আর দশটি স্বাভাবিক রাতের মতো বুধবার ঘুমাতে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর আভেলানেদার বাসিন্দারা। কিন্তু ভোরে তাদের ঘুম ভাঙে অন্যরকম গন্ধে। বাসিন্দারা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখেন, শহরের বুক চিঁড়ে বয়ে চলা ছোট্ট নদী ‘সারান্দি’র পানির রঙ হয়ে গেছে লাল। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলেন, মনে হয়েছে রক্তে ঢেকে আছে নদীটি।
একরাতের ব্যবধানে নদীর পানির টকটকে এই লাল রঙ আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে বাসিন্দাদের। এর জন্য আপাতত দূষণকে দোষ দিচ্ছেন তাঁরা। প্রকৃত কারণ জানতে নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে বুয়েনস এইরেসের আবহাওয়া বিভাগ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সম্ভবত শিল্পখাতে ব্যবহৃত রঙ নদীতে ফেলায় পানি এমন বর্ণ ধারণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মারিয়া ডুকমলস বলেন, ‘গন্ধে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দিনের আলোতে নদীর দিকে তাকিয়ে দেখি, এটি পুরো লাল হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছিল, রক্তে নদী ঢেকে আছে। এটা ভয়াবহ।’ হুট করে নদীর পানির এমন রঙ পরিবর্তনের সঠিক কারণ জানা না গেলেও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করেছে, তীরবর্তী শিল্প কারখানা, বিশেষ করে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলায় সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি।
দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে রঙ পরিবর্তনের কারণ নির্ধারণের জন্য পানির নমুনা নেয়া হয়েছে।
এএফপি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বিকেলের শেষের দিকে পানির রঙ কিছুটা তীব্রতা হারিয়ে ফেলেছিল। বাসিন্দারা দাবি করেছেন যে অনেক স্থানীয় কোম্পানি জলপথে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে, যা রাজধানীর কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ এবং টেক্সটাইল কারখানা থেকে নিসৃত।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আর দশটি স্বাভাবিক রাতের মতো বুধবার ঘুমাতে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর আভেলানেদার বাসিন্দারা। কিন্তু ভোরে তাদের ঘুম ভাঙে অন্যরকম গন্ধে। বাসিন্দারা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখেন, শহরের বুক চিঁড়ে বয়ে চলা ছোট্ট নদী ‘সারান্দি’র পানির রঙ হয়ে গেছে লাল। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলেন, মনে হয়েছে রক্তে ঢেকে আছে নদীটি।
একরাতের ব্যবধানে নদীর পানির টকটকে এই লাল রঙ আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে বাসিন্দাদের। এর জন্য আপাতত দূষণকে দোষ দিচ্ছেন তাঁরা। প্রকৃত কারণ জানতে নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে বুয়েনস এইরেসের আবহাওয়া বিভাগ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সম্ভবত শিল্পখাতে ব্যবহৃত রঙ নদীতে ফেলায় পানি এমন বর্ণ ধারণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মারিয়া ডুকমলস বলেন, ‘গন্ধে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দিনের আলোতে নদীর দিকে তাকিয়ে দেখি, এটি পুরো লাল হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছিল, রক্তে নদী ঢেকে আছে। এটা ভয়াবহ।’ হুট করে নদীর পানির এমন রঙ পরিবর্তনের সঠিক কারণ জানা না গেলেও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করেছে, তীরবর্তী শিল্প কারখানা, বিশেষ করে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলায় সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি।
দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে রঙ পরিবর্তনের কারণ নির্ধারণের জন্য পানির নমুনা নেয়া হয়েছে।
এএফপি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বিকেলের শেষের দিকে পানির রঙ কিছুটা তীব্রতা হারিয়ে ফেলেছিল। বাসিন্দারা দাবি করেছেন যে অনেক স্থানীয় কোম্পানি জলপথে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে, যা রাজধানীর কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ এবং টেক্সটাইল কারখানা থেকে নিসৃত।