ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন দফা শান্তি আলোচনা আগামী বুধবার তুরস্কে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ভরে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (২১ জুলাই) রাতে প্রতিদিনকার ভাষণে এক শীর্ষস্থানীয় কিয়েভ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে জেলেনস্কি আলোচনায় গতি আনার আহ্বান জানান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ক্রেমলিন বলেছে, তারা আলোচনার তারিখের নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে তারা উল্লেখ করেছে যে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে দুই পক্ষের অবস্থান ‘সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী’। সোমবার রাতে নিজের ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, তিনি ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে কথা বলেছেন। রুস্তেম উমেরভ বন্দি বিনিময় এবং রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কে একটি নতুন বৈঠকের প্রস্তুতির দায়িত্বে রয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘উমেরভ জানিয়েছেন, বৈঠকটি বুধবার হওয়ার কথা রয়েছে। বিস্তারিত আজ জানানো হবে।’ সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উমেরভ সম্প্রতি এই নতুন পদে নিয়োগ পেয়েছেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রথম দুই দফা আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্র-চালিত সংবাদ সংস্থা তাস তুরস্কে অবস্থিত একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আলোচনা বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। আরেকটি সংস্থা আরআইএ সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, আলোচনাটি দুই দিনব্যাপী চলবে।
জেলেনস্কি এই নতুন আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন গত সপ্তাহান্তে। এর কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন—মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার ওপর ‘গুরুতর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ওয়াশিংটন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য নতুন অস্ত্র সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। কারণ রাশিয়া সম্প্রতি হামলা আরও জোরদার করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের শহরগুলোর ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে। সোমবার রাতের মিসাইল ও শত শত ড্রোন হামলায় দু’জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেনও দীর্ঘপাল্লার ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবি সমর্থন করেছে। অন্যদিকে মস্কো বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আগে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আলোচনার অ্যাজেন্ডা পরিষ্কার-যুদ্ধবন্দিদের ফেরত; রাশিয়া কর্তৃক অপহৃত শিশুদের প্রত্যাবর্তন এবং নেতৃবৃন্দের একটি বৈঠকের প্রস্তুতি।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছেন।
এর আগে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি দেখা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পুতিন বলেছেন, তিনি জেলেনস্কিকে যুক্তিসংগত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচনা করেন না। কারণ ইউক্রেন মার্শাল ল’র অধীনে থাকায় তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও দেশটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমাদের একটি খসড়া স্মারকলিপি রয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও একটি খসড়া স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। এখন এই দুই খসড়ার ওপর মতবিনিময় ও আলোচনা হবে। যদিও এগুলো এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে।’
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন দফা শান্তি আলোচনা আগামী বুধবার তুরস্কে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ভরে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (২১ জুলাই) রাতে প্রতিদিনকার ভাষণে এক শীর্ষস্থানীয় কিয়েভ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে জেলেনস্কি আলোচনায় গতি আনার আহ্বান জানান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ক্রেমলিন বলেছে, তারা আলোচনার তারিখের নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে তারা উল্লেখ করেছে যে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে দুই পক্ষের অবস্থান ‘সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী’। সোমবার রাতে নিজের ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, তিনি ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে কথা বলেছেন। রুস্তেম উমেরভ বন্দি বিনিময় এবং রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কে একটি নতুন বৈঠকের প্রস্তুতির দায়িত্বে রয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘উমেরভ জানিয়েছেন, বৈঠকটি বুধবার হওয়ার কথা রয়েছে। বিস্তারিত আজ জানানো হবে।’ সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উমেরভ সম্প্রতি এই নতুন পদে নিয়োগ পেয়েছেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রথম দুই দফা আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্র-চালিত সংবাদ সংস্থা তাস তুরস্কে অবস্থিত একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আলোচনা বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। আরেকটি সংস্থা আরআইএ সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, আলোচনাটি দুই দিনব্যাপী চলবে।
জেলেনস্কি এই নতুন আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন গত সপ্তাহান্তে। এর কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন—মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার ওপর ‘গুরুতর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ওয়াশিংটন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য নতুন অস্ত্র সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। কারণ রাশিয়া সম্প্রতি হামলা আরও জোরদার করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের শহরগুলোর ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে। সোমবার রাতের মিসাইল ও শত শত ড্রোন হামলায় দু’জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেনও দীর্ঘপাল্লার ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবি সমর্থন করেছে। অন্যদিকে মস্কো বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আগে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আলোচনার অ্যাজেন্ডা পরিষ্কার-যুদ্ধবন্দিদের ফেরত; রাশিয়া কর্তৃক অপহৃত শিশুদের প্রত্যাবর্তন এবং নেতৃবৃন্দের একটি বৈঠকের প্রস্তুতি।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছেন।
এর আগে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি দেখা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পুতিন বলেছেন, তিনি জেলেনস্কিকে যুক্তিসংগত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচনা করেন না। কারণ ইউক্রেন মার্শাল ল’র অধীনে থাকায় তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও দেশটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমাদের একটি খসড়া স্মারকলিপি রয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও একটি খসড়া স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। এখন এই দুই খসড়ার ওপর মতবিনিময় ও আলোচনা হবে। যদিও এগুলো এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে।’