ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে ‘লং মার্চ-২এফ’ রকেটের সাহায্যে ‘শেনঝৌ-২১’ মহাকাশযান শুক্রবার (৩১ নভেম্বর) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
২০২২ সালে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গড়ে ওঠা চীনের এই মহাকাশ স্টেশনের এটি সপ্তম মানববাহী মিশন। এই অভিযানের মাধ্যমে ৩২ বছর বয়সী উ ফেই প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাচ্ছেন এবং তিনি চীনের ইতিহাসে মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে তরুণ মহাকাশচারী হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়লেন। উ ফেই এবং ৩৯ বছর বয়সী ঝাং হংঝাং, তারা দুজনই ২০২০ সালে এই মহাকাশ কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই মিশনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী ঝাং লু (৪৮), যিনি এর আগে ২০২২ সালের ‘শেনঝৌ-১৫’ অভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন।
এই মিশনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নভোচারীদের সঙ্গে প্রথম বারের মতো চারটি কালো ইঁদুরকে চীনের মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। চীনের মহাকাশ স্টেশনে এই প্রথম কোনো ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী নেওয়া হলো। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রাণীর প্রজনন প্রক্রিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই এই ইঁদুরগুলোকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
শেনঝৌ-২১ অভিযানের নভোচারীরা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন শেনঝৌ-২০ দলের কাছ থেকে, যারা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘তিয়ানগং’ নামের চীনা মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান ও কাজ করেছেন এবং শেনঝৌ-২০ দলের সদস্যরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। শেনঝৌ সিরিজের মহাকাশযানগুলোতে সাধারণত তিনজন মহাকাশচারী ছয় মাসের জন্য মহাকাশে অবস্থান করেন এবং এই কর্মসূচিতে অভিজ্ঞ মহাকাশচারীদের পাশাপাশি ক্রমে তরুণ প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
প্রতি ছয় মাস অন্তর মহাকাশযান উৎক্ষেপণ এখন শেনঝৌ কর্মসূচির একটি নিয়মিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। গত এক বছরে এই কর্মসূচির মাধ্যমে চীন মহাকাশ গবেষণায় বেশ কয়েকটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া নভোচারীদের মহাকাশে পাঠানো, বিশ্বের দীর্ঘতম সময়ের মহাকাশে হাঁটা (স্পেসওয়াক) রেকর্ড এবং আগামী বছর পাকিস্তানের একজন নভোচারীকে ‘তিয়ানগং’ স্টেশনে পাঠানোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে ‘লং মার্চ-২এফ’ রকেটের সাহায্যে ‘শেনঝৌ-২১’ মহাকাশযান শুক্রবার (৩১ নভেম্বর) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
২০২২ সালে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গড়ে ওঠা চীনের এই মহাকাশ স্টেশনের এটি সপ্তম মানববাহী মিশন। এই অভিযানের মাধ্যমে ৩২ বছর বয়সী উ ফেই প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাচ্ছেন এবং তিনি চীনের ইতিহাসে মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে তরুণ মহাকাশচারী হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়লেন। উ ফেই এবং ৩৯ বছর বয়সী ঝাং হংঝাং, তারা দুজনই ২০২০ সালে এই মহাকাশ কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই মিশনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী ঝাং লু (৪৮), যিনি এর আগে ২০২২ সালের ‘শেনঝৌ-১৫’ অভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন।
এই মিশনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নভোচারীদের সঙ্গে প্রথম বারের মতো চারটি কালো ইঁদুরকে চীনের মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। চীনের মহাকাশ স্টেশনে এই প্রথম কোনো ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী নেওয়া হলো। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রাণীর প্রজনন প্রক্রিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই এই ইঁদুরগুলোকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
শেনঝৌ-২১ অভিযানের নভোচারীরা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন শেনঝৌ-২০ দলের কাছ থেকে, যারা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘তিয়ানগং’ নামের চীনা মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান ও কাজ করেছেন এবং শেনঝৌ-২০ দলের সদস্যরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। শেনঝৌ সিরিজের মহাকাশযানগুলোতে সাধারণত তিনজন মহাকাশচারী ছয় মাসের জন্য মহাকাশে অবস্থান করেন এবং এই কর্মসূচিতে অভিজ্ঞ মহাকাশচারীদের পাশাপাশি ক্রমে তরুণ প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
প্রতি ছয় মাস অন্তর মহাকাশযান উৎক্ষেপণ এখন শেনঝৌ কর্মসূচির একটি নিয়মিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। গত এক বছরে এই কর্মসূচির মাধ্যমে চীন মহাকাশ গবেষণায় বেশ কয়েকটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া নভোচারীদের মহাকাশে পাঠানো, বিশ্বের দীর্ঘতম সময়ের মহাকাশে হাঁটা (স্পেসওয়াক) রেকর্ড এবং আগামী বছর পাকিস্তানের একজন নভোচারীকে ‘তিয়ানগং’ স্টেশনে পাঠানোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।