ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জয়তী রানী (৩৩) নামের এক নারী ব্লগারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত জয়তী একজন জনপ্রিয় ভ্লগার ও ভ্রমণবিষয়ক কনটেন্ট নির্মাতা। ইউটিউবে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার এবং ইনস্টাগ্রামে রয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি অনুসারী।
শুক্রবার হরিয়ানার হিসার জেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। বর্তমানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জেরার মুখে রয়েছেন জয়তী।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিমকে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেন জয়তী রানী। ২০২৩ সালে পর্যটন ভিসার জন্য পাকিস্তান হাইকমিশনে যাওয়ার সময় এহসানের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়। পরে সেই সূত্র ধরে পাকিস্তান সফরের সময় আলী এহওয়ান নামে একজনের সঙ্গে জয়তীর সাক্ষাৎ হয়, যিনি তাঁকে পাকিস্তানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
পুলিশ দাবি করেছে, জয়তী রানী পরে এই কর্মকর্তাদের কাছে ভারত সংক্রান্ত গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেন। এমনকি তাঁদের একজনের নম্বর নিজের ফোনে ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করেন তিনি, যাতে সন্দেহ না হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, জয়তীর বিভিন্ন অনলাইন কনটেন্টে পাকিস্তানের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের নিরাপত্তা প্রশ্নে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভারত সরকার গত ১৩ মে এহসান-উর-রহিমকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়। তাঁর বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে।
জয়তী রানীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও তথ্যপাচার আইনে মামলা হয়েছে। হরিয়ানা পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।
---
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জয়তী রানী (৩৩) নামের এক নারী ব্লগারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত জয়তী একজন জনপ্রিয় ভ্লগার ও ভ্রমণবিষয়ক কনটেন্ট নির্মাতা। ইউটিউবে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার এবং ইনস্টাগ্রামে রয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি অনুসারী।
শুক্রবার হরিয়ানার হিসার জেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। বর্তমানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জেরার মুখে রয়েছেন জয়তী।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিমকে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেন জয়তী রানী। ২০২৩ সালে পর্যটন ভিসার জন্য পাকিস্তান হাইকমিশনে যাওয়ার সময় এহসানের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়। পরে সেই সূত্র ধরে পাকিস্তান সফরের সময় আলী এহওয়ান নামে একজনের সঙ্গে জয়তীর সাক্ষাৎ হয়, যিনি তাঁকে পাকিস্তানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
পুলিশ দাবি করেছে, জয়তী রানী পরে এই কর্মকর্তাদের কাছে ভারত সংক্রান্ত গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেন। এমনকি তাঁদের একজনের নম্বর নিজের ফোনে ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করেন তিনি, যাতে সন্দেহ না হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, জয়তীর বিভিন্ন অনলাইন কনটেন্টে পাকিস্তানের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের নিরাপত্তা প্রশ্নে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভারত সরকার গত ১৩ মে এহসান-উর-রহিমকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়। তাঁর বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে।
জয়তী রানীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও তথ্যপাচার আইনে মামলা হয়েছে। হরিয়ানা পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।
---