বাজেট ঘোষণার পরই লেবার পার্টির ভেতরে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্ব টিকে থাকবে কি না, সেই আশঙ্কা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে ফের শুরু হয়েছে নেতৃত্ব সংকটের আলোচনা, এবং স্টারমারকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার গুঞ্জন ছড়িয়েছে ওয়েস্টমিনস্টারে।
স্টারমারের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছে, বাজেট ঘোষণার পরই নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার তৎপরতা শুরু হতে পারে। তবে স্টারমারের সহযোগীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদ ছাড়বেন না এবং যেকোনো অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মুখেও লড়াই চালিয়ে যাবেন।
স্টারমারবিরোধী গোষ্ঠী বিকল্প নেতৃত্বের জন্য মন্ত্রিসভারই কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্যের নাম আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব ওয়েস স্ট্রিটিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ, জ্বালানি মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড এবং সাবেক পরিবহনমন্ত্রী লুইস হেইগ। তবে স্ট্রিটিংয়ের পক্ষ থেকে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তার মনোযোগ কেবল স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে। বর্তমানে ডাউনিং স্ট্রিটের অভ্যন্তরে চলছে অস্থিরতা ও পারস্পরিক অভিযোগ। একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দল নিজস্ব সহযোগীদের বিরুদ্ধেই নেতিবাচক প্রচারে নেমেছে, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি প্রশাসনিক স্থিতিও দুর্বল করছে।
একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, স্টারমারের জনপ্রিয়তা লেবার পার্টির ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। দলীয় কিছু মন্ত্রী মনে করছেন, এই অবস্থায় মে মাস পর্যন্ত সরকার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। তবে স্টারমারের সমর্থকরা সতর্ক করছেন, এই মুহূর্তে নেতৃত্ব পরিবর্তন মানে হবে লেবার পার্টির জন্য ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’, ‘বাজারের অস্থিতিশীলতা’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অর্জিত সম্পর্কের ঝুঁকি। তাদের মতে, এখন নেতৃত্ব বদল একটি ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
বাজেট ঘোষণার পরই লেবার পার্টির ভেতরে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্ব টিকে থাকবে কি না, সেই আশঙ্কা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে ফের শুরু হয়েছে নেতৃত্ব সংকটের আলোচনা, এবং স্টারমারকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার গুঞ্জন ছড়িয়েছে ওয়েস্টমিনস্টারে।
স্টারমারের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছে, বাজেট ঘোষণার পরই নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার তৎপরতা শুরু হতে পারে। তবে স্টারমারের সহযোগীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদ ছাড়বেন না এবং যেকোনো অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মুখেও লড়াই চালিয়ে যাবেন।
স্টারমারবিরোধী গোষ্ঠী বিকল্প নেতৃত্বের জন্য মন্ত্রিসভারই কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্যের নাম আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব ওয়েস স্ট্রিটিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ, জ্বালানি মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড এবং সাবেক পরিবহনমন্ত্রী লুইস হেইগ। তবে স্ট্রিটিংয়ের পক্ষ থেকে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তার মনোযোগ কেবল স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে। বর্তমানে ডাউনিং স্ট্রিটের অভ্যন্তরে চলছে অস্থিরতা ও পারস্পরিক অভিযোগ। একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দল নিজস্ব সহযোগীদের বিরুদ্ধেই নেতিবাচক প্রচারে নেমেছে, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি প্রশাসনিক স্থিতিও দুর্বল করছে।
একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, স্টারমারের জনপ্রিয়তা লেবার পার্টির ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। দলীয় কিছু মন্ত্রী মনে করছেন, এই অবস্থায় মে মাস পর্যন্ত সরকার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। তবে স্টারমারের সমর্থকরা সতর্ক করছেন, এই মুহূর্তে নেতৃত্ব পরিবর্তন মানে হবে লেবার পার্টির জন্য ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’, ‘বাজারের অস্থিতিশীলতা’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অর্জিত সম্পর্কের ঝুঁকি। তাদের মতে, এখন নেতৃত্ব বদল একটি ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’