ব্যাংক ঋণের কয়েকশ কোটি টাকা ভারতে পাচার
বাংলাদেশ থেকে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন শাখার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দেয় ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই অর্থ পাচারকারীদের অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তির খোঁজ ও অপরাধীদের নাগালে পেতে শুক্রবার কলকাতা ও অশোকনগর, দমদম, বাইপাস লাগোয়া মোট নয়টি স্থানে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালায় ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)।এই অভিযানে বাংলাদেশের এনআরবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার ও তার সহযোগী সুকুমার মৃধার বড় ধরণের অর্থপাচার, বেআইনি আর্থিক লেনদেনসহ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
তা ছড়াও অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে তিনজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা৷ জানা গেছে, অশোকনগর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতী ক্লাব এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধার নামে বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় ইডি৷ ওই ব্যবসায়ী ভুয়া সংস্থা খুলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়৷ সেই ঋণ শোধ না করে হাওয়ালার মাধ্যমে ঋণের টাকা ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতে তদন্তে নামে বাংলাদেশের আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত অপরাধের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ৷ বিষয়টি বাংলাদেশের সরকার ভারতে ইডি-র গোচরে আনে৷ এরপরেই তদন্তে নামেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ ইডি সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ও হাওড়ার বড়বাজার দিয়ে বাংলাদেশের ওই টাকা হাওলার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন করা হচ্ছে এবং কোটি কোটি আর্থিক তছরুপের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ইডির সূত্রে খবর, সুকুমার মৃধা মাছ ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা এনে এদেশে বিভিন্ন জায়গায় জমি-জায়গা কিনে। অশোকনগরে একাধিক বাড়ি ও দোকান রয়েছে এই সুকুমার মৃধার। তিনি মূলত: প্রশান্ত হালদার বা পিকে হালদারের ব্যাংক তছরুপের টাকা এদেশে হাওলা বা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করতে সাহায্য করে ।
সুকুমার মৃধার সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার যে টাকা আসত ভারতে, তা খাটানো হত একাধিক ব্যবসায়। আর এভাবেই পিকের অবৈধ টাকায় ভারতে জাঁকিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে পিকের বিশ্বস্ত সঙ্গী সুকুমার মৃধা। ইডির স্ক্যানারে ধরা পড়েছে সুকুমার ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নানা কার্যকলাপ। জানা গেছে, অশোকনগরে সুকুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্র জানায়, প্রশান্ত কুমার ওরেফে পিকে হালদার নামে এক ব্যক্তি শিবশঙ্কর হালদার নাম নিয়ে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও প্যানকার্ড করিয়ে নিয়েছেন। প্রশান্ত ছাড়াও প্রতীশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ইডির আধিকারিকরা হানা দেন শহরের নির্মাণ সংস্থা অভিজাত কনস্ট্রাকশন কোম্পানির দফতরে। সংস্থার ডিরেক্টর অভিজিৎ সেনের বাড়িতেও হানা দেন তাঁরা। অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। পিকে হালদারসহ বাংলাদেশী হাওলার গোটা চক্রের হদিশ পেতে এই রকম আভযান অব্যাহত রাখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
ব্যাংক ঋণের কয়েকশ কোটি টাকা ভারতে পাচার
শনিবার, ১৪ মে ২০২২
বাংলাদেশ থেকে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন শাখার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দেয় ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই অর্থ পাচারকারীদের অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তির খোঁজ ও অপরাধীদের নাগালে পেতে শুক্রবার কলকাতা ও অশোকনগর, দমদম, বাইপাস লাগোয়া মোট নয়টি স্থানে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালায় ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)।এই অভিযানে বাংলাদেশের এনআরবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার ও তার সহযোগী সুকুমার মৃধার বড় ধরণের অর্থপাচার, বেআইনি আর্থিক লেনদেনসহ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
তা ছড়াও অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে তিনজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা৷ জানা গেছে, অশোকনগর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতী ক্লাব এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধার নামে বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় ইডি৷ ওই ব্যবসায়ী ভুয়া সংস্থা খুলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়৷ সেই ঋণ শোধ না করে হাওয়ালার মাধ্যমে ঋণের টাকা ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতে তদন্তে নামে বাংলাদেশের আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত অপরাধের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ৷ বিষয়টি বাংলাদেশের সরকার ভারতে ইডি-র গোচরে আনে৷ এরপরেই তদন্তে নামেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ ইডি সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ও হাওড়ার বড়বাজার দিয়ে বাংলাদেশের ওই টাকা হাওলার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন করা হচ্ছে এবং কোটি কোটি আর্থিক তছরুপের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ইডির সূত্রে খবর, সুকুমার মৃধা মাছ ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা এনে এদেশে বিভিন্ন জায়গায় জমি-জায়গা কিনে। অশোকনগরে একাধিক বাড়ি ও দোকান রয়েছে এই সুকুমার মৃধার। তিনি মূলত: প্রশান্ত হালদার বা পিকে হালদারের ব্যাংক তছরুপের টাকা এদেশে হাওলা বা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করতে সাহায্য করে ।
সুকুমার মৃধার সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার যে টাকা আসত ভারতে, তা খাটানো হত একাধিক ব্যবসায়। আর এভাবেই পিকের অবৈধ টাকায় ভারতে জাঁকিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে পিকের বিশ্বস্ত সঙ্গী সুকুমার মৃধা। ইডির স্ক্যানারে ধরা পড়েছে সুকুমার ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নানা কার্যকলাপ। জানা গেছে, অশোকনগরে সুকুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্র জানায়, প্রশান্ত কুমার ওরেফে পিকে হালদার নামে এক ব্যক্তি শিবশঙ্কর হালদার নাম নিয়ে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও প্যানকার্ড করিয়ে নিয়েছেন। প্রশান্ত ছাড়াও প্রতীশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ইডির আধিকারিকরা হানা দেন শহরের নির্মাণ সংস্থা অভিজাত কনস্ট্রাকশন কোম্পানির দফতরে। সংস্থার ডিরেক্টর অভিজিৎ সেনের বাড়িতেও হানা দেন তাঁরা। অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। পিকে হালদারসহ বাংলাদেশী হাওলার গোটা চক্রের হদিশ পেতে এই রকম আভযান অব্যাহত রাখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।