alt

‘না যুদ্ধ’, ‘না শান্তির’ মরণফাঁদে পড়ার ঝুঁকিতে গাজা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

গাজা এমন এক মরণফাঁদে পড়ার ঝুঁকিতে আছে, যেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও থামছে না রক্তপাত। কাতারের এক শীর্ষ কূটনীতিক মাজেদ আল আনসারি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনে দ্রুত অগ্রগতি সাধন এবং প্রশাসন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার পথ সুগম হয়। কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, “আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে যেতে চাই না যেখানে না যুদ্ধ, না শান্তি, এ দুইয়ের মাঝে ঝুলে থাকতে হয়।”

মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬৬ জন নারী ও শিশু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করার পর এটিই ছিল গাজায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন। ইসরায়েল বলেছে, রাফা শহরে হামলায় তাদের এক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে। চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গাজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে, যাতে সহিংসতা কমে আসে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের নিরস্ত্রীকরণের পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম হয়।

আনসারি ‘দ্য গার্ডিয়ান’-পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী ও নতুন ফিলিস্তিনি প্রশাসন দ্রুত গঠিত না হলে বর্তমান যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তিতে রূপ নেবে না। “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই সেখানে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন, পুনর্গঠন শুরু করা এবং শান্তি রক্ষার কাজ শুরু করা জরুরি। এটিই পুরো প্রক্রিয়াকে যুদ্ধ থেকে ‘পরবর্তী দিনের’ দিকে নিয়ে যাবে,” বলেন তিনি। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ২০ দফা পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর কাঠামো ও ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কাতার ও তার আঞ্চলিক মিত্ররা চায়, জাতিসংঘের সমর্থনের ভিত্তিতে এই বাহিনী গঠিত হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনও সেই সম্ভাবনা বিবেচনা করছে। মাজেদ আল আনসারি বলেন, “যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা এবং গাজায় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর জন্য ম্যান্ডেট আমরা পাই, তাহলে আমরা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সক্ষম হব বলে অত্যন্ত আশাবাদী।” তবে আন্তর্জাতিক বাহিনীর মোতায়েনের নানা শর্ত ও দায়িত্ব নির্ধারণ জটিল কূটনৈতিক প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হতে সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে। আর এতটা সময় গাজার হাতে নেই। সেখানে যুদ্ধবিরতি প্রতিনিয়িতই ভেঙে পড়ার মুখে আছে। হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করে চলেছে।

“প্রথম ধাপ শেষ করার আগেই আমরা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি,” বলেন আনসারি। “নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ শনাক্ত করা এবং প্রতিদিন আইডিএফ-এর হাতে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু এখনও চলছেই।” এদিকে, গাজায় এখনও ১১ জন জিম্মির মরদেহ রয়েছে, বৃহস্পতিবার হামাস ফিরিয়ে দিয়েছে দুইজনের দেহাবশেষ। ওদিকে, যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন আনসারি। “যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পক্ষে সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণই পাল্লা ভারি করেছে,” বলেন তিনি।

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

tab

‘না যুদ্ধ’, ‘না শান্তির’ মরণফাঁদে পড়ার ঝুঁকিতে গাজা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

গাজা এমন এক মরণফাঁদে পড়ার ঝুঁকিতে আছে, যেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও থামছে না রক্তপাত। কাতারের এক শীর্ষ কূটনীতিক মাজেদ আল আনসারি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনে দ্রুত অগ্রগতি সাধন এবং প্রশাসন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার পথ সুগম হয়। কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, “আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে যেতে চাই না যেখানে না যুদ্ধ, না শান্তি, এ দুইয়ের মাঝে ঝুলে থাকতে হয়।”

মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬৬ জন নারী ও শিশু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করার পর এটিই ছিল গাজায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন। ইসরায়েল বলেছে, রাফা শহরে হামলায় তাদের এক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে। চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গাজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে, যাতে সহিংসতা কমে আসে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের নিরস্ত্রীকরণের পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম হয়।

আনসারি ‘দ্য গার্ডিয়ান’-পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী ও নতুন ফিলিস্তিনি প্রশাসন দ্রুত গঠিত না হলে বর্তমান যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তিতে রূপ নেবে না। “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই সেখানে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন, পুনর্গঠন শুরু করা এবং শান্তি রক্ষার কাজ শুরু করা জরুরি। এটিই পুরো প্রক্রিয়াকে যুদ্ধ থেকে ‘পরবর্তী দিনের’ দিকে নিয়ে যাবে,” বলেন তিনি। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ২০ দফা পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর কাঠামো ও ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কাতার ও তার আঞ্চলিক মিত্ররা চায়, জাতিসংঘের সমর্থনের ভিত্তিতে এই বাহিনী গঠিত হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনও সেই সম্ভাবনা বিবেচনা করছে। মাজেদ আল আনসারি বলেন, “যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা এবং গাজায় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর জন্য ম্যান্ডেট আমরা পাই, তাহলে আমরা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সক্ষম হব বলে অত্যন্ত আশাবাদী।” তবে আন্তর্জাতিক বাহিনীর মোতায়েনের নানা শর্ত ও দায়িত্ব নির্ধারণ জটিল কূটনৈতিক প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হতে সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে। আর এতটা সময় গাজার হাতে নেই। সেখানে যুদ্ধবিরতি প্রতিনিয়িতই ভেঙে পড়ার মুখে আছে। হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করে চলেছে।

“প্রথম ধাপ শেষ করার আগেই আমরা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি,” বলেন আনসারি। “নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ শনাক্ত করা এবং প্রতিদিন আইডিএফ-এর হাতে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু এখনও চলছেই।” এদিকে, গাজায় এখনও ১১ জন জিম্মির মরদেহ রয়েছে, বৃহস্পতিবার হামাস ফিরিয়ে দিয়েছে দুইজনের দেহাবশেষ। ওদিকে, যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন আনসারি। “যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পক্ষে সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণই পাল্লা ভারি করেছে,” বলেন তিনি।

back to top