জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মায়ানমারের সামরিক জান্তার তোলা আপত্তির ওপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি। মোট চার দিন হবে শুনানি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার আইসিজে জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে ২১, ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এই শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।
আইসিজে’তে ২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ আনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। এ মামলায় আদালতের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে মায়ানমারের জান্তা। মূলত সেই আপত্তির ওপর গণশুনানি হবে।
হেগের পিস প্যালেসে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এ মামলার ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়। তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মায়ানমারের পক্ষে শুনানি করেন বর্তমানে সেনা অভ্যুত্থানে বন্দী নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।
এরপর ২০২০ সালের ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে গাম্বিয়াকে তাদের অভিযোগের বিষয়ে আইনি যুক্তি উপস্থাপন করতে বলে আইসিজে। মিয়ানমারকে তাদের নির্দোষিতার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান চালায়। এর মধ্য দিয়ে দেশটি ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে এ মামলায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুনানির ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারকে জরুরি ভিত্তিতে চার দফা অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল আইসিজে।
সেখানে বলা হয়েছিল, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী বা কোনো পক্ষ এমন কিছু করতে পারবে না, যা গণহত্যা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। গণহত্যার অভিযোগের সমস্ত আলামত তাদের সংরক্ষণ করতে হবে।
কিন্তু এর পরের দুই বছরে অঞ্চলটির পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়নি। বরং বিভিন্ন এলাকায় জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চলমান থাকে।
জানা গেছে, মহামারির কারণে ফেব্রুয়ারিতে মিশ্র পদ্ধতির গণশুনানিতে আদালতের কিছু সদস্য গ্রেট হল অব জাস্টিসে উপস্থিত থাকবেন এবং বাকিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
মামলার দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা সরাসরি অথবা ভিডিও লিংক ব্যবহার করে শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে নির্দেশনা আদালতের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আদালতের ওয়েবসাইট ও ইউএন ওয়েব টিভির মাধ্যমে সরাসরি এই শুনানি দেখা যাবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মায়ানমারের সামরিক জান্তার তোলা আপত্তির ওপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি। মোট চার দিন হবে শুনানি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার আইসিজে জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে ২১, ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এই শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।
আইসিজে’তে ২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ আনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। এ মামলায় আদালতের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে মায়ানমারের জান্তা। মূলত সেই আপত্তির ওপর গণশুনানি হবে।
হেগের পিস প্যালেসে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এ মামলার ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়। তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মায়ানমারের পক্ষে শুনানি করেন বর্তমানে সেনা অভ্যুত্থানে বন্দী নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।
এরপর ২০২০ সালের ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে গাম্বিয়াকে তাদের অভিযোগের বিষয়ে আইনি যুক্তি উপস্থাপন করতে বলে আইসিজে। মিয়ানমারকে তাদের নির্দোষিতার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান চালায়। এর মধ্য দিয়ে দেশটি ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে এ মামলায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুনানির ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারকে জরুরি ভিত্তিতে চার দফা অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল আইসিজে।
সেখানে বলা হয়েছিল, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী বা কোনো পক্ষ এমন কিছু করতে পারবে না, যা গণহত্যা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। গণহত্যার অভিযোগের সমস্ত আলামত তাদের সংরক্ষণ করতে হবে।
কিন্তু এর পরের দুই বছরে অঞ্চলটির পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়নি। বরং বিভিন্ন এলাকায় জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চলমান থাকে।
জানা গেছে, মহামারির কারণে ফেব্রুয়ারিতে মিশ্র পদ্ধতির গণশুনানিতে আদালতের কিছু সদস্য গ্রেট হল অব জাস্টিসে উপস্থিত থাকবেন এবং বাকিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
মামলার দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা সরাসরি অথবা ভিডিও লিংক ব্যবহার করে শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে নির্দেশনা আদালতের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আদালতের ওয়েবসাইট ও ইউএন ওয়েব টিভির মাধ্যমে সরাসরি এই শুনানি দেখা যাবে।