ভারতের ইসলামি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) দেশবিরোধী কার্যকলাপ অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ।
প্রতিবেদনে জানানো হয় , গভীর রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধ আইনে (ইউএপিএ) এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় শুধু পিএফআই-ই নয়, তার অন্যান্য শাখা সংগঠনকেও যুক্ত করা হয়েছে। শাখাগুলো হচ্ছে রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।
পিএফআই-সহ বাকি শরিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির সরকার জানিয়েছে, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) এর সঙ্গেও এই দলগুলোর যোগসূত্র আছে।
গত এক সপ্তাহে দেশ জুড়ে অভিযান চালিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই সংগঠনের ২৪০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পিএফআই ছাড়াও অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উওমেন’স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন (কেরালা)-কেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, পিএফআই এবং এর সহযোগী দলগুলো যে বেআইনি কার্যকলাপের যুক্ত আছে তা ‘দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর’। এই দলগুলো সক্রিয় থাকলে দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিএফআইসহ নিষিদ্ধ করা বাকি দলগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক এবং শিক্ষার উন্নতির জন্য কাজ করছে বলে দাবি করলেও আসলে এই দলগুলো সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে সন্ত্রাসের কাজে যুক্ত করার জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশের ১৫টি রাজ্যে অভিযান চালিয়ে পিএফআই এর একশো জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং কর্মীদের গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ একটি দল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে আরও বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারতের ইসলামি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) দেশবিরোধী কার্যকলাপ অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ।
প্রতিবেদনে জানানো হয় , গভীর রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধ আইনে (ইউএপিএ) এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় শুধু পিএফআই-ই নয়, তার অন্যান্য শাখা সংগঠনকেও যুক্ত করা হয়েছে। শাখাগুলো হচ্ছে রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।
পিএফআই-সহ বাকি শরিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির সরকার জানিয়েছে, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) এর সঙ্গেও এই দলগুলোর যোগসূত্র আছে।
গত এক সপ্তাহে দেশ জুড়ে অভিযান চালিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই সংগঠনের ২৪০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পিএফআই ছাড়াও অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উওমেন’স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন (কেরালা)-কেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, পিএফআই এবং এর সহযোগী দলগুলো যে বেআইনি কার্যকলাপের যুক্ত আছে তা ‘দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর’। এই দলগুলো সক্রিয় থাকলে দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিএফআইসহ নিষিদ্ধ করা বাকি দলগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক এবং শিক্ষার উন্নতির জন্য কাজ করছে বলে দাবি করলেও আসলে এই দলগুলো সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে সন্ত্রাসের কাজে যুক্ত করার জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশের ১৫টি রাজ্যে অভিযান চালিয়ে পিএফআই এর একশো জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং কর্মীদের গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ একটি দল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে আরও বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।