সংখ্যাগরিষ্ঠাতাবাদ ভারতের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে সম্প্রতি সতর্ক করেছেন দেশটির রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন। এরপর প্রায় একই সুরে কথা বললেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় অর্থনীতির মূল উপাদানগুলো শক্তিশালী হলেও ক্রমবর্ধমান বিভাজন ও মেরুকরণ ভারতের অর্থনৈতিক ভিতের ক্ষতি করছে।
মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উপর্যুপরি ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া, মূল্যস্ফীতি ও তীব্র বেকারত্বে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও জর্জরিত। কৌশিক বসুর বক্তব্য, ভারতের ক্ষেত্রে এর মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা তৃতীয়টি। তরুণদের বেকারত্বের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশের প্রবৃদ্ধি শুধু আর্থিক নীতির ওপর নির্ভর করে না, নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসও গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক। দুঃখজনকভাবে, ভারতের ক্রমবর্ধমান বিভাজন ও মেরুকরণ শুধু সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের অর্থনীতির ভিতও নষ্ট করে দিচ্ছে।’ সূত্র ইকোনমিক টাইমস।
তবে গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া এবং সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতির কারণ হলেও তা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে সরাসরি ভারতের হাতে নেই, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কৌশিক বসু। তাঁর বক্তব্য, ‘যেটা আমাকে উদ্বিগ্ন করছে তা হলো, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে রক্ষা করতে যা করা দরকার, সেটা আমরা যথেষ্ট করছি না।’
এপ্রিল মাসে ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশে উঠেছে, পাইকারি বাজারে তা ১৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কৌশিক বসুর মতে, ‘১৯৯০-এর দশকের শেষে পূর্ব এশিয়ার সংকটের যে প্রভাব ভারতে পড়েছিল, বর্তমান সমস্যা সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমার হিসাব, ভারতের খুচরা মূল্য সূচক ৯ শতাংশ পেরোবে। কিন্তু তা যাতে দুই অঙ্কে না পৌঁছায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।’
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রিজার্ভ ব্যাংক দেরিতে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করেন না কৌশিক বসু। তাঁর মত, এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ব্যবসা, অসংগঠিত ক্ষেত্র ও কৃষকদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য দেওয়া উচিত। সে জন্য সাময়িকভাবে বিত্তশালীদের ওপর বাড়তি করারোপ করতে হবে।
শনিবার, ২৮ মে ২০২২
সংখ্যাগরিষ্ঠাতাবাদ ভারতের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে সম্প্রতি সতর্ক করেছেন দেশটির রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন। এরপর প্রায় একই সুরে কথা বললেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় অর্থনীতির মূল উপাদানগুলো শক্তিশালী হলেও ক্রমবর্ধমান বিভাজন ও মেরুকরণ ভারতের অর্থনৈতিক ভিতের ক্ষতি করছে।
মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উপর্যুপরি ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া, মূল্যস্ফীতি ও তীব্র বেকারত্বে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও জর্জরিত। কৌশিক বসুর বক্তব্য, ভারতের ক্ষেত্রে এর মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা তৃতীয়টি। তরুণদের বেকারত্বের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশের প্রবৃদ্ধি শুধু আর্থিক নীতির ওপর নির্ভর করে না, নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসও গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক। দুঃখজনকভাবে, ভারতের ক্রমবর্ধমান বিভাজন ও মেরুকরণ শুধু সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের অর্থনীতির ভিতও নষ্ট করে দিচ্ছে।’ সূত্র ইকোনমিক টাইমস।
তবে গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া এবং সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতির কারণ হলেও তা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে সরাসরি ভারতের হাতে নেই, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কৌশিক বসু। তাঁর বক্তব্য, ‘যেটা আমাকে উদ্বিগ্ন করছে তা হলো, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে রক্ষা করতে যা করা দরকার, সেটা আমরা যথেষ্ট করছি না।’
এপ্রিল মাসে ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশে উঠেছে, পাইকারি বাজারে তা ১৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কৌশিক বসুর মতে, ‘১৯৯০-এর দশকের শেষে পূর্ব এশিয়ার সংকটের যে প্রভাব ভারতে পড়েছিল, বর্তমান সমস্যা সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমার হিসাব, ভারতের খুচরা মূল্য সূচক ৯ শতাংশ পেরোবে। কিন্তু তা যাতে দুই অঙ্কে না পৌঁছায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।’
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রিজার্ভ ব্যাংক দেরিতে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করেন না কৌশিক বসু। তাঁর মত, এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ব্যবসা, অসংগঠিত ক্ষেত্র ও কৃষকদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য দেওয়া উচিত। সে জন্য সাময়িকভাবে বিত্তশালীদের ওপর বাড়তি করারোপ করতে হবে।