নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় যে অভিযোগগুলো দায়ের হয়েছে, তা এক ছাতার তলায় আনার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালত।

ফলে এখন আর ভারতের বিভিন্ন থানায় বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে হাজিরা দিতে হবে না। এখন দিল্লিতেই সমস্ত মামলার তদন্ত হবে। আজ বুধবার এই আদেশ দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত।

বিতর্কে জড়ানোর পর এই হিন্দুত্ববাদী নেত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখেই শীর্ষ আদালতের বুধবারের এই নির্দেশ বলে আইনজীবিরা জানিয়েছেন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বহু মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সমস্ত মামলা একসঙ্গে করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হয়েছিলেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী।

বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার বিশেষ বেঞ্চে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হয় মামলার শনানি। দীর্ঘ শুনানী ও যুক্তি তর্কের পর শীর্ষ আদালত আদেশ দেয়। যেহেতু নুপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে দেশব্যাপি প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এতে হিন্দুত্ববাদী নেত্রী নুপুর শর্মার প্রাণনাশের সংশয় হয়েছিল। বিশেষ করে এই কারণেই তার সমস্ত মামলা দিল্লিতে এক ছাতার তলায় এনে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষআদালত।

একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্ক অনুষ্ঠানে নবী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান নূপুর শর্মা। দেশজুড়ে তার গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে। বিরোধীরা সরব হয়। বিদেশেও সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কঠোর সমালোচনার করে।

পরে নুপূর শর্মার বিরুদ্ধে দেশের একাধিক জায়গায় এফআইআর দায়ের হয়। কলকাতারও বেশ কয়েকটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।কলকাতার বিভিন্ন থানা পুলিশ সমনজারী করে সাবেক বিজেপি নেত্রীকে হাজিরা দেওয়ার জন্য।

পহেলা জুলাইয়ের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ সমস্ত হিংসার জন্য নুপূর শর্মাকে দায়ি করেন। নবীকে নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন সেটারও সমালোচনা করেন তারা।

জানা গিয়েছে, নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, আসামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।