তিব্বতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদী ব্রহ্মপুত্রের ওপর বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন। এই প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব তিব্বতের নিয়িংচিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ‘ইয়ারলং চাংপো’ নামে পরিচিত এই নদ চীনের তিব্বত অঞ্চল থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নামে এবং পরে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রোজেক্ট জানায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্প অনুমোদন দেয় বেইজিং। প্রকল্পটির আওতায় মোট পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, যেগুলো তিব্বতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করবে। এতে প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭.১ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ হবে।
নির্মাণ শেষ হলে এই বাঁধের আকার চীনের ইয়াংসি নদীর ওপর নির্মিত বিখ্যাত থ্রি গর্জেস বাঁধকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর একটি।
চীনের এ উদ্যোগ নিয়ে ভারত গত জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছিল। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “চীনকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন উজানে এমন কিছু না করা হয়, যাতে নিচু অঞ্চলের দেশগুলোর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
চীনের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, এ প্রকল্পে ভাটির দেশগুলোর ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না এবং তারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
তিব্বতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদী ব্রহ্মপুত্রের ওপর বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন। এই প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব তিব্বতের নিয়িংচিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ‘ইয়ারলং চাংপো’ নামে পরিচিত এই নদ চীনের তিব্বত অঞ্চল থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নামে এবং পরে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রোজেক্ট জানায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্প অনুমোদন দেয় বেইজিং। প্রকল্পটির আওতায় মোট পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, যেগুলো তিব্বতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করবে। এতে প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭.১ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ হবে।
নির্মাণ শেষ হলে এই বাঁধের আকার চীনের ইয়াংসি নদীর ওপর নির্মিত বিখ্যাত থ্রি গর্জেস বাঁধকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর একটি।
চীনের এ উদ্যোগ নিয়ে ভারত গত জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছিল। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “চীনকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন উজানে এমন কিছু না করা হয়, যাতে নিচু অঞ্চলের দেশগুলোর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
চীনের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, এ প্রকল্পে ভাটির দেশগুলোর ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না এবং তারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।