ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লাল কেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে দেশটির পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সাতজনের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা তারা অনুসন্ধান করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লির উপকণ্ঠ ফারিদাবাদে উদ্ধার করা ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্যের সঙ্গে এ ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক প্রস্তাবে এই বিস্ফোরণকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির দ্বারা সংঘটিত ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করে বলেছিলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কেউ ছাড় পাবে না, প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। অমিত শাহ বলেন, তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করতে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ‘আনলফুল অ্যাকটিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএপিএ)’, বিস্ফোরক আইন এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা হয়েছে। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) কাছে। এনআইএ বা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও সংবাদ সম্মেলন করেনি বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এনআইএ সূত্র জানিয়েছে, তারা মাত্রই দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার তদন্তভার নিয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ নথিপত্র যাচাই করছে। সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা সব দিক তদন্ত করছি, বিশেষ করে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে সেই গাড়িচালকের যোগ আছে কি না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি বিস্ফোরণের আগে কয়েক ঘণ্টা ধরে শহর ঘুরেছেন এবং বিস্ফোরণের আগেই তিন ঘণ্টা ধরে কাছের একটি পার্কিং লটে গাড়িটি রাখেন। তবে এনআইএ বা পুলিশ এসব তথ্য এখনও নিশ্চিত করেনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লাল কেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে দেশটির পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সাতজনের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা তারা অনুসন্ধান করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লির উপকণ্ঠ ফারিদাবাদে উদ্ধার করা ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্যের সঙ্গে এ ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক প্রস্তাবে এই বিস্ফোরণকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির দ্বারা সংঘটিত ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করে বলেছিলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কেউ ছাড় পাবে না, প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। অমিত শাহ বলেন, তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করতে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ‘আনলফুল অ্যাকটিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএপিএ)’, বিস্ফোরক আইন এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা হয়েছে। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) কাছে। এনআইএ বা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও সংবাদ সম্মেলন করেনি বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এনআইএ সূত্র জানিয়েছে, তারা মাত্রই দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার তদন্তভার নিয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ নথিপত্র যাচাই করছে। সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা সব দিক তদন্ত করছি, বিশেষ করে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে সেই গাড়িচালকের যোগ আছে কি না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি বিস্ফোরণের আগে কয়েক ঘণ্টা ধরে শহর ঘুরেছেন এবং বিস্ফোরণের আগেই তিন ঘণ্টা ধরে কাছের একটি পার্কিং লটে গাড়িটি রাখেন। তবে এনআইএ বা পুলিশ এসব তথ্য এখনও নিশ্চিত করেনি।