কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনকে অশালীন চিঠি পাঠিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর অভিযোগে নিজের মানহানি হয়েছে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। তার অভিযোগ, এ সংক্রান্ত খবর তার সম্মানহানি করেছে ও মানহানির আইন লঙ্ঘন করেছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ যখন এপস্টিন সংক্রান্ত নথি প্রকাশের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে, তখনই ট্রাম্প এই মামলা করেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়াত জেফ্রি এপস্টিন সম্পর্কিত নথি প্রকাশের অনুমতি চাইবেন।
এপস্টিনের গোপন নথি সামাল দেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বিচার বিভাগের কাছে থাকা ‘বিশ্বাসযোগ্য’ তথ্য প্রকাশ করা উচিত।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এপস্টিনের নথি প্রকাশের আহ্বান জানালেও পরে তার দপ্তর দাবি করে, কোনও ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ নেই। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়।
নির্বাচনী প্রচারে এপস্টিন ফাইল প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ইলন মাস্কের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সময় বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এপস্টিনের ফাইল প্রকাশ না করায় ট্রাম্পকে দায়ী করে মাস্ক প্রশ্ন তোলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীদের রক্ষায় এপস্টিন সম্পর্কিত তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ উঠেছে, যা তার সমর্থকদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করেছে। সমর্থকরা মনে করেন, এপস্টিনের তথ্য লুকিয়ে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে রক্ষা করা হয়েছে।
এফবিআই এবং বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তারা এপস্টিনের কোনও ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ কিংবা ব্ল্যাকমেইলের প্রমাণ পায়নি। তারা আরও জানায়, এপস্টিন আত্মহত্যা করেছেন এবং নতুন তথ্য প্রকাশ করা সমীচীন নয়। এ ঘোষণায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে ধামাচাপা দিয়েছে।
এপস্টিনের বিরুদ্ধে যৌনদাসী কেনাবেচা ও প্রভাবশালীদের সরবরাহের অভিযোগ ছিল। তার বিলাসবহুল ‘পিডো দ্বীপে’ নাবালিকা ও শিশুদের দিয়ে যৌন কাজ করানো হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালে এপস্টিনের ৫০তম জন্মদিনে পাওয়া শুভেচ্ছাবার্তাগুলোর মধ্যে ট্রাম্পের একটি চিঠিও ছিল। সেসময় এপস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের অভিযোগ আনেনি কেউ।
শুভেচ্ছাবার্তায় লেখা ছিল, “শুভ জন্মদিন। আপনার প্রতিটি দিনই যেন আরেকটি সুন্দর গোপনীয়তায় ভরে ওঠে।”
চিঠিতে হাতে আঁকা নগ্ন নারীর একটি ছবিও ছিল এবং তাতে ট্রাম্প ‘ডনাল্ড’ নামে স্বাক্ষর করেন।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প এসব অভিযোগ ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “কথাগুলো আমার নয়। আমি এভাবে কথা বলি না। আমি ছবিও আঁকি না।”
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “ভুয়া ও মানহানিকর প্রতিবেদন ছাপায় শক্তিশালী মামলা করেছি। রুপার্ট ও তার বন্ধুরা প্রস্তুত থাকুন, দীর্ঘ জবানবন্দি অপেক্ষা করছে।”
ডাউ জোনসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “প্রতিবেদনের যথার্থতার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে, যেকোনো মামলার বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে লড়বো।”
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনকে অশালীন চিঠি পাঠিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর অভিযোগে নিজের মানহানি হয়েছে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। তার অভিযোগ, এ সংক্রান্ত খবর তার সম্মানহানি করেছে ও মানহানির আইন লঙ্ঘন করেছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ যখন এপস্টিন সংক্রান্ত নথি প্রকাশের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে, তখনই ট্রাম্প এই মামলা করেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়াত জেফ্রি এপস্টিন সম্পর্কিত নথি প্রকাশের অনুমতি চাইবেন।
এপস্টিনের গোপন নথি সামাল দেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বিচার বিভাগের কাছে থাকা ‘বিশ্বাসযোগ্য’ তথ্য প্রকাশ করা উচিত।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এপস্টিনের নথি প্রকাশের আহ্বান জানালেও পরে তার দপ্তর দাবি করে, কোনও ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ নেই। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়।
নির্বাচনী প্রচারে এপস্টিন ফাইল প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ইলন মাস্কের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সময় বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এপস্টিনের ফাইল প্রকাশ না করায় ট্রাম্পকে দায়ী করে মাস্ক প্রশ্ন তোলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীদের রক্ষায় এপস্টিন সম্পর্কিত তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ উঠেছে, যা তার সমর্থকদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করেছে। সমর্থকরা মনে করেন, এপস্টিনের তথ্য লুকিয়ে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে রক্ষা করা হয়েছে।
এফবিআই এবং বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তারা এপস্টিনের কোনও ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ কিংবা ব্ল্যাকমেইলের প্রমাণ পায়নি। তারা আরও জানায়, এপস্টিন আত্মহত্যা করেছেন এবং নতুন তথ্য প্রকাশ করা সমীচীন নয়। এ ঘোষণায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে ধামাচাপা দিয়েছে।
এপস্টিনের বিরুদ্ধে যৌনদাসী কেনাবেচা ও প্রভাবশালীদের সরবরাহের অভিযোগ ছিল। তার বিলাসবহুল ‘পিডো দ্বীপে’ নাবালিকা ও শিশুদের দিয়ে যৌন কাজ করানো হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালে এপস্টিনের ৫০তম জন্মদিনে পাওয়া শুভেচ্ছাবার্তাগুলোর মধ্যে ট্রাম্পের একটি চিঠিও ছিল। সেসময় এপস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের অভিযোগ আনেনি কেউ।
শুভেচ্ছাবার্তায় লেখা ছিল, “শুভ জন্মদিন। আপনার প্রতিটি দিনই যেন আরেকটি সুন্দর গোপনীয়তায় ভরে ওঠে।”
চিঠিতে হাতে আঁকা নগ্ন নারীর একটি ছবিও ছিল এবং তাতে ট্রাম্প ‘ডনাল্ড’ নামে স্বাক্ষর করেন।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প এসব অভিযোগ ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “কথাগুলো আমার নয়। আমি এভাবে কথা বলি না। আমি ছবিও আঁকি না।”
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “ভুয়া ও মানহানিকর প্রতিবেদন ছাপায় শক্তিশালী মামলা করেছি। রুপার্ট ও তার বন্ধুরা প্রস্তুত থাকুন, দীর্ঘ জবানবন্দি অপেক্ষা করছে।”
ডাউ জোনসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “প্রতিবেদনের যথার্থতার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে, যেকোনো মামলার বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে লড়বো।”