দুর্গা পূজার দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় দুর্ঘটনা ঘটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। প্রাথমিক তথ্যে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছেl বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেl
বুধবার রাতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় আচমকাই পাহাড় থেকে ছুটে আসে হড়পা বান। তাতেই ভেসে যায় অনেকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৩০-৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আট জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাপ্রশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। মৃতদের মধ্যে ১টি শিশুও রয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় নদীর পাড় থেকে নদীর মাঝে অনেকটাই নেমে প্রতিমা বিসর্জনে সামিল হয় মানুষজন। সেইসময় আচমকাই ছুটে আসে ওই হড়পা বান। উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ে উপুর্যুপরি বৃষ্টি হওয়ার ফলেই আচমকা নদীতে এই জলস্ফীতি বলে মনে করা হচ্ছে।
বহু মানুষ সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জলের তোড়ের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছিলো না। কতজন মানুষ পানির তোড়ে ভেসে গিয়েছে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক জানিয়েছেন মুমুর্ষ ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঘাট তৈরি ছিল। মোতায়েন ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। কিন্তু আচমকাই প্রবল বেগে ছুটে আসে বান। তাতেই ভেসে যান নদীতে নামা বহু মানুষ। সাবধান হওয়ার কোনও সুযোগই তারা পাননি। নদীর পারে বেশ কয়েকটি গাড়িও ছিল। সবকিছুই জলের তোড়ে ভেসে যায়। নদীতে বিসর্জনের জন্য যেসব ট্রাক নেমেছিল জলের তোড় সেইসব ট্রাকের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে ট্রাকে থাকা মানুষজন ভেসে যান।
মাল নদীতে এরকম হড়পা বান নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই এরকম এক হড়পা বানে ভেসে গিয়েছিল একটি আস্ত ট্রাক।
ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, ‘শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে উদ্ধারকারি টিম।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই মাল নদী প্রতিটি ঘাটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে মানুষজন বিসর্জন দিতে নদীতে নামতে না পারে।
ঘটনা নিয়ে মালবাজারের বিধায়ক বুলু চিকবরাইক বলেন, ‘প্রতি বছর মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়। এরকম ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি, যেন আচমকাই এমন দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এখও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। কত নিখোঁজ সঠিক খবর এই মুহূর্তে বলা মুশকিল, ঘটনার সময় নদীর পাড়ে ছিলেন কমপক্ষে ৯-১০ হাজার মানুষ।’
দুর্ঘটনার পরই মালবাজার হাসপাতালে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষজন। রাত দশটার সময়ে নদী থেকে এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে জড়ো হওয়া মানুষজনের ক্ষোভ, প্রশাসনের কাছে এই বনের খবর কি ছিল না?
মালবাজার মিউনিশিপ্যালিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিসর্জনের সময় আমরা বারবার মাইকে ঘোষণা করেছিলাম নদীর মধ্যে যাবেন না। কিন্তু কিছু অতি-উতৎসাহী মানুষ মাঝ নদীতে চলে যান। বানের কবল থেকে অনেকেই উদ্ধার করা হলেও দুর্ভাগ্যবশত কিছু মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নিl পানির স্রোত খুবই প্রবল ছিল। তার পেরে ওঠা অসম্ভব ছিল। আপাতত সেখানে প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রাখা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২২
দুর্গা পূজার দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় দুর্ঘটনা ঘটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। প্রাথমিক তথ্যে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছেl বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেl
বুধবার রাতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় আচমকাই পাহাড় থেকে ছুটে আসে হড়পা বান। তাতেই ভেসে যায় অনেকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৩০-৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আট জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাপ্রশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। মৃতদের মধ্যে ১টি শিশুও রয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় নদীর পাড় থেকে নদীর মাঝে অনেকটাই নেমে প্রতিমা বিসর্জনে সামিল হয় মানুষজন। সেইসময় আচমকাই ছুটে আসে ওই হড়পা বান। উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ে উপুর্যুপরি বৃষ্টি হওয়ার ফলেই আচমকা নদীতে এই জলস্ফীতি বলে মনে করা হচ্ছে।
বহু মানুষ সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জলের তোড়ের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছিলো না। কতজন মানুষ পানির তোড়ে ভেসে গিয়েছে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক জানিয়েছেন মুমুর্ষ ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঘাট তৈরি ছিল। মোতায়েন ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। কিন্তু আচমকাই প্রবল বেগে ছুটে আসে বান। তাতেই ভেসে যান নদীতে নামা বহু মানুষ। সাবধান হওয়ার কোনও সুযোগই তারা পাননি। নদীর পারে বেশ কয়েকটি গাড়িও ছিল। সবকিছুই জলের তোড়ে ভেসে যায়। নদীতে বিসর্জনের জন্য যেসব ট্রাক নেমেছিল জলের তোড় সেইসব ট্রাকের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে ট্রাকে থাকা মানুষজন ভেসে যান।
মাল নদীতে এরকম হড়পা বান নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই এরকম এক হড়পা বানে ভেসে গিয়েছিল একটি আস্ত ট্রাক।
ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, ‘শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে উদ্ধারকারি টিম।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই মাল নদী প্রতিটি ঘাটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে মানুষজন বিসর্জন দিতে নদীতে নামতে না পারে।
ঘটনা নিয়ে মালবাজারের বিধায়ক বুলু চিকবরাইক বলেন, ‘প্রতি বছর মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়। এরকম ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি, যেন আচমকাই এমন দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এখও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। কত নিখোঁজ সঠিক খবর এই মুহূর্তে বলা মুশকিল, ঘটনার সময় নদীর পাড়ে ছিলেন কমপক্ষে ৯-১০ হাজার মানুষ।’
দুর্ঘটনার পরই মালবাজার হাসপাতালে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষজন। রাত দশটার সময়ে নদী থেকে এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে জড়ো হওয়া মানুষজনের ক্ষোভ, প্রশাসনের কাছে এই বনের খবর কি ছিল না?
মালবাজার মিউনিশিপ্যালিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিসর্জনের সময় আমরা বারবার মাইকে ঘোষণা করেছিলাম নদীর মধ্যে যাবেন না। কিন্তু কিছু অতি-উতৎসাহী মানুষ মাঝ নদীতে চলে যান। বানের কবল থেকে অনেকেই উদ্ধার করা হলেও দুর্ভাগ্যবশত কিছু মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নিl পানির স্রোত খুবই প্রবল ছিল। তার পেরে ওঠা অসম্ভব ছিল। আপাতত সেখানে প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রাখা হয়েছে।’