জামিন দিয়েছিলো বিচারিক আদালত, তবে তা বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আবেদন করেছিলেন আপিল বিভাগে। সেখানে তা খারিজ হয়ে গেছে। মামলাটি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের। এই মামলায় সম্রাটকে কারাগারেই থাকতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় গত ১১ মে জামিন পেয়েছিলেন ক্যাসিনো কেলেংকারির নায়ক সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ জামিন দিয়েছিলেন। সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক।
দুদকের আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট গত ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে। এবং সম্রাটকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে সম্রাট লিভ টু আপিল করেছিলো হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বুধবার তা খারিজ করে সম্রাট যে জামিন পাচ্ছে না তা নিশ্চিত করে আদেশ দেয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান হাইকোর্ট সম্রাটের জামিন বাতিল করে যে আদেশ দিয়েছিলো, তা বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। আজ আদালতে সম্রাটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মুনসুরুল হক চৌধুরী।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাব জানায়, তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়।
কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়।
পরে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে মামলা করে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
পরে তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। তাতে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
জামিন দিয়েছিলো বিচারিক আদালত, তবে তা বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আবেদন করেছিলেন আপিল বিভাগে। সেখানে তা খারিজ হয়ে গেছে। মামলাটি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের। এই মামলায় সম্রাটকে কারাগারেই থাকতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় গত ১১ মে জামিন পেয়েছিলেন ক্যাসিনো কেলেংকারির নায়ক সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ জামিন দিয়েছিলেন। সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক।
দুদকের আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট গত ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে। এবং সম্রাটকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে সম্রাট লিভ টু আপিল করেছিলো হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বুধবার তা খারিজ করে সম্রাট যে জামিন পাচ্ছে না তা নিশ্চিত করে আদেশ দেয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান হাইকোর্ট সম্রাটের জামিন বাতিল করে যে আদেশ দিয়েছিলো, তা বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। আজ আদালতে সম্রাটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মুনসুরুল হক চৌধুরী।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাব জানায়, তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়।
কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়।
পরে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে মামলা করে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
পরে তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। তাতে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।