অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মসজিদে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা অনবরত বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সালফিত এলাকার কাছে দেইর ইস্তিয়া গ্রামের হাজ্জা হামিদা মসজিদে আগুন দেয়। ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, মসজিদের দেয়ালে স্প্রে ব্যবহার করে বর্ণবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিনবিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছে এবং মসজিদের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের কিছু কপিও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এসব সহিংসতার ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে, যখন কিনা চলতি বছর পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও সেনাদের হামলার সংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) তাদের সবশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, গত ১ অক্টোবর থেকে শুধু জলপাই চাষকে কেন্দ্র করে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের চালানো কমপক্ষে ১৬৭টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এসব হামলায় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত ও ৫ হাজার ৭০০টিরও বেশি গাছ নষ্ট হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের আড়ালে পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি হামলা বেড়েছে। ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই ঘটনার বাইরে পশ্চিম তীরের দক্ষিণে হেবরনের কাছে বেইত উম্মার শহরে শুক্রবার, (১৪ নভেম্বর ২০২৫) এক অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মসজিদে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা অনবরত বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সালফিত এলাকার কাছে দেইর ইস্তিয়া গ্রামের হাজ্জা হামিদা মসজিদে আগুন দেয়। ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, মসজিদের দেয়ালে স্প্রে ব্যবহার করে বর্ণবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিনবিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছে এবং মসজিদের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের কিছু কপিও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এসব সহিংসতার ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে, যখন কিনা চলতি বছর পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও সেনাদের হামলার সংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) তাদের সবশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, গত ১ অক্টোবর থেকে শুধু জলপাই চাষকে কেন্দ্র করে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের চালানো কমপক্ষে ১৬৭টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এসব হামলায় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত ও ৫ হাজার ৭০০টিরও বেশি গাছ নষ্ট হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের আড়ালে পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি হামলা বেড়েছে। ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই ঘটনার বাইরে পশ্চিম তীরের দক্ষিণে হেবরনের কাছে বেইত উম্মার শহরে শুক্রবার, (১৪ নভেম্বর ২০২৫) এক অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়।