alt

আন্তর্জাতিক

গুপ্তচর সন্দেহ, হাজার হাজার আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গত মাসে ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের ওপর হামলা চালানোর পর আতঙ্কিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন আফগান নাগরিক এনায়েতুল্লাহ আসঘারি। উপসাগরীয় যে দেশে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে পরিবেশ হয়ে উঠেছিল আরও শত্রুভাবাপন্ন। তেহরানে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আর তাকে গুপ্তচর বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

৩৫ বছর বয়সি আসঘারি ইরান থেকে সম্প্রতি ফেরত পাঠানো হাজার হাজার আফগান নাগরিকের একজন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত আফগানিস্তানের জন্য আরও অস্থিতিশীলতা ডেকে আনতে পারে, যেখানে ইতোমধ্যে এক ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে। আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে দীর্ঘ যাত্রার শেষে আসঘারি বলেন, ‘ভাড়া করার মতো একটা ঘর খুঁজে পাওয়াই কঠিন। পেলেও সেটা ভীষণ দামি... কোনো কাজই নেই। ’

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়া নিজ দেশে ফেরার পর কী করবেন, তা নিয়ে তিনি একেবারেই অজ্ঞ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, সাম্প্রতিক যুদ্ধ চলাকালে ইরান প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার আফগানকে ফেরত পাঠিয়েছে, যা আগে ছিল দৈনিক মাত্র ২ হাজার—এই সংখ্যা এখন ১৫ গুণ বেড়ে গেছে।

মঙ্গলবার ইরানের সরকারপক্ষীয় মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘আমরা সব সময় ভালো আতিথেয়তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার। স্বাভাবিকভাবেই অবৈধ নাগরিকদের ফিরে যেতে হবে। ’ তবে তিনি বলেন, ‘এটা ‘বিতাড়িত নয়, বরং স্বদেশে প্রত্যাবর্তন।’ গুপ্তচরের সন্ধানে অভিযান নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। আফগান সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তাৎক্ষডুকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইরান ও ইসরায়েল তাদের ১২ দিনের যুদ্ধের সময় পরস্পরের ওপর হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় হামলা চালায়। এই যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত সংঘাত চলতেই থাকে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে ইরান চলতি বছর বিদেশি নাগরিকদের, বিশেষত আফগানদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযান চালিয়ে আসছিল। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে তা আরও জোরদার করা হয়, বলছেন বহিষ্কৃত আফগান ও সাহায্য সংস্থার কর্মকর্তারা।

ছবি

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত সিরিয়া-ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, অস্ত্র ছাড়ছে না হিজবুল্লাহ

ছবি

ভিসা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০-৮০ শতাংশ কমেছে

আমার কিছু হলে দায়ী থাকবেন মুনির : ইমরান

ছবি

যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা হামাসের

ছবি

“ভুয়া” প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রুপার্ট মারডকের কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

আইসিসি নিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক

ছবি

কাশ্মীর সংঘাতে ভারত-পাকিস্তানের পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল: ট্রাম্প

আফগানদের তথ্যের সঙ্গে বেহাত হয়েছে ব্রিটিশ গুপ্তচরদের তথ্যও

ছবি

দিল্লির ২০টির বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি, আতঙ্কে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা

দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত প্রায় ৬০০

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাজার সব ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসরায়েল

তৃণমূলের দুঃশাসনে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ : মোদি

ছবি

ইউরোপের অস্ত্রে গাজায় শিশু হত্যা

কাশ্মীরে হামলা: লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

অতিরিক্ত হ্যান্ডশেক থেকে ট্রাম্পের হাতে দাগ, জানাল হোয়াইট হাউজ

ছবি

দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত প্রায় ৬০০: এসওএইচআর

ছবি

জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করাই এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার কারণ: তদন্ত

নতুন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান, খামেনির হুঁশিয়ারি

ছবি

ইউক্রেনে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহে নজর রাখছে রাশিয়া

গাজায় ত্রাণ আনতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে নিহত ২১

ছবি

ইউরোপে রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহ কেন

২৭ হাজার ক্ষুধার্ত শিশুর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য ধ্বংস করছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

দ্রুজ কারা, তাদের রক্ষায় কেন সিরিয়ায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল

ছবি

ইরাকে বিপণিবিতানে অগ্নিকাণ্ড, নিহত অন্তত ৬০

সংঘাতে থমথমে সিরিয়া, নিহত বেড়ে ২০৩

ছবি

ভারত-মিয়ানমার বাণিজ্য করিডরের প্রস্তাব রাশিয়ার, লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

নতুন রাজনৈতিক দল খুললেন ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী

ছবি

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের পর হাজারো আফগানকে সরিয়ে নেয় যুক্তরাজ্য

হঠাৎ ট্রাম্পের ফোন, ঘুম থেকে তুলে সাংবাদিককে দিলেন সাক্ষাৎকার

ছবি

তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনায় নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানাল জাপান

লেবানন-সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা

ছবি

ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক আরোপের হুমকিতে চাপ নয়, বরং স্বস্তিতে রাশিয়া

মে মাসে ইরানের তেল রপ্তানিতে সর্বকালের রেকর্ড

ছবি

জোটে ভাঙন, অস্তিত্ব সংকটে নেতানিয়াহুর সরকার

ইসরায়েলিদের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে গাজায় বাড়িঘর ধ্বংস করছে সেনারা

tab

আন্তর্জাতিক

গুপ্তচর সন্দেহ, হাজার হাজার আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গত মাসে ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের ওপর হামলা চালানোর পর আতঙ্কিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন আফগান নাগরিক এনায়েতুল্লাহ আসঘারি। উপসাগরীয় যে দেশে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে পরিবেশ হয়ে উঠেছিল আরও শত্রুভাবাপন্ন। তেহরানে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আর তাকে গুপ্তচর বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

৩৫ বছর বয়সি আসঘারি ইরান থেকে সম্প্রতি ফেরত পাঠানো হাজার হাজার আফগান নাগরিকের একজন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত আফগানিস্তানের জন্য আরও অস্থিতিশীলতা ডেকে আনতে পারে, যেখানে ইতোমধ্যে এক ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে। আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে দীর্ঘ যাত্রার শেষে আসঘারি বলেন, ‘ভাড়া করার মতো একটা ঘর খুঁজে পাওয়াই কঠিন। পেলেও সেটা ভীষণ দামি... কোনো কাজই নেই। ’

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়া নিজ দেশে ফেরার পর কী করবেন, তা নিয়ে তিনি একেবারেই অজ্ঞ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, সাম্প্রতিক যুদ্ধ চলাকালে ইরান প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার আফগানকে ফেরত পাঠিয়েছে, যা আগে ছিল দৈনিক মাত্র ২ হাজার—এই সংখ্যা এখন ১৫ গুণ বেড়ে গেছে।

মঙ্গলবার ইরানের সরকারপক্ষীয় মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘আমরা সব সময় ভালো আতিথেয়তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার। স্বাভাবিকভাবেই অবৈধ নাগরিকদের ফিরে যেতে হবে। ’ তবে তিনি বলেন, ‘এটা ‘বিতাড়িত নয়, বরং স্বদেশে প্রত্যাবর্তন।’ গুপ্তচরের সন্ধানে অভিযান নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। আফগান সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তাৎক্ষডুকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইরান ও ইসরায়েল তাদের ১২ দিনের যুদ্ধের সময় পরস্পরের ওপর হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় হামলা চালায়। এই যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত সংঘাত চলতেই থাকে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে ইরান চলতি বছর বিদেশি নাগরিকদের, বিশেষত আফগানদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযান চালিয়ে আসছিল। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে তা আরও জোরদার করা হয়, বলছেন বহিষ্কৃত আফগান ও সাহায্য সংস্থার কর্মকর্তারা।

back to top