রিমান্ড শেষে কলকাতার আদালত আটকদের পাঠালো জেলহাজতে
বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াত করে বিপুল টাকা পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদারসহ ৬ জনকে জেলহাজতে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক সোভিক ঘোষ। দশ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ মে) তাদেরকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পিকে হালদার বাংলাদেশের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম বলেছেন বলে বলছে তদন্ত সংস্থার সুত্র। আত্মসাৎ করা অর্থের বিশাল একটি ভাগ গেছে ওই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর পকেটে আর পিকে তার ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই সব কিছু করেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পিকে হালদার দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা–এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) একটি সূত্র।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ওই প্রভাবশালী ব্যাবসায়ী বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। একসময় পরিবহনই ছিল তার মুল ব্যবসা। তবে পরে বিদ্যুত-জ্বালানি থেকে টিভি চ্যানেল, হাসপাতাল এবং আরও অন্যান্য খাতেও তার ব্যাবসায়িক সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটেছে।
প্রথমে তিন দিনের রিমান্ড, এরপর ১০ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ মে) পিকে হালদার ও তার সহযোগী চার জনকে স্পেশাল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। একই অভিযোগে অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকেও দশ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আদালতে তোলা হয়।
দুপক্ষের শুনানি শেষে তাদেরকে সবাইকে আগামী সাত জুন পর্যন্ত জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক ষ পি কে হালদারকে প্রয়োজনে কারাগারেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইডির পক্ষ থেকে আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেষ এর মধ্যেই এই বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে পারবে ইডি।
আদালতে নেওয়ার আগে তাদেরকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে নিয়ে আসা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ১৪ মে পি কে হালদারসহ অভিযুক্তদের আটক করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা–এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ইডি জানায় বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পি কে হালদার ভারতসহ কোন কোন দেশে কি কি খাতে লগ্নি করেছেন সেই সব তথ্য ইডি কর্মকর্তাদের হাতে এখনো আসেনি।
তবে ইডি বলছে, বাংলাদেশ থেকে হাওলার মাধ্যমে ভারতে আসা অর্থের পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় লগ্নি করেছেন তা এখনো স্বীকার করেননি পিকে হালদার ষ
১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেফতারের পর দুই দফায় টানা ১৩ দিন নিজেদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরও এখনো সেই তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে চারটিরও বেশি আলীশান বাড়ি, বেনামে একাধিক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে। আর পিকে কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখন পর্যন্ত ১ কোটির বেশি রুপি উদ্ধার করেছে ইডি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাকি অর্থ সে কোথায় রেখেছে?
রিমান্ড শেষে কলকাতার আদালত আটকদের পাঠালো জেলহাজতে
শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াত করে বিপুল টাকা পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদারসহ ৬ জনকে জেলহাজতে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক সোভিক ঘোষ। দশ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ মে) তাদেরকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পিকে হালদার বাংলাদেশের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম বলেছেন বলে বলছে তদন্ত সংস্থার সুত্র। আত্মসাৎ করা অর্থের বিশাল একটি ভাগ গেছে ওই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর পকেটে আর পিকে তার ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই সব কিছু করেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পিকে হালদার দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা–এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) একটি সূত্র।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ওই প্রভাবশালী ব্যাবসায়ী বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। একসময় পরিবহনই ছিল তার মুল ব্যবসা। তবে পরে বিদ্যুত-জ্বালানি থেকে টিভি চ্যানেল, হাসপাতাল এবং আরও অন্যান্য খাতেও তার ব্যাবসায়িক সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটেছে।
প্রথমে তিন দিনের রিমান্ড, এরপর ১০ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ মে) পিকে হালদার ও তার সহযোগী চার জনকে স্পেশাল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। একই অভিযোগে অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকেও দশ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আদালতে তোলা হয়।
দুপক্ষের শুনানি শেষে তাদেরকে সবাইকে আগামী সাত জুন পর্যন্ত জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক ষ পি কে হালদারকে প্রয়োজনে কারাগারেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইডির পক্ষ থেকে আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেষ এর মধ্যেই এই বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে পারবে ইডি।
আদালতে নেওয়ার আগে তাদেরকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে নিয়ে আসা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ১৪ মে পি কে হালদারসহ অভিযুক্তদের আটক করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা–এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ইডি জানায় বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পি কে হালদার ভারতসহ কোন কোন দেশে কি কি খাতে লগ্নি করেছেন সেই সব তথ্য ইডি কর্মকর্তাদের হাতে এখনো আসেনি।
তবে ইডি বলছে, বাংলাদেশ থেকে হাওলার মাধ্যমে ভারতে আসা অর্থের পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় লগ্নি করেছেন তা এখনো স্বীকার করেননি পিকে হালদার ষ
১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেফতারের পর দুই দফায় টানা ১৩ দিন নিজেদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরও এখনো সেই তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে চারটিরও বেশি আলীশান বাড়ি, বেনামে একাধিক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে। আর পিকে কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখন পর্যন্ত ১ কোটির বেশি রুপি উদ্ধার করেছে ইডি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাকি অর্থ সে কোথায় রেখেছে?