বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের প্রধান পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল ও সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উড়োজাহনের পরপরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়, যার ফলে বিমান দ্রুত নিচে নামার চেষ্টা করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইট সেফটি বিশেষজ্ঞ মার্কো চ্যান জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক ও আকাশ পরিষ্কার ছিল।

আহমেদাবাদের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিধ্বস্ত ভবনটি বি জে মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হোস্টেল, যেখানে প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন ছিলেন এবং তাদের অধিকাংশের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে এবং আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আহমেদাবাদ বিমানবন্দরেও উড়োজাহাজ পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়েছিল এবং গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা এখনো নির্ধারিত হয়নি। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে, যার ফলে অন্তত পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী ফ্লাইট হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আহমেদাবাদের মেঘানি অঞ্চলের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

বিধ্বস্ত বিমানে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু রয়েছেন। দুপুরের খাবারের সময় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হোস্টেলের ক্যানটিনে মধ্যাহ্নভোজ করছিলেন; দুর্ঘটনার পর ক্যানটিনের টেবিলে খাবারের থালা ও গ্লাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিমানটির কিছু অংশ হোস্টেল ভবন ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করেছে এবং কিছু অংশ বাইরে ঝুলে রয়েছে।