আজ রোববার জাপানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ নির্বাচন, যেখানে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। গতকাল শনিবার শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন পেতে প্রচারণা চালান। মতামত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে এলডিপি এবং তাদের জোটসঙ্গী কোমেইতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে, যা ২০০৯ সালের পর থেকে দলের জন্য সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হতে পারে।
গত মাসে এলডিপির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা দেশের জন্য নতুন আশা ও অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ৬৭ বছর বয়সী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইশিবা দলীয় প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে গত ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন এবং এর পরপরই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তিনি গ্রামের উন্নয়ন ও কর্মঘণ্টা শিথিল করার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, বিবাহিত দম্পতিদের আলাদা উপাধি গ্রহণের অনুমতির মতো বেশ কিছু নীতিতে ইশিবা আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তাঁর মন্ত্রিসভায় মাত্র দুইজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।
স্থানীয় দৈনিক ইয়োমিমিউরি শিমবুনের জরিপে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে এলডিপিকে ২৩৩টি আসন পেতে হবে। তবে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে ইশিবা সরকার গঠনের জন্য নতুন জোটসঙ্গী খুঁজতে বাধ্য হতে পারেন বা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হতে পারে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ব্যর্থ হলে ইশিবা পদত্যাগের সম্মুখীন হতে পারেন, যা তাকে জাপানের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত করবে।
এলডিপির প্রধান প্রতিপক্ষ, কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি), শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডার নেতৃত্বে সিডিপি এলডিপির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা চালাচ্ছে। নোডা অভিযোগ করেন, এলডিপির নীতি শুধুমাত্র ধনী সমর্থকদের জন্যই দ্রুত বাস্তবায়িত হয়, যা সাধারণ মানুষের প্রতি অবহেলার প্রতীক।
আজকের নির্বাচনের ফলাফল জাপানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
আজ রোববার জাপানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ নির্বাচন, যেখানে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। গতকাল শনিবার শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন পেতে প্রচারণা চালান। মতামত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে এলডিপি এবং তাদের জোটসঙ্গী কোমেইতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে, যা ২০০৯ সালের পর থেকে দলের জন্য সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হতে পারে।
গত মাসে এলডিপির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা দেশের জন্য নতুন আশা ও অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ৬৭ বছর বয়সী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইশিবা দলীয় প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে গত ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন এবং এর পরপরই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তিনি গ্রামের উন্নয়ন ও কর্মঘণ্টা শিথিল করার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, বিবাহিত দম্পতিদের আলাদা উপাধি গ্রহণের অনুমতির মতো বেশ কিছু নীতিতে ইশিবা আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তাঁর মন্ত্রিসভায় মাত্র দুইজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।
স্থানীয় দৈনিক ইয়োমিমিউরি শিমবুনের জরিপে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে এলডিপিকে ২৩৩টি আসন পেতে হবে। তবে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে ইশিবা সরকার গঠনের জন্য নতুন জোটসঙ্গী খুঁজতে বাধ্য হতে পারেন বা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হতে পারে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ব্যর্থ হলে ইশিবা পদত্যাগের সম্মুখীন হতে পারেন, যা তাকে জাপানের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত করবে।
এলডিপির প্রধান প্রতিপক্ষ, কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি), শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডার নেতৃত্বে সিডিপি এলডিপির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা চালাচ্ছে। নোডা অভিযোগ করেন, এলডিপির নীতি শুধুমাত্র ধনী সমর্থকদের জন্যই দ্রুত বাস্তবায়িত হয়, যা সাধারণ মানুষের প্রতি অবহেলার প্রতীক।
আজকের নির্বাচনের ফলাফল জাপানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।