অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে গম রপ্তানির ওপর ভারত সরকার ১৩ মে বিধিনিষেধ আরোপ করে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে শিগগিরই ১০ লাখ টন গম রপ্তানি করতে চলেছে দেশটি। এর মধ্যে ৫ থেকে ৬ লাখ টন গম যাবে বাংলাদেশে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল সুইজারল্যান্ডের দাভোস থেকে দেশে ফিরলে এ সংক্রান্ত ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা এই খবর জানিয়েছে।
গম রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছিলো বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আগে যেসব সংস্থা রপ্তানির উদ্যোগ নিয়ে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিল, তাদের রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হবে। তা ছাড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গম যাবে প্রধানত সড়ক ও রেলপথে। কিছু পরিমাণ সমুদ্রপথেও যেতে পারে। এই ১০ লাখ টন গম রপ্তানির জন্য ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছে।
এদিকে কলকাতাভিত্তিক রপ্তানিকারকের বরাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এই মুহূর্তে ভারত থেকে গম আমদানিতে বিশেষ উৎসাহী নয়। কারণ, তাদের ওয়্যারহাউসে স্থানাভাব। বাংলাদেশ আগে মজুত চাল বিক্রি করতে চায়, যাতে সেই জায়গায় আমদানি করা গম মজুত করা যায়।
আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিতে শীর্ষ দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু এ দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গমের চালান আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই চলছে এই অবস্থা।
গম উৎপাদনে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে চীন, তারপরই ভারতের অবস্থান। এ কারণে কৃষ্ণ সাগর থেকে গমের চালান আসা বন্ধ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দিক থেকে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে।
কিন্তু গত মার্চে তীব্র দাবদাহের ফলে চলতি মৌসুমে ভারতে গমের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, দেশটিতে বিপজ্জনক হারে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাধ্য হয়েই ১৩ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১৭ মে শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা খানিকটা শিথিল করা হয়।
শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে গম রপ্তানির ওপর ভারত সরকার ১৩ মে বিধিনিষেধ আরোপ করে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে শিগগিরই ১০ লাখ টন গম রপ্তানি করতে চলেছে দেশটি। এর মধ্যে ৫ থেকে ৬ লাখ টন গম যাবে বাংলাদেশে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল সুইজারল্যান্ডের দাভোস থেকে দেশে ফিরলে এ সংক্রান্ত ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা এই খবর জানিয়েছে।
গম রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছিলো বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আগে যেসব সংস্থা রপ্তানির উদ্যোগ নিয়ে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিল, তাদের রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হবে। তা ছাড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গম যাবে প্রধানত সড়ক ও রেলপথে। কিছু পরিমাণ সমুদ্রপথেও যেতে পারে। এই ১০ লাখ টন গম রপ্তানির জন্য ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছে।
এদিকে কলকাতাভিত্তিক রপ্তানিকারকের বরাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এই মুহূর্তে ভারত থেকে গম আমদানিতে বিশেষ উৎসাহী নয়। কারণ, তাদের ওয়্যারহাউসে স্থানাভাব। বাংলাদেশ আগে মজুত চাল বিক্রি করতে চায়, যাতে সেই জায়গায় আমদানি করা গম মজুত করা যায়।
আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিতে শীর্ষ দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু এ দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গমের চালান আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই চলছে এই অবস্থা।
গম উৎপাদনে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে চীন, তারপরই ভারতের অবস্থান। এ কারণে কৃষ্ণ সাগর থেকে গমের চালান আসা বন্ধ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দিক থেকে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে।
কিন্তু গত মার্চে তীব্র দাবদাহের ফলে চলতি মৌসুমে ভারতে গমের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, দেশটিতে বিপজ্জনক হারে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাধ্য হয়েই ১৩ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১৭ মে শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা খানিকটা শিথিল করা হয়।