বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাকের টাকা পাচারকারী পিকে হালদারসহ অভিযুক্ত ৬ জনকে বাংলাদেশে পাঠাতে অনেকটাই সময় লাগবে।
পিকে হালদারের ব্যাংক এবং বিভিন্ন ডেড়া থেকে ইতোমধ্যে ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ কোটি রুপিরও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে।
‘সংবাদ’ প্রতিনিধির কাছে এ তথ্য জানিয়ে সিবিআইর আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘পিকে হালদারসহ সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে - প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, (পিএমএলএ) ২০০২ - অর্থ পাচার সম্পর্কিত এ আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত হওয়ার পরে তাদের বিচার কাজ শুরু হবে।’
তা ছাড়া অভিযুক্তরা কিভাবে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেছে, সে ব্যাপারে তদন্তে পর তাদের বিরুদ্ধে ফরেন অ্যাক্ট ১৪ ও ১৪এ ধারায় মামলা করা হবে।
‘ভিন্ন ভিন্ন তিনটি আইনের আওতায় তাদের বিচার কাজ শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী তিনটি মামলা প্রমানিত হলে চার্জশীট অনুযায়ী তাদের সকলের বিচার কাজ ভারতের আদালতে চলতে থাকবে,’ বলেন আইনজীবী অরিজিৎ।
ভারতে এসে আসল পরিচয় লুকিয়ে জালিয়াতি করে তারা যে সব কাগজপত্র তৈরী করেছে সে ব্যাপারে নিয়ম আনুযায়ী সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তদন্ত করবে।
পিকে এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বহু সম্পত্তি ও বাড়ি কিনে, কয়েকটি কোম্পানী তৈরী করে নামে-বেনামে ব্যাংকে টাকা রাখে।
অভিযুক্তদের নামে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে কোথাও আরও বেআইনি সম্পত্তি আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
পাশাপাশি তাদের কাছে যে দুই দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে, সেই নথি তারা কোথা থেকে তৈরি করেছিল, এই সমস্ত বিষয়গুলিই মূলত তদন্ত করে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গ্রেপ্তার সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সিবিআই আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, ‘এ মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ এটা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের কথা হবে। এ ব্যাপারে একটা কথাই বলা যেতে পারে যে আইন আইনের পথে চলবে। উভয় দেশের সরকারের সমন্বয়ে এ আইন আসামিদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হবে।’
এই আইনজীবী জানান, পিকে হালদারসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে বহু পরিমান নগদ টাকা ছাড়াও তাদের কাছ থেকে কয়েক রকমের বেশকিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো আসলে কি - জানতে চাওয়া হলে তিন বলেন, ‘সেই সব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুর ১টার পরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতের স্পেশাল (সিবিআই) কোর্ট-১-এর বিচারক মাসুক হোসেন খানের এজলাসে তোলা হয় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদারকে।
অভিযুক্ত ৫ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। আদালতে তা মন্জুর করে।
অন্যদিকে এ মামলায় অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদারকে ১০ দিনের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
তাদের সবাইকেই ২৭ মে আবার আদালতে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাকের টাকা পাচারকারী পিকে হালদারসহ অভিযুক্ত ৬ জনকে বাংলাদেশে পাঠাতে অনেকটাই সময় লাগবে।
পিকে হালদারের ব্যাংক এবং বিভিন্ন ডেড়া থেকে ইতোমধ্যে ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ কোটি রুপিরও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে।
‘সংবাদ’ প্রতিনিধির কাছে এ তথ্য জানিয়ে সিবিআইর আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘পিকে হালদারসহ সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে - প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, (পিএমএলএ) ২০০২ - অর্থ পাচার সম্পর্কিত এ আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত হওয়ার পরে তাদের বিচার কাজ শুরু হবে।’
তা ছাড়া অভিযুক্তরা কিভাবে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেছে, সে ব্যাপারে তদন্তে পর তাদের বিরুদ্ধে ফরেন অ্যাক্ট ১৪ ও ১৪এ ধারায় মামলা করা হবে।
‘ভিন্ন ভিন্ন তিনটি আইনের আওতায় তাদের বিচার কাজ শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী তিনটি মামলা প্রমানিত হলে চার্জশীট অনুযায়ী তাদের সকলের বিচার কাজ ভারতের আদালতে চলতে থাকবে,’ বলেন আইনজীবী অরিজিৎ।
ভারতে এসে আসল পরিচয় লুকিয়ে জালিয়াতি করে তারা যে সব কাগজপত্র তৈরী করেছে সে ব্যাপারে নিয়ম আনুযায়ী সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তদন্ত করবে।
পিকে এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বহু সম্পত্তি ও বাড়ি কিনে, কয়েকটি কোম্পানী তৈরী করে নামে-বেনামে ব্যাংকে টাকা রাখে।
অভিযুক্তদের নামে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে কোথাও আরও বেআইনি সম্পত্তি আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
পাশাপাশি তাদের কাছে যে দুই দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে, সেই নথি তারা কোথা থেকে তৈরি করেছিল, এই সমস্ত বিষয়গুলিই মূলত তদন্ত করে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গ্রেপ্তার সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সিবিআই আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, ‘এ মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ এটা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের কথা হবে। এ ব্যাপারে একটা কথাই বলা যেতে পারে যে আইন আইনের পথে চলবে। উভয় দেশের সরকারের সমন্বয়ে এ আইন আসামিদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হবে।’
এই আইনজীবী জানান, পিকে হালদারসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে বহু পরিমান নগদ টাকা ছাড়াও তাদের কাছ থেকে কয়েক রকমের বেশকিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো আসলে কি - জানতে চাওয়া হলে তিন বলেন, ‘সেই সব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুর ১টার পরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতের স্পেশাল (সিবিআই) কোর্ট-১-এর বিচারক মাসুক হোসেন খানের এজলাসে তোলা হয় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদারকে।
অভিযুক্ত ৫ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। আদালতে তা মন্জুর করে।
অন্যদিকে এ মামলায় অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদারকে ১০ দিনের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
তাদের সবাইকেই ২৭ মে আবার আদালতে তোলা হবে।