিক অভ্যুত্থান হয় তার মদদে। ১৯৭৫-এ পূর্ব তিমুরে আগ্রাসন চালাতে ইন্দোনেশিয়াকে লেলিয়ে দেন তিনিই। তার কাছ থেকে সাহস পেয়েই গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীলদের নিশ্চিহ্ন করতে ১৯৭৬-এ ‘ডার্টি ওয়ারের’ সূচনা করে আর্জেন্টিনার সামরিক একনায়ক।

সেসময় তার নীতির কারণেই আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে যায়। অ্যাঙ্গোলার কথা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য।

এভাবে হন্তারক যত রাষ্ট্রশক্তি ও সংঘাতে তিনি সমর্থন, সহায়তা, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা যুগিয়েছিলেন দায়িত্বের থাকার সময়, তাতে অযুতসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে। ততোধিক ঘটনা ঘটেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের।

ইতিহাসের সেই বিতর্কিত চরিত্র, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিতদের একজন, যাকে হাফিংটন পোস্ট উল্লেখ করেছে সেদেশের সবচেয়ে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে, সেই হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। বুধবার। কানেকটিকাটের নিজ বাড়িতে। ওইদিন সন্ধ্যায় তার নিজস্ব পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয় এ সংবাদ। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিশেষ কিছু জানায়নি তারা। ১০০ বছর বয়স পেয়েছেন। কিসিঞ্জার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের প্রশাসনে।

জীবদ্দশায় নিজের কোনো ভূমিকার জন্য কখনোই অনুশোচনা করেননি কিসিঞ্জার। আর সমালোচকদের বিষয়ে পরিহাসপরায়ণ একটা অভিব্যক্তি বজায় রাখতেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গণ্য হয়েছেন ওয়াশিংটনের রাজনীতিক মহলের অবিচ্ছেদ্য সভ্য হিসেবে।

২০১৬ সালে আর্জেন্টিনা সফরে গিয়ে প্রায় ক্ষমাপ্রার্থিতার সুরেই আর্জেন্টিনায় সংঘটিত নৃশংস ঘটনাগুলো পুনর্মূল্যায়নের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরে তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার পর সেসময়ের সরকারি নথিগুলো অবমুক্তও করা হয়েছিল। কিন্তু তার কিছুদিন পরই কিসিঞ্জারকে পেন্টাগনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক সম্মানসূচক পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে ওবামা প্রশাসন।

কিসিঞ্জারের ভূমিকা নিয়ে বিরচিত হয়েছে বহু বই, প্রামাণ্য ও প্রকাশনা। সেগুলোতে শুধু তার যুদ্ধাপরাধই নয়, মার্কিন সাম্রাজ্যের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরিতে কিসিঞ্জারের পররাষ্ট্রনীতির দায়সমূহ প্রকাশ পেয়েছে। তারপরও তার অনেক প্রভাবের কথাই অনুল্লিখিত রয়ে গেছে সেগুলোতে।

তবে এসব সমালোচনা সত্ত্বেও তার ভূমিকাকে অর্জন হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে। বিশেষ করে, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের সূচনা এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য তাকে কৃতিত্ব দেন তারা। তারা মনে করেন, এই ভূমিকাগুলো ব্যক্তিস্বার্থে নয়। বরং রাষ্ট্র হিসেবে আমেরিকার স্বার্থেই পালন করতে হয়েছে তাকে। এদের মধ্যে অনেকেরই বিশ্বাস, এগুলো না করলে অনাসৃষ্টি বরং আরও বেশি হতো। আবার কেউ কেউ মনে করেন, মার্কিন যুদ্ধ ব্যবস্থার অনিবার্য উৎপাদন এই কিসিঞ্জার।

তবে বাঙালি, আর্জেন্টাইন, কম্বোডীয়, চিলীয়, তিমুরসহ লাখ লাখ নিহত আত্মার পক্ষে যে তাকে এভাবে মূল্যায়ন সম্ভব হবে না তা খোলাখুলিভাবে উল্লেখ করা হয়েছে হাফিংটন পোস্টের নিবন্ধে।

আলফ্রেড কিসিঞ্জারের জন্ম ইহুদি পরিবারে। ১৯২৩-এ বাভারিয়ায়। নাৎসী নিপীড়নের মুখে ১৯৩৮-এ জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসে তার পরিবার।

জীবদ্দশায় সে বিষয় নিয়ে কখনো তেমন একটা আলাপ করতেন না তিনি। তবে তার মানসগঠনে সেই বিতাড়নের ঘটনার প্রভাব দেখেন ইতিহাসবিদরা। তাদের মতে, ওই কারণেই কিসিঞ্জার আজীবন অনিরাপত্তাবোধে তাড়িত ছিলেন। আতঙ্কে ভুগতেন। ভয় পেতেন সমালোচনাকে। একই কারণে অবস্থান নিতেন বিপ্লব ও বিশৃঙ্খলাকে দমানোর পক্ষে। প্রচার করতেন স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের কথা।

কিসিঞ্জারের পড়াশোনা ছিল হাভার্ডে।

ছবি

মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল নিকারাগুয়া

ছবি

ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র সচিবের ৫ বৈঠক: সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা

ছবি

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ

ছবি

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬১, মোট নিহত ছাড়াল ৪২ হাজার ১০০

ছবি

টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হলেন রতন টাটার সৎভাই নোয়েল টাটা

ছবি

‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা’ করতে প্রস্তুত ইরান

ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত

ছবি

শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদানকায়ো

ছবি

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম জানা যাবে আজ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন মিল্টনের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত ১০

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই, নিহত আরও ৫৫ ফিলিস্তিনি

ছবি

বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ২২, আহত আরও শতাধিক

ছবি

সাহিত্যে নোবেল পেলেন হান ক্যাং

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে চরম বিপজ্জনক হ্যারিকেন মিল্টন, চলছে ব্যাপক তাণ্ডব

ছবি

বিশ্বে ৩৭ কোটি নারী ও শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার : ইউনিসেফ

ছবি

ইসরায়েল কি ইরানে হামলা করবে, কী কথা হলো বাইডেন-নেতানিয়াহুর?

ছবি

একদিনে আরও ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

টাটা গ্রুপের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান রতন টাটার মৃত্যু: এক যুগান্তকারী শিল্পপ্রবক্তার অবসান

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

মেক্সিকোর গাড়িতে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

ছবি

রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ জন

ছবি

শঙ্কা নিয়ে হারিকেন মিল্টনের অপেক্ষায় ফ্লোরিডা

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ আরও ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি

রসায়নে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা বিকেলে

ছবি

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন জে হপফিল্ড-জেওফ্রে ই হিনটপে

ছবি

গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে ১১টি

ছবি

‘প্রতিবেশীকে বাড়ির চাবি দিয়ে এসেছিলাম, এখন বাড়িটিই নেই’

ছবি

গাজায় এক দিনে নিহত ৭৭, মোট নিহত ৪২ হাজার ছুঁইছুঁই

ছবি

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এক দিনে ১৭৫টি রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ

ছবি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংকট: যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে

ছবি

চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ বিজ্ঞানী

ছবি

পাকিস্তানের বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণ, ২ চীনাসহ নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলের হাইফা ও টাইবেরিয়াসে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা, আহত ৬

ছবি

৭ অক্টোবরের হামলা ছিল ‘মহিমান্বিত’ : হামাস

tab

আন্তর্জাতিক

বহু যুদ্ধ, হত্যার হোতা যুক্তরাষ্ট্রের কিসিঞ্জারের মৃত্যু

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

দুই প্রেসিডেন্টের প্রশাসনে আট বছর ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্নায়ুযুদ্ধের সময়। রাশিয়া ও তার বলয়ের বিরুদ্ধে যত নীতি ও কৌশল, সবগুলোরই প্রণয়ন ও প্রয়োগ তার নেতৃত্বে।

সেসময়েই তিনি ভিয়েতনামের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেন। নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কম্বোডিয়ার ওপর এক নাগাড়ে বোমা হামলা চালান চার বছর। প্রাণ হারায় অগণিত মানুষ।

তার নির্দেশেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে দেয়া হয়েছিল অবৈধ অস্ত্র, যা দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় বাঙালির ওপর।

১৯৭৩-এ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত চিলির আলেন্দে সরকারকে উৎখাতে সামরিক অভ্যুত্থান হয় তার মদদে। ১৯৭৫-এ পূর্ব তিমুরে আগ্রাসন চালাতে ইন্দোনেশিয়াকে লেলিয়ে দেন তিনিই। তার কাছ থেকে সাহস পেয়েই গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীলদের নিশ্চিহ্ন করতে ১৯৭৬-এ ‘ডার্টি ওয়ারের’ সূচনা করে আর্জেন্টিনার সামরিক একনায়ক।

সেসময় তার নীতির কারণেই আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে যায়। অ্যাঙ্গোলার কথা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য।

এভাবে হন্তারক যত রাষ্ট্রশক্তি ও সংঘাতে তিনি সমর্থন, সহায়তা, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা যুগিয়েছিলেন দায়িত্বের থাকার সময়, তাতে অযুতসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে। ততোধিক ঘটনা ঘটেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের।

ইতিহাসের সেই বিতর্কিত চরিত্র, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিতদের একজন, যাকে হাফিংটন পোস্ট উল্লেখ করেছে সেদেশের সবচেয়ে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে, সেই হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। বুধবার। কানেকটিকাটের নিজ বাড়িতে। ওইদিন সন্ধ্যায় তার নিজস্ব পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয় এ সংবাদ। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিশেষ কিছু জানায়নি তারা। ১০০ বছর বয়স পেয়েছেন। কিসিঞ্জার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের প্রশাসনে।

জীবদ্দশায় নিজের কোনো ভূমিকার জন্য কখনোই অনুশোচনা করেননি কিসিঞ্জার। আর সমালোচকদের বিষয়ে পরিহাসপরায়ণ একটা অভিব্যক্তি বজায় রাখতেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গণ্য হয়েছেন ওয়াশিংটনের রাজনীতিক মহলের অবিচ্ছেদ্য সভ্য হিসেবে।

২০১৬ সালে আর্জেন্টিনা সফরে গিয়ে প্রায় ক্ষমাপ্রার্থিতার সুরেই আর্জেন্টিনায় সংঘটিত নৃশংস ঘটনাগুলো পুনর্মূল্যায়নের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরে তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার পর সেসময়ের সরকারি নথিগুলো অবমুক্তও করা হয়েছিল। কিন্তু তার কিছুদিন পরই কিসিঞ্জারকে পেন্টাগনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক সম্মানসূচক পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে ওবামা প্রশাসন।

কিসিঞ্জারের ভূমিকা নিয়ে বিরচিত হয়েছে বহু বই, প্রামাণ্য ও প্রকাশনা। সেগুলোতে শুধু তার যুদ্ধাপরাধই নয়, মার্কিন সাম্রাজ্যের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরিতে কিসিঞ্জারের পররাষ্ট্রনীতির দায়সমূহ প্রকাশ পেয়েছে। তারপরও তার অনেক প্রভাবের কথাই অনুল্লিখিত রয়ে গেছে সেগুলোতে।

তবে এসব সমালোচনা সত্ত্বেও তার ভূমিকাকে অর্জন হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে। বিশেষ করে, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের সূচনা এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য তাকে কৃতিত্ব দেন তারা। তারা মনে করেন, এই ভূমিকাগুলো ব্যক্তিস্বার্থে নয়। বরং রাষ্ট্র হিসেবে আমেরিকার স্বার্থেই পালন করতে হয়েছে তাকে। এদের মধ্যে অনেকেরই বিশ্বাস, এগুলো না করলে অনাসৃষ্টি বরং আরও বেশি হতো। আবার কেউ কেউ মনে করেন, মার্কিন যুদ্ধ ব্যবস্থার অনিবার্য উৎপাদন এই কিসিঞ্জার।

তবে বাঙালি, আর্জেন্টাইন, কম্বোডীয়, চিলীয়, তিমুরসহ লাখ লাখ নিহত আত্মার পক্ষে যে তাকে এভাবে মূল্যায়ন সম্ভব হবে না তা খোলাখুলিভাবে উল্লেখ করা হয়েছে হাফিংটন পোস্টের নিবন্ধে।

আলফ্রেড কিসিঞ্জারের জন্ম ইহুদি পরিবারে। ১৯২৩-এ বাভারিয়ায়। নাৎসী নিপীড়নের মুখে ১৯৩৮-এ জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসে তার পরিবার।

জীবদ্দশায় সে বিষয় নিয়ে কখনো তেমন একটা আলাপ করতেন না তিনি। তবে তার মানসগঠনে সেই বিতাড়নের ঘটনার প্রভাব দেখেন ইতিহাসবিদরা। তাদের মতে, ওই কারণেই কিসিঞ্জার আজীবন অনিরাপত্তাবোধে তাড়িত ছিলেন। আতঙ্কে ভুগতেন। ভয় পেতেন সমালোচনাকে। একই কারণে অবস্থান নিতেন বিপ্লব ও বিশৃঙ্খলাকে দমানোর পক্ষে। প্রচার করতেন স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের কথা।

কিসিঞ্জারের পড়াশোনা ছিল হাভার্ডে।

back to top