অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, ‘চীন (ভারতের জন্য) একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিজের নৌ উপস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য জলদস্যুতা বিরোধী অভিযানগুলোকে কাজে লাগিয়ে কেবল আমাদের স্থল সীমান্তেই নয়, সমুদ্রসীমায়ও বেইজিং তার উপস্থিতি বাড়িয়েছে।’

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেন, সীমান্তে চীন এখনও (ভারতের জন্য) একটি ‘প্রবল চ্যালেঞ্জ’।

তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্য এই প্রতিপক্ষের সাথে একটি যুদ্ধকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তার ভাষায়, ‘যদিও উভয় দেশের মধ্যে প্রতিদিন প্রতিযোগিতা চলছে, মাঝে মাঝে শক্তি পরীক্ষাও করা হচ্ছে, কিন্তু সশস্ত্র অ্যাকশনের দিকে না গিয়েও প্রতিপক্ষের সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধ কখনোই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’

একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের প্রসার দেশের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান এই অ্যাডমিরাল বলেন, চীন এই ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে এবং কেবল স্থলভাগেই নয়, সামুদ্রিক সীমান্তেও চীন উপস্থিতি বৃদ্ধি করে চলেছে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর এই প্রধান অ্যাডমিরাল আরও বলেন, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার সামরিক আধুনিকায়ন অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমে, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার সামরিক আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের নৌবাহিনী এগিয়ে চলেছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর এই বিভাগটি একটি ৫০-প্ল্যাটফর্ম বাহিনী হওয়ার পথে রয়েছে।’

আর হরি কুমার বলছেন, বিদ্যমান সামরিক চ্যালেঞ্জ ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ এখনও (ভারতের জন্য) একটি বড় নিরাপত্তা হুমকি। তার ভাষায়, ‘এই প্রচলিত সামরিক চ্যালেঞ্জগুলো অব্যাহত থাকলেও সন্ত্রাসবাদ একটি প্রধান নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে রয়ে গেছে। কারণ এটি আকারে এবং মাত্রায় বিকশিত হতে থাকে।’