কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বদলা নিতেই এ হামলা করেছে ইরান।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের বরাতে বিবিসি লিখেছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে। কাতার ও ইরাকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এ হামলার আগেই কাতারে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সতর্কতা জারি করেছিল দোহায় মার্কিন দূতাবাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সতর্কতা মেনে চলতে বলে দূতাবাস।
কাতারে আল উদেইদ ঘাঁটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমান ঘাঁটি। এ ঘাঁটি লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরান বলেছে, এই হামলা ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার বা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আবাসিক এলাকা থেকে দূরের মার্কিন ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে বলছে, এই হামলা বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতার বা তার সম্মানিত জনগণের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করে না। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কাতারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের উষ্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, কাতার রাষ্ট্র হিসেবে, এই প্রকাশ্য আগ্রাসনের জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
আনসারি দাবি করেন, কাতারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে। এই হামলা সফলভাবে মোকাবিলা করেছে।
এদিকে কাতারের আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার কিছু সময় পর হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে আল–জাজিরা এ কথা জানিয়েছে।
কাতারের এ ঘাঁটিতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে ‘ক্ষেপণাস্ত্র ধরনের বস্তুর ঝলক’ দেখা গেছে। সেই সঙ্গে শহরজুড়ে একাধিক বিকট বিস্ফোরণও শোনা গেছে। আল-জাজিরা বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়, এগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ নাকি ক্ষেপণাস্ত্র।
এর আগে কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সতর্কবার্তা দেয় দোহার মার্কিন দূতাবাস।
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতার সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। দোহা বলছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করা ছাড়াও কাতারের বেশ কিছু স্কুল আগামীকাল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তারা প্রতিশোধ নিতে পারে। কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি রয়েছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক ইমেইল বার্তায় ‘সতর্কতার অংশ হিসেবে’ দেশটিতে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এই সতর্কতার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি মার্কিন দূতাবাস।
যুক্তরাজ্যের দূতাবাসও দেশটিতে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি ও সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বদলা নিতেই এ হামলা করেছে ইরান।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের বরাতে বিবিসি লিখেছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে। কাতার ও ইরাকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এ হামলার আগেই কাতারে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সতর্কতা জারি করেছিল দোহায় মার্কিন দূতাবাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সতর্কতা মেনে চলতে বলে দূতাবাস।
কাতারে আল উদেইদ ঘাঁটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমান ঘাঁটি। এ ঘাঁটি লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরান বলেছে, এই হামলা ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার বা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আবাসিক এলাকা থেকে দূরের মার্কিন ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে বলছে, এই হামলা বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতার বা তার সম্মানিত জনগণের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করে না। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কাতারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের উষ্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, কাতার রাষ্ট্র হিসেবে, এই প্রকাশ্য আগ্রাসনের জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
আনসারি দাবি করেন, কাতারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে। এই হামলা সফলভাবে মোকাবিলা করেছে।
এদিকে কাতারের আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার কিছু সময় পর হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে আল–জাজিরা এ কথা জানিয়েছে।
কাতারের এ ঘাঁটিতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে ‘ক্ষেপণাস্ত্র ধরনের বস্তুর ঝলক’ দেখা গেছে। সেই সঙ্গে শহরজুড়ে একাধিক বিকট বিস্ফোরণও শোনা গেছে। আল-জাজিরা বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়, এগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ নাকি ক্ষেপণাস্ত্র।
এর আগে কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সতর্কবার্তা দেয় দোহার মার্কিন দূতাবাস।
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতার সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। দোহা বলছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করা ছাড়াও কাতারের বেশ কিছু স্কুল আগামীকাল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তারা প্রতিশোধ নিতে পারে। কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি রয়েছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক ইমেইল বার্তায় ‘সতর্কতার অংশ হিসেবে’ দেশটিতে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এই সতর্কতার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি মার্কিন দূতাবাস।
যুক্তরাজ্যের দূতাবাসও দেশটিতে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি ও সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।