ইসরায়েলি হামলায় আহতদের গাজায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে -এএফপি
গাজার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আল-আকসা হাসপাতাল। এখানে বিসান আবু আমির এমন এক প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন, যা আসলেই পূরণ হওয়ার নয়। চিকিৎসকরা এখনও তাঁর অসুস্থতা নির্ণয় করতে পারেননি। তাঁর মা বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম নেই। কী হয়েছে তাঁর সেটাই নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক হাসপাতাল তারা ঘুরেছে। কোথাও চিকিৎসা হয়নি।
তাদের ওয়ার্ডের বিপরীতে ওয়ালিদ নামে এক ১৩ বছর বয়সী কিশোর পড়ে আছে। সে হঠাৎ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটি একটি বিরল ব্যাধি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তার মা বলেন, ইসরায়েলিদের ছোড়া বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে তার এমনটা হয়েছে। নড়াচড়া কিংবা কথা বলার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দারা তাদের জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত লড়াই করছে। একদিকে তাদের ঘরবাড়ি নেই, অন্যদিকে খাবারের সংকট। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা না থাকায় হাজার হাজার রোগী মৃত্যুমুখে পড়েছে। বাস্তুচ্যুত শত শত পরিবার তাদের স্বজনের মরদেহ খুঁজে পাচ্ছে না। গাজার ধ্বংসস্তূপে অন্তত ১০ হাজার মরদেহ চাপা পড়ে আছে। উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকায় লাশগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যেই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবারও দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৯৪ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
আলজাজিরা জানায়, প্রায় চার হাজার শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ হাজার রোগী গাজার বাইরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু কয়েক মাস ধরে মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ থাকায় তারা আটকা পড়েছেন। এদিকে হামাস জিম্মি তিন ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে। গত রোববার গাজায় রেড ক্রসের মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে প্রাপ্ত তিনজন নিহত জিম্মির পরিচয় ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে। হামাসের হাতে আরও আটজন মৃত জিম্মি রয়েছে। দক্ষিণ গাজার খানইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। ড্রোন হামলায় আহত হয়েছেন এক ফিলিস্তিনি। অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে অভিযান চালিয়েছে হানাদার বাহিনী। নাবলুসের দক্ষিণে হামলার সময় বসতি স্থাপনকারীরা গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায়ও হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবিমান। হেবরনের উত্তরে বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। তার নাম আহমেদ রাবি আল-আতরাশ। এ ছাড়া পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় নাবলুসের পূর্বে বেইত ফৌরিকে ১৭ বছর বয়সী জামিল আতেফ হানানিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। গত দুই বছরে হামলায় অন্তত ৬৮ হাজার ৮৫৮ জন নিহত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিবিএস নিউজে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গাজায় চুক্তির পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলেও তিনি যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা করেছিলেন, তা কখনও ভঙ্গুর নয়।
হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ: আনাদোলু জানায়, গাজার মিডিয়া অফিস উল্লেখ করেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ধ্বংস্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধারে ভারী মেশিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়ার কথা। কিন্তু ইসরায়েল এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বুলডোজারসহ ভারী উদ্ধার সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ উদ্ধারে ভারী যন্ত্র পাঠিয়েছে ইসরায়েল। প্রায় ৯ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ রয়েছে। পরিবার বলছে, তারা মারা গেছে, না অন্যত্র কোথাও আছে, তা তারা জানে না। গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ বেসামরিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী গাজায় তিন লাখের বেশি তাঁবু পাঠানোর কথা থাকলেও ইসরায়েল পাঠায়নি। ফলে দুই লাখ ৮৮ হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার রাস্তায় ও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির মাঝেও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই হামলায় প্রাণহানির খবরও এসেছে। এ অবস্থায় পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল আরও ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মুক্ত হওয়া এসব বন্দিকে পরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে আটক রয়েছেন, যাদের অনেককেই কোনো অভিযোগ ছাড়াই তথাকথিত প্রশাসনিক আদেশে আটক রাখা হয়েছে। এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ফেরত পাওয়া মোট মরদেহের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭০।
মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। অনুমোদিত চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রোটোকল অনুযায়ী বাকি মরদেহগুলোর পরীক্ষার কাজ চলছে, এরপর সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন, হাত বাঁধা, চোখে কাপড় বাঁধা ও মুখ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগ ছাড়াই ফেরত দেওয়া হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ইসরায়েলি হামলায় আহতদের গাজায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে -এএফপি
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
গাজার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আল-আকসা হাসপাতাল। এখানে বিসান আবু আমির এমন এক প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন, যা আসলেই পূরণ হওয়ার নয়। চিকিৎসকরা এখনও তাঁর অসুস্থতা নির্ণয় করতে পারেননি। তাঁর মা বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম নেই। কী হয়েছে তাঁর সেটাই নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক হাসপাতাল তারা ঘুরেছে। কোথাও চিকিৎসা হয়নি।
তাদের ওয়ার্ডের বিপরীতে ওয়ালিদ নামে এক ১৩ বছর বয়সী কিশোর পড়ে আছে। সে হঠাৎ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটি একটি বিরল ব্যাধি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তার মা বলেন, ইসরায়েলিদের ছোড়া বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে তার এমনটা হয়েছে। নড়াচড়া কিংবা কথা বলার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দারা তাদের জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত লড়াই করছে। একদিকে তাদের ঘরবাড়ি নেই, অন্যদিকে খাবারের সংকট। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা না থাকায় হাজার হাজার রোগী মৃত্যুমুখে পড়েছে। বাস্তুচ্যুত শত শত পরিবার তাদের স্বজনের মরদেহ খুঁজে পাচ্ছে না। গাজার ধ্বংসস্তূপে অন্তত ১০ হাজার মরদেহ চাপা পড়ে আছে। উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকায় লাশগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যেই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবারও দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৯৪ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
আলজাজিরা জানায়, প্রায় চার হাজার শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ হাজার রোগী গাজার বাইরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু কয়েক মাস ধরে মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ থাকায় তারা আটকা পড়েছেন। এদিকে হামাস জিম্মি তিন ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে। গত রোববার গাজায় রেড ক্রসের মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে প্রাপ্ত তিনজন নিহত জিম্মির পরিচয় ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে। হামাসের হাতে আরও আটজন মৃত জিম্মি রয়েছে। দক্ষিণ গাজার খানইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। ড্রোন হামলায় আহত হয়েছেন এক ফিলিস্তিনি। অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে অভিযান চালিয়েছে হানাদার বাহিনী। নাবলুসের দক্ষিণে হামলার সময় বসতি স্থাপনকারীরা গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায়ও হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবিমান। হেবরনের উত্তরে বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। তার নাম আহমেদ রাবি আল-আতরাশ। এ ছাড়া পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় নাবলুসের পূর্বে বেইত ফৌরিকে ১৭ বছর বয়সী জামিল আতেফ হানানিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। গত দুই বছরে হামলায় অন্তত ৬৮ হাজার ৮৫৮ জন নিহত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিবিএস নিউজে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গাজায় চুক্তির পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলেও তিনি যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা করেছিলেন, তা কখনও ভঙ্গুর নয়।
হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ: আনাদোলু জানায়, গাজার মিডিয়া অফিস উল্লেখ করেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ধ্বংস্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধারে ভারী মেশিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়ার কথা। কিন্তু ইসরায়েল এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বুলডোজারসহ ভারী উদ্ধার সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ উদ্ধারে ভারী যন্ত্র পাঠিয়েছে ইসরায়েল। প্রায় ৯ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ রয়েছে। পরিবার বলছে, তারা মারা গেছে, না অন্যত্র কোথাও আছে, তা তারা জানে না। গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ বেসামরিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী গাজায় তিন লাখের বেশি তাঁবু পাঠানোর কথা থাকলেও ইসরায়েল পাঠায়নি। ফলে দুই লাখ ৮৮ হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার রাস্তায় ও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির মাঝেও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই হামলায় প্রাণহানির খবরও এসেছে। এ অবস্থায় পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল আরও ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মুক্ত হওয়া এসব বন্দিকে পরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে আটক রয়েছেন, যাদের অনেককেই কোনো অভিযোগ ছাড়াই তথাকথিত প্রশাসনিক আদেশে আটক রাখা হয়েছে। এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ফেরত পাওয়া মোট মরদেহের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭০।
মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। অনুমোদিত চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রোটোকল অনুযায়ী বাকি মরদেহগুলোর পরীক্ষার কাজ চলছে, এরপর সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন, হাত বাঁধা, চোখে কাপড় বাঁধা ও মুখ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগ ছাড়াই ফেরত দেওয়া হয়।