ভারতের নাগাল্যান্ডে ‘ভুল অ্যামবুশে’ ১৩ জন কয়লা খনি শ্রমিককে হত্যা করেছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা।
শনিবার সন্ধ্যায় নাগাল্যান্ডের মোন জেলায় এক অভিযানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
হতাহতের সংখ্যার বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে কেউ নিশ্চিত করেনি। জেলা কর্তৃপক্ষ কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর কাউকে এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, ‘ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (খাপলাং-ইয়াং অং/এনএসসিএন)’ সংগঠনের সদস্য ভেবে তাদের অ্যামবুশ করে প্যারা কমান্ডো সদস্যরা।
কয়লা খনি এলাকা তিরু এবং হতাহতদের গ্রাম ওটিং-এর মাঝে এ ঘটনা ঘটে। দুই এলাকার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার।
সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গুলিতে বহু গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। গ্রামটি মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত
নিহতদের মধ্যে এক জওয়ান রয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছিল।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক জওয়ান রয়েছেন।
গুলিতে গ্রামবাসী মারা গেলে উত্তেজনা বাড়ে। পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য গুলি চালাতে হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও টুইটারে এই ঘটনার উল্লেখ করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। একে ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সব শ্রেণির মানুষের প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অসম রাইফেলস-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’
নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, আসাম ও মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে নাগা স্বাধীনভূমি বা ‘নাগালিম’ গড়তে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন।
সংগঠনটি দুই ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মুইভা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু অপর অংশটি এখনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চালাচ্ছে।
রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
ভারতের নাগাল্যান্ডে ‘ভুল অ্যামবুশে’ ১৩ জন কয়লা খনি শ্রমিককে হত্যা করেছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা।
শনিবার সন্ধ্যায় নাগাল্যান্ডের মোন জেলায় এক অভিযানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
হতাহতের সংখ্যার বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে কেউ নিশ্চিত করেনি। জেলা কর্তৃপক্ষ কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর কাউকে এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, ‘ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (খাপলাং-ইয়াং অং/এনএসসিএন)’ সংগঠনের সদস্য ভেবে তাদের অ্যামবুশ করে প্যারা কমান্ডো সদস্যরা।
কয়লা খনি এলাকা তিরু এবং হতাহতদের গ্রাম ওটিং-এর মাঝে এ ঘটনা ঘটে। দুই এলাকার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার।
সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গুলিতে বহু গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। গ্রামটি মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত
নিহতদের মধ্যে এক জওয়ান রয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছিল।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক জওয়ান রয়েছেন।
গুলিতে গ্রামবাসী মারা গেলে উত্তেজনা বাড়ে। পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য গুলি চালাতে হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও টুইটারে এই ঘটনার উল্লেখ করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। একে ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সব শ্রেণির মানুষের প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অসম রাইফেলস-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’
নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, আসাম ও মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে নাগা স্বাধীনভূমি বা ‘নাগালিম’ গড়তে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন।
সংগঠনটি দুই ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মুইভা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু অপর অংশটি এখনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চালাচ্ছে।