দেশের সৈকতবেষ্টিত সবচেয়ে ছোট রাজ্য গোয়া। ছোট হলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন এখন তৃতীয় হাইভোল্টেজ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক মহল। গোয়ায় বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপিকে চাপে রেখেছে আমাদমি পার্টি (আপ)। কংগ্রেসও এগুচ্ছে তাদের সবর শক্তি নিয়ে। রয়েছে সদ্য গোয়ার রাজনীতিতে পা রাখা তৃণমূল কংগ্রসও। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় একটি দলের সঙ্গে জোট বেধে লড়তে চায় তারা। এই অবস্থায় ছোট মসনদ দখলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতর। তুঙ্গে ভোট প্রচারণাও।
এতদিন ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই ছিল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে বিপুল জয় পাওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ‘এবার লক্ষ্য দিল্লি’। সেইমতো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে পা রেখ চলেছে তৃণমূল। জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতার অংশ হিসেবেই গোয়াতেও রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু করে তৃণমূল।
গোয়া নির্বাচনের মুখে সবার পাখির চোখ ছিল গোয়ায় কাদের প্রার্থী করবে তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সদ্য গোয়া সফরে গিয়ে প্রথম দিনেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় তাদের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টিকে ৮টি আসন ছেড়ে বাকি ৩২টিতে তৃণমূল প্রার্থী দেবে। তাই এদিন সেই ৩২টি আসনের প্রার্থী পদে কারা মনোনয়ন পান তার দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল সূত্রে জনা যায়, গোয়া সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার বাংলায় ফিরবেন অভিষেক। তার মধ্যেই মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোটের আসন রফা চূড়ান্ত করবেন বলে জানান তিনি।
প্রাসঙ্গিকতার অংশ হিসেবেই গোয়াতেও রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু করে তৃণমূল। প্রাথমিকভাবে মূলত কংগ্রেস ও বিজেপিবিরোধী বেশকিছু দল ভাঙিয়ে গোয়া তৃণমূল শক্তিশালী হয়েছে। গোয়ার সাবেক কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফ্যালেরিওকে বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত করে গোয়ার মানুষকে ইতিবাচক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতোমধ্যেই সংগঠনকে চাঙ্গা করতে দু’বার গোয়া ঘুরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, গোয়া নির্বাচনে হয় তৃণমূল জিতবে, নইলে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে। গোয়ার মানুষ তৃণমূলকে কতটা গ্রহণ করে, তার উত্তর মিলবে আগামী ১৪ মার্চের ভোটে। কিন্তু তার আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোয়াবাসির জন্য পশ্চিমবঙ্গে চালু বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রকল্প চালু করা ছাড়াও বড় ঘোষণা, ক্ষমতায় আসতে পারলে বাস্তুজমির উপর গোয়াবাসীর মালিকানা সুনিশ্চিত করবে তাদের সরকার। অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে যারা গোয়ায় বসবাস করছেন, তাদের দখলে থাকা বাস্তুজমির মালিকানা তুলে দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, গৃহহীন পরিবারগুলোর হাতেও ভর্তুকিপ্রাপ্ত ৫০ হাজার বাড়ির চাবিও তুলে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূলে। ইতোমধ্যে গোয়ায় ওই ‘মাহজে ঘর, মালকি হক’ প্রকল্পটির উদ্বোধনও করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের এই ঘোষণায় গোয়ার রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ জমির মালিকানার দাবিতে বছরের পর বছর আন্দোলন করে আসছেন গোয়াবাসী। গত ৩০ বছর ধরে গোয়ায় বসবাসকারীদের হাতে জমির মালিকানা তুলে দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেও ক্ষমতাসীন বিজেপি তাদের কথা রাখেনি তাই তৃণমূলের এই ঘোষণায় গোয়ার জনমানসে বেশ সাড়া ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
পাঞ্জাবের পর এবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পেশায় আইনজীবী অমিত পালেকরকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিলেন তিনি। ওবিসি ভা-ারী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি পালেকর। গোয়ার ৩৫ শতাংশ ভোটার এই ওবিসি ভা-ারী সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্ভবত সেই দিকটি বিবেচনা করেই অমিত পালেকরের নাম বেছে নিয়েছেন কেজরি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পুরনো গোয়ায় অবৈধভাবে হেরিটেজ ভেঙে দেয়ার যে অভিযোগ সামনে আসে, তার জন্য অনশনেও বসেছিলেন এই অমিত পালেকর।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
দেশের সৈকতবেষ্টিত সবচেয়ে ছোট রাজ্য গোয়া। ছোট হলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন এখন তৃতীয় হাইভোল্টেজ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক মহল। গোয়ায় বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপিকে চাপে রেখেছে আমাদমি পার্টি (আপ)। কংগ্রেসও এগুচ্ছে তাদের সবর শক্তি নিয়ে। রয়েছে সদ্য গোয়ার রাজনীতিতে পা রাখা তৃণমূল কংগ্রসও। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় একটি দলের সঙ্গে জোট বেধে লড়তে চায় তারা। এই অবস্থায় ছোট মসনদ দখলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতর। তুঙ্গে ভোট প্রচারণাও।
এতদিন ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই ছিল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে বিপুল জয় পাওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ‘এবার লক্ষ্য দিল্লি’। সেইমতো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে পা রেখ চলেছে তৃণমূল। জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতার অংশ হিসেবেই গোয়াতেও রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু করে তৃণমূল।
গোয়া নির্বাচনের মুখে সবার পাখির চোখ ছিল গোয়ায় কাদের প্রার্থী করবে তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সদ্য গোয়া সফরে গিয়ে প্রথম দিনেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় তাদের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টিকে ৮টি আসন ছেড়ে বাকি ৩২টিতে তৃণমূল প্রার্থী দেবে। তাই এদিন সেই ৩২টি আসনের প্রার্থী পদে কারা মনোনয়ন পান তার দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল সূত্রে জনা যায়, গোয়া সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার বাংলায় ফিরবেন অভিষেক। তার মধ্যেই মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোটের আসন রফা চূড়ান্ত করবেন বলে জানান তিনি।
প্রাসঙ্গিকতার অংশ হিসেবেই গোয়াতেও রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু করে তৃণমূল। প্রাথমিকভাবে মূলত কংগ্রেস ও বিজেপিবিরোধী বেশকিছু দল ভাঙিয়ে গোয়া তৃণমূল শক্তিশালী হয়েছে। গোয়ার সাবেক কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফ্যালেরিওকে বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত করে গোয়ার মানুষকে ইতিবাচক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতোমধ্যেই সংগঠনকে চাঙ্গা করতে দু’বার গোয়া ঘুরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, গোয়া নির্বাচনে হয় তৃণমূল জিতবে, নইলে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে। গোয়ার মানুষ তৃণমূলকে কতটা গ্রহণ করে, তার উত্তর মিলবে আগামী ১৪ মার্চের ভোটে। কিন্তু তার আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোয়াবাসির জন্য পশ্চিমবঙ্গে চালু বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রকল্প চালু করা ছাড়াও বড় ঘোষণা, ক্ষমতায় আসতে পারলে বাস্তুজমির উপর গোয়াবাসীর মালিকানা সুনিশ্চিত করবে তাদের সরকার। অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে যারা গোয়ায় বসবাস করছেন, তাদের দখলে থাকা বাস্তুজমির মালিকানা তুলে দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, গৃহহীন পরিবারগুলোর হাতেও ভর্তুকিপ্রাপ্ত ৫০ হাজার বাড়ির চাবিও তুলে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূলে। ইতোমধ্যে গোয়ায় ওই ‘মাহজে ঘর, মালকি হক’ প্রকল্পটির উদ্বোধনও করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের এই ঘোষণায় গোয়ার রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ জমির মালিকানার দাবিতে বছরের পর বছর আন্দোলন করে আসছেন গোয়াবাসী। গত ৩০ বছর ধরে গোয়ায় বসবাসকারীদের হাতে জমির মালিকানা তুলে দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেও ক্ষমতাসীন বিজেপি তাদের কথা রাখেনি তাই তৃণমূলের এই ঘোষণায় গোয়ার জনমানসে বেশ সাড়া ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
পাঞ্জাবের পর এবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পেশায় আইনজীবী অমিত পালেকরকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিলেন তিনি। ওবিসি ভা-ারী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি পালেকর। গোয়ার ৩৫ শতাংশ ভোটার এই ওবিসি ভা-ারী সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্ভবত সেই দিকটি বিবেচনা করেই অমিত পালেকরের নাম বেছে নিয়েছেন কেজরি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পুরনো গোয়ায় অবৈধভাবে হেরিটেজ ভেঙে দেয়ার যে অভিযোগ সামনে আসে, তার জন্য অনশনেও বসেছিলেন এই অমিত পালেকর।