গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে সোমবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শিশুরা তাদের তাঁবুর বাইরে বসে আছে -এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই জিম্মি-বন্দিবিনিময়ের মাধ্যমে শেষ হতে চলেছে। তবে পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ মোটেও এগোয়নি।
গাজায় স্বাধীন কর্তৃপক্ষ বসানো কিংবা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করার বিষয়টি এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাদের চিহ্নিত করা হলুদ রেখা বরাবর গাজা বিভক্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। অন্যদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই গোলাবর্ষণ করছে তারা। নিহত কিংবা আহতের তালিকা বড় হচ্ছে দিন দিন। গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
গাজা এখন কার্যত দুই অংশে ভাগ হয়ে গেছে। হলুদ রেখা বরাবর এলাকা ইসরায়েলি সেনারা নিয়ন্ত্রণ করছে, যা গাজার মোট এলাকার ৫৩ শতাংশ। এই এলাকার মধ্যে রয়েছে গাজার বেশির ভাগ কৃষিজমি, দক্ষিণে রাফা, গাজা শহরের কিছু অংশ এবং অন্যান্য নগর এলাকা। আর অস্ত্র ত্যাগ না করা পর্যন্ত বাকি অংশ হামাসের নিয়ন্ত্রণেই থাকছে বলা যায়। এ অবস্থায় ট্রাম্পের পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন না হলে গাজা কার্যত বিভক্তই থাকবে। এই বিভাজন বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরই মধ্যে ইসরায়েল ২৮২ বার শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ২৪২ নিহত ও ৬২০ জন আহত হয়েছেন। গত দুই বছরে দখলদার বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেছে ৬৯ হাজার ১৬৯ ফিলিস্তিনির। বর্তমানে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ তাঁবুতে বসবাস করছে। কারণ ইসরায়েলি হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে। রয়টার্সের ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, গাজা শহরের উত্তর-পূর্বে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বোমাবর্ষণের ফল এটা।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ কার্যকর হলে তথাকথিত হলুদ রেখা থেকে ইসরায়েলকে আরও সরে যেতে হবে। পাশাপাশি গাজা শাসনের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কিন্তু চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কবে বাস্তবায়ন হবে, তা কেউ জানে না।
হামাস নিরস্ত্রীকরণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল সমর্থিত কোনো কর্তৃপক্ষের শাসন মানবে না। একই কারণে বহুজাতিক বাহিনী গঠনও এখন অনিশ্চয়তায়। ইতোমধ্যে কাতার ঘোষণা করেছে, স্পষ্ট রূপরেখা ছাড়া তারা গাজার বাহিনীতে অংশ নেবে না। পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের অংশ হিসেবে হামাস গাজায় আটকে থাকা শেষ ২০ জন জীবিত জিম্মিকে এবং ২৪ জন মৃত জিম্মির দেহাবশেষকে মুক্তি দিয়েছে। আরও চার জিম্মির দেহাবশেষ এখনও গাজায় রয়েছে।
এদিকে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’, তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের দখল করা এলাকায় তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র পেছনে হাজারো ‘স্ক্রিনিং করা বা বাছাইকৃত’ ফিলিস্তিনির জন্য ঘরবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই পরিকল্পনায় যুক্ত থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব বসতিকে বলেছেন ‘অষঃবৎহধঃব ঝধভব ঈড়সসঁহরঃরবং বা বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়।’ এখানে প্রবেশের আগে ফিলিস্তিনিদের ‘হামাসবিরোধী’ মনোভাব প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে। প্রস্তাবটি উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্র্যাঙ্কের এক ই-মেইলে। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির তত্ত্বাবধানে থাকা বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত ইসরায়েলি সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যায়।
ফ্র্যাঙ্ক তাঁর ই-মেইলে লিখেছেন, প্রতিটি বসতিতে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি স্কুল, একটি প্রশাসনিক ভবন এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা প্রায় প্রতিদিনই বদলাচ্ছে, বসতিগুলোর নির্ধারিত জনসংখ্যাও ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দল পরিকল্পনাটি সংশোধন করে প্রতিটি বসতির জনসংখ্যা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে প্রায় ৬ হাজারে নামিয়ে এনেছে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, গাজার যেসব এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে আছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদাররা সেই অঞ্চলগুলো পুনর্গঠন করতে পারে। তবে হামাস নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় গাজাকে ধ্বংসস্তূপ হিসেবে রেখে দেওয়া হবে। গাজা ভাগ করার এই পরিকল্পনায় নানা বিপদ রয়েছে। তবু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি-প্রচেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুই আরব কূটনীতিক বলেছেন, তাঁরা এই উদ্যোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, এটি গাজার একাংশকে স্থায়ীভাবে দখল করে রাখার প্রাথমিক ধাপ হতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে সোমবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শিশুরা তাদের তাঁবুর বাইরে বসে আছে -এএফপি
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই জিম্মি-বন্দিবিনিময়ের মাধ্যমে শেষ হতে চলেছে। তবে পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ মোটেও এগোয়নি।
গাজায় স্বাধীন কর্তৃপক্ষ বসানো কিংবা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করার বিষয়টি এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাদের চিহ্নিত করা হলুদ রেখা বরাবর গাজা বিভক্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। অন্যদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই গোলাবর্ষণ করছে তারা। নিহত কিংবা আহতের তালিকা বড় হচ্ছে দিন দিন। গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
গাজা এখন কার্যত দুই অংশে ভাগ হয়ে গেছে। হলুদ রেখা বরাবর এলাকা ইসরায়েলি সেনারা নিয়ন্ত্রণ করছে, যা গাজার মোট এলাকার ৫৩ শতাংশ। এই এলাকার মধ্যে রয়েছে গাজার বেশির ভাগ কৃষিজমি, দক্ষিণে রাফা, গাজা শহরের কিছু অংশ এবং অন্যান্য নগর এলাকা। আর অস্ত্র ত্যাগ না করা পর্যন্ত বাকি অংশ হামাসের নিয়ন্ত্রণেই থাকছে বলা যায়। এ অবস্থায় ট্রাম্পের পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন না হলে গাজা কার্যত বিভক্তই থাকবে। এই বিভাজন বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরই মধ্যে ইসরায়েল ২৮২ বার শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ২৪২ নিহত ও ৬২০ জন আহত হয়েছেন। গত দুই বছরে দখলদার বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেছে ৬৯ হাজার ১৬৯ ফিলিস্তিনির। বর্তমানে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ তাঁবুতে বসবাস করছে। কারণ ইসরায়েলি হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে। রয়টার্সের ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, গাজা শহরের উত্তর-পূর্বে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বোমাবর্ষণের ফল এটা।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ কার্যকর হলে তথাকথিত হলুদ রেখা থেকে ইসরায়েলকে আরও সরে যেতে হবে। পাশাপাশি গাজা শাসনের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কিন্তু চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কবে বাস্তবায়ন হবে, তা কেউ জানে না।
হামাস নিরস্ত্রীকরণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল সমর্থিত কোনো কর্তৃপক্ষের শাসন মানবে না। একই কারণে বহুজাতিক বাহিনী গঠনও এখন অনিশ্চয়তায়। ইতোমধ্যে কাতার ঘোষণা করেছে, স্পষ্ট রূপরেখা ছাড়া তারা গাজার বাহিনীতে অংশ নেবে না। পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের অংশ হিসেবে হামাস গাজায় আটকে থাকা শেষ ২০ জন জীবিত জিম্মিকে এবং ২৪ জন মৃত জিম্মির দেহাবশেষকে মুক্তি দিয়েছে। আরও চার জিম্মির দেহাবশেষ এখনও গাজায় রয়েছে।
এদিকে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’, তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের দখল করা এলাকায় তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র পেছনে হাজারো ‘স্ক্রিনিং করা বা বাছাইকৃত’ ফিলিস্তিনির জন্য ঘরবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই পরিকল্পনায় যুক্ত থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব বসতিকে বলেছেন ‘অষঃবৎহধঃব ঝধভব ঈড়সসঁহরঃরবং বা বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়।’ এখানে প্রবেশের আগে ফিলিস্তিনিদের ‘হামাসবিরোধী’ মনোভাব প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে। প্রস্তাবটি উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্র্যাঙ্কের এক ই-মেইলে। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির তত্ত্বাবধানে থাকা বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত ইসরায়েলি সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যায়।
ফ্র্যাঙ্ক তাঁর ই-মেইলে লিখেছেন, প্রতিটি বসতিতে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি স্কুল, একটি প্রশাসনিক ভবন এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা প্রায় প্রতিদিনই বদলাচ্ছে, বসতিগুলোর নির্ধারিত জনসংখ্যাও ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দল পরিকল্পনাটি সংশোধন করে প্রতিটি বসতির জনসংখ্যা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে প্রায় ৬ হাজারে নামিয়ে এনেছে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, গাজার যেসব এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে আছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদাররা সেই অঞ্চলগুলো পুনর্গঠন করতে পারে। তবে হামাস নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় গাজাকে ধ্বংসস্তূপ হিসেবে রেখে দেওয়া হবে। গাজা ভাগ করার এই পরিকল্পনায় নানা বিপদ রয়েছে। তবু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি-প্রচেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুই আরব কূটনীতিক বলেছেন, তাঁরা এই উদ্যোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, এটি গাজার একাংশকে স্থায়ীভাবে দখল করে রাখার প্রাথমিক ধাপ হতে পারে।