alt

৩০ প্যালেস্টাইনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল, গাজায় ফের হামলা

সংবাদ ডেস্ক : শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ইসরায়েলের হাতে আটকের পর মারা যাওয়া আরও ৩০ প্যালেস্টাইনি বন্দির মৃতদেহ অবরুদ্ধ গাজায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রেডক্রসের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো এসব প্যালেস্টাইনিদের কারও কারও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।

প্যালেস্টাইনিদের এসব দেহাবশেষ ফেরত আসার দিনটিতেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চলমান নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই প্যালেস্টাইনিছিটমহলটিতে চালানো এসব হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শুজায়ে এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক প্যালেস্টাইনিনিহত ও তার ভাই আহত হন। বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে আরেক প্যালেস্টাইনিনিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর আগের গোলাবর্ষণে আহত তৃতীয় আরেকজন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে।

গাজার দমকল বাহিনীর কর্মীরা জানিয়েছেন, ছিটমহলটির মধ্যাঞ্চলীয় আয-যাহার এলাকার আবু মাদিয়ান পরিবারের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে তারা এক প্যালেস্টাইনির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।এই এলাকার পাশাপাশি ওই দিন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের ভবনগুলোতেও আঘাত হেনেছে।

গত অক্টোবরের প্রথমদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় বন্দি মৃত প্যালেস্টাইনিদের দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল।

এক বিবৃতিতে প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরায়েল মোট ২২৫ জন মৃত প্যালেস্টাইনিবন্দির দেহাবশেষ ফেরত দিল। মেডিকেল টিমগুলো সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মান অনুযায়ী এসব দেহাবশেষ শনাক্ত করতে কাজ করছে। শনাক্তকরণ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করার পর মৃতদের পরিবারগুলোকে লাশ নেয়ার জন্য খবর দেয়া হবে।

ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে হাজারোপ্যালেস্টাইনিবন্দি আছে। তাদের অনেককেই বিনাবিচারে আটকে রাখা হয়েছে। কারাগারে প্যালেস্টাইনিবন্দিদের ওপর ইসরায়েলিদের নির্যাতনের অভিযোগ কয়েক বছর ধরেই নিয়মিতভাবে পাওয়া যাচ্ছে, আর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

tab

৩০ প্যালেস্টাইনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল, গাজায় ফের হামলা

সংবাদ ডেস্ক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলের হাতে আটকের পর মারা যাওয়া আরও ৩০ প্যালেস্টাইনি বন্দির মৃতদেহ অবরুদ্ধ গাজায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রেডক্রসের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো এসব প্যালেস্টাইনিদের কারও কারও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।

প্যালেস্টাইনিদের এসব দেহাবশেষ ফেরত আসার দিনটিতেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চলমান নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই প্যালেস্টাইনিছিটমহলটিতে চালানো এসব হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শুজায়ে এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক প্যালেস্টাইনিনিহত ও তার ভাই আহত হন। বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে আরেক প্যালেস্টাইনিনিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর আগের গোলাবর্ষণে আহত তৃতীয় আরেকজন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে।

গাজার দমকল বাহিনীর কর্মীরা জানিয়েছেন, ছিটমহলটির মধ্যাঞ্চলীয় আয-যাহার এলাকার আবু মাদিয়ান পরিবারের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে তারা এক প্যালেস্টাইনির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।এই এলাকার পাশাপাশি ওই দিন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের ভবনগুলোতেও আঘাত হেনেছে।

গত অক্টোবরের প্রথমদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় বন্দি মৃত প্যালেস্টাইনিদের দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল।

এক বিবৃতিতে প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরায়েল মোট ২২৫ জন মৃত প্যালেস্টাইনিবন্দির দেহাবশেষ ফেরত দিল। মেডিকেল টিমগুলো সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মান অনুযায়ী এসব দেহাবশেষ শনাক্ত করতে কাজ করছে। শনাক্তকরণ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করার পর মৃতদের পরিবারগুলোকে লাশ নেয়ার জন্য খবর দেয়া হবে।

ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে হাজারোপ্যালেস্টাইনিবন্দি আছে। তাদের অনেককেই বিনাবিচারে আটকে রাখা হয়েছে। কারাগারে প্যালেস্টাইনিবন্দিদের ওপর ইসরায়েলিদের নির্যাতনের অভিযোগ কয়েক বছর ধরেই নিয়মিতভাবে পাওয়া যাচ্ছে, আর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।

back to top