পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ফের ১৪দিনের জেল হেফাজাতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা নগর দায়রা বিশেষ সিবিআই আদালত। এর আগে ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে কলকাতা নগর দায়রা আদলতে তোলা হয়।
তাদের আদালতে তোলার পর পশ্চিমবঙ্গে হাওলাকান্ডে জড়িত অভিযুক্তদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানায় ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিশেষ আদলতের বিচারক জীবন কুমার সাধু আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। একই সাথে আদালত আগামী ৫ জুলাই অভিযুক্ত সবাইকে ফের আদলতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইডি’র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাঙ্কের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ এই মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু নতুন তথ্য জানার জন্য ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা আরও ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত রিমান্ড না দিয়ে তাদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেয়।
গত ১৪ মে অশোকনগর, কলকাতাসহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেন ইডির কর্মকর্তারা। এরপর কয়েক দফায় রিমান্ড ও জেল হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে। বাংলাদেশ থেকে পি কে হালদারের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থ পাচার কিংবা ভারতে এসে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ভারতীয় পাসপোর্ট, রেশন কার্ড তৈরি করার পেছনে একটি প্রভাবশালী মহলের মদদ দেওয়ার বিষয়টিও জানতে পেরেছে ইডি।
ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক জায়গায় আবাসন খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের সন্ধান পাওয়া গেছে পি কে হালদারের। পাশাপাশি একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিস পাওয়া গেছে।
ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা জেনেছেন, পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদার আদতে একই ব্যক্তি। ভারতে তিনি শিবশঙ্কর হালদার নামেই পরিচিত এবং এই নামে রয়েছে তার জমি, ফ্ল্যাট, ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন সম্পত্তি।
এদিকে সিনিয়র আইনজীবীদের দিয়ে আদালতে তার হয়ে মামলা লড়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন পি কে হালদার। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো আইনজীবীকেই তার হয়ে মামলা লড়ার জন্য খুঁজে পাননি বলে জানা গেছে।
ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া এই ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত বন্দী থাকবে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। আর নারী অভিযুক্ত আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে থাকবেন।
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ফের ১৪দিনের জেল হেফাজাতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা নগর দায়রা বিশেষ সিবিআই আদালত। এর আগে ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে কলকাতা নগর দায়রা আদলতে তোলা হয়।
তাদের আদালতে তোলার পর পশ্চিমবঙ্গে হাওলাকান্ডে জড়িত অভিযুক্তদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানায় ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিশেষ আদলতের বিচারক জীবন কুমার সাধু আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। একই সাথে আদালত আগামী ৫ জুলাই অভিযুক্ত সবাইকে ফের আদলতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইডি’র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাঙ্কের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ এই মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু নতুন তথ্য জানার জন্য ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা আরও ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত রিমান্ড না দিয়ে তাদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেয়।
গত ১৪ মে অশোকনগর, কলকাতাসহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেন ইডির কর্মকর্তারা। এরপর কয়েক দফায় রিমান্ড ও জেল হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে। বাংলাদেশ থেকে পি কে হালদারের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থ পাচার কিংবা ভারতে এসে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ভারতীয় পাসপোর্ট, রেশন কার্ড তৈরি করার পেছনে একটি প্রভাবশালী মহলের মদদ দেওয়ার বিষয়টিও জানতে পেরেছে ইডি।
ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক জায়গায় আবাসন খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের সন্ধান পাওয়া গেছে পি কে হালদারের। পাশাপাশি একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিস পাওয়া গেছে।
ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা জেনেছেন, পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদার আদতে একই ব্যক্তি। ভারতে তিনি শিবশঙ্কর হালদার নামেই পরিচিত এবং এই নামে রয়েছে তার জমি, ফ্ল্যাট, ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন সম্পত্তি।
এদিকে সিনিয়র আইনজীবীদের দিয়ে আদালতে তার হয়ে মামলা লড়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন পি কে হালদার। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো আইনজীবীকেই তার হয়ে মামলা লড়ার জন্য খুঁজে পাননি বলে জানা গেছে।
ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া এই ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত বন্দী থাকবে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। আর নারী অভিযুক্ত আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে থাকবেন।