যখন আন্তর্জাতিক মহল দক্ষিণ এশিয়ার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানাচ্ছে, তখন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত যেকোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিলে তার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) চার দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ তুলছে। এ প্রসঙ্গে খাজা আসিফ বলেন, “আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। তাই কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরকারকে একটি সম্ভাব্য ভারতীয় হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছে বলে জানান তিনি, যদিও এ হামলার আশঙ্কার নির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ করেননি।
সম্প্রতি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ভারত দাবি করে, হামলাকারীদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের নাগরিক, যদিও এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি। ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি হুমকি এলে কেবলমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বিবেচনা করা হবে।”
পরে সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, “মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত, কারণ দ্রুতই যুদ্ধ শুরু হতে পারে।” তিনি ইঙ্গিত দেন, আগামী এক থেকে চার দিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তবে পরে জিও নিউজকে দেওয়া বক্তব্যে স্পষ্ট করেন, তিনি তাৎক্ষণিক যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করেননি, বরং বলেছেন, আগামী কয়েকদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, উত্তেজনা এড়ানো সম্ভব, কারণ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও উত্তেজনা প্রশমনে চেষ্টা করছে। ইসলামাবাদ উপসাগরীয় দেশগুলোর পাশাপাশি চীন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান তিনি।
চীন, সৌদি আরব, ইরান ও যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে বেইজিং, ওয়াশিংটন, আঙ্কারা ও দোহা থেকেও দুই দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান এসেছে।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
যখন আন্তর্জাতিক মহল দক্ষিণ এশিয়ার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানাচ্ছে, তখন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত যেকোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিলে তার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) চার দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ তুলছে। এ প্রসঙ্গে খাজা আসিফ বলেন, “আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। তাই কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরকারকে একটি সম্ভাব্য ভারতীয় হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছে বলে জানান তিনি, যদিও এ হামলার আশঙ্কার নির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ করেননি।
সম্প্রতি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ভারত দাবি করে, হামলাকারীদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের নাগরিক, যদিও এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি। ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি হুমকি এলে কেবলমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বিবেচনা করা হবে।”
পরে সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, “মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত, কারণ দ্রুতই যুদ্ধ শুরু হতে পারে।” তিনি ইঙ্গিত দেন, আগামী এক থেকে চার দিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তবে পরে জিও নিউজকে দেওয়া বক্তব্যে স্পষ্ট করেন, তিনি তাৎক্ষণিক যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করেননি, বরং বলেছেন, আগামী কয়েকদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, উত্তেজনা এড়ানো সম্ভব, কারণ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও উত্তেজনা প্রশমনে চেষ্টা করছে। ইসলামাবাদ উপসাগরীয় দেশগুলোর পাশাপাশি চীন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান তিনি।
চীন, সৌদি আরব, ইরান ও যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে বেইজিং, ওয়াশিংটন, আঙ্কারা ও দোহা থেকেও দুই দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান এসেছে।