চলতি বছরে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফরাসি লেখক আনি এর্নো। ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) নোবেল কমিটি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১৯তম লেখক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে।
আনি এর্নোর জন্ম হয়েছে ১৯৪০ সালের ১ সেপ্টেম্বর। এখন তার বয়স ৮২ বছর। আনি আরনোর সাহিত্য মূলত আত্মজীবনীমূলক, সমাজবিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এর্নো বলেছেন, লেখালেখি একটি রাজনৈতিক কাজ, যা সামাজিক বৈষম্যের প্রতি আমাদের চোখ খুলে দেয়। এই উদ্দেশ্যে তিনি ‘ছুরি’ হিসেবে নিজের ভাষা ব্যবহার করেন, যা তার কল্পনার আবরণ ছিঁড়ে ফেলতে সাহায্য করে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নরম্যান্ডির একটি নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এর্নোকে তার আত্মজীবনীমূলক ঘরানার ‘আ উইমেনস স্টোরি’, ‘আ মেনস প্লেস’ ও ‘সিম্পল প্যাশন’ বিশ্বজুড়ে পরিচিতি এনে দেয়।
‘দ্য ইয়ারস’ এর জন্য ২০১৯ সালে তিনি বুকার পুরস্কারও পান।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সাহস ও ব্যবচ্ছেদীয় প্রখরতার সমন্বয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতির শেকড়, বিচ্ছিন্নতা ও সম্মিলিত সংযম উন্মোচন করার জন্য’ তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
আনি এর্নোকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার বিষয়ে অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘লিঙ্গ, ভাষা ও শ্রেণি সম্পর্কিত শক্তিশালী বৈষম্য দ্বারা চিহ্নিত একটি জীবন তিনি ধারাবাহিকভাবে এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষা করেছেন।’
তার লেখা প্রথম উপন্যাস ‘লে আরমোয়ার বিড’ ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে ‘লে আনি’ প্রকাশ হওয়ার পর তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। এটি ২০১৭ সালে ‘দ্য ইয়ার্স’ নামে ভাষান্তরিত হয়।
বইটি সম্পর্কে অ্যাকাডেমি বলেছে, এটি তার সবচেয়ে উচ্চাকাঙক্ষী প্রকল্প, যা তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং একদল অনুসারী ও সাহিত্যিক শিষ্য এনে দিয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সাহিত্যে নোবেল জিতেছিলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ। প্যারাডাইস নামে তার চতুর্থ উপন্যাসের জন্য এ সম্মাননা পান তিনি। তার আগের বছর পেয়েছিলেন মার্কিন কবি লুইস গ্লুক।
গত সোমবার (৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথমদিন ঘোষণা করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম। এ বছর চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো। আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম। এ বছর এ পুরস্কার জিতেছেন ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যালেইন অ্যাস্পেক্ট, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জন এফ. ক্লজার এবং অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার। ‘বিজড়িত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য’ তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এরপর বুধবার (৫ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় রসায়নে নোবেলজয়ীদের নাম। ২০২২ সালে তিনি বিজ্ঞানী জিতে নিয়েছেন এ পুরস্কার। তারা হলেন ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি, ব্যারি শার্পলেস ও ডেনমার্কের মর্টেন মেলডাল। রসায়নকে কার্যকারিতার যুগে নিয়ে আসা ও ক্লিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপন করায় ব্যারি শার্পলেস ও মর্টেন মেলডালকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ক্যারোলিন বার্তোজ্জি ক্লিক রসায়নকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন, যা জীবন্ত অর্গানিজমে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়াগুলো এখন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অবদান রাখছে।
আগামী শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে (অর্থনীতি) নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে সোমবার (১০ অক্টোবর)।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।
১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২২
চলতি বছরে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফরাসি লেখক আনি এর্নো। ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) নোবেল কমিটি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১৯তম লেখক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে।
আনি এর্নোর জন্ম হয়েছে ১৯৪০ সালের ১ সেপ্টেম্বর। এখন তার বয়স ৮২ বছর। আনি আরনোর সাহিত্য মূলত আত্মজীবনীমূলক, সমাজবিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এর্নো বলেছেন, লেখালেখি একটি রাজনৈতিক কাজ, যা সামাজিক বৈষম্যের প্রতি আমাদের চোখ খুলে দেয়। এই উদ্দেশ্যে তিনি ‘ছুরি’ হিসেবে নিজের ভাষা ব্যবহার করেন, যা তার কল্পনার আবরণ ছিঁড়ে ফেলতে সাহায্য করে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নরম্যান্ডির একটি নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এর্নোকে তার আত্মজীবনীমূলক ঘরানার ‘আ উইমেনস স্টোরি’, ‘আ মেনস প্লেস’ ও ‘সিম্পল প্যাশন’ বিশ্বজুড়ে পরিচিতি এনে দেয়।
‘দ্য ইয়ারস’ এর জন্য ২০১৯ সালে তিনি বুকার পুরস্কারও পান।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সাহস ও ব্যবচ্ছেদীয় প্রখরতার সমন্বয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতির শেকড়, বিচ্ছিন্নতা ও সম্মিলিত সংযম উন্মোচন করার জন্য’ তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
আনি এর্নোকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার বিষয়ে অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘লিঙ্গ, ভাষা ও শ্রেণি সম্পর্কিত শক্তিশালী বৈষম্য দ্বারা চিহ্নিত একটি জীবন তিনি ধারাবাহিকভাবে এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষা করেছেন।’
তার লেখা প্রথম উপন্যাস ‘লে আরমোয়ার বিড’ ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে ‘লে আনি’ প্রকাশ হওয়ার পর তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। এটি ২০১৭ সালে ‘দ্য ইয়ার্স’ নামে ভাষান্তরিত হয়।
বইটি সম্পর্কে অ্যাকাডেমি বলেছে, এটি তার সবচেয়ে উচ্চাকাঙক্ষী প্রকল্প, যা তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং একদল অনুসারী ও সাহিত্যিক শিষ্য এনে দিয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সাহিত্যে নোবেল জিতেছিলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ। প্যারাডাইস নামে তার চতুর্থ উপন্যাসের জন্য এ সম্মাননা পান তিনি। তার আগের বছর পেয়েছিলেন মার্কিন কবি লুইস গ্লুক।
গত সোমবার (৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথমদিন ঘোষণা করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম। এ বছর চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো। আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম। এ বছর এ পুরস্কার জিতেছেন ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যালেইন অ্যাস্পেক্ট, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জন এফ. ক্লজার এবং অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার। ‘বিজড়িত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য’ তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এরপর বুধবার (৫ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় রসায়নে নোবেলজয়ীদের নাম। ২০২২ সালে তিনি বিজ্ঞানী জিতে নিয়েছেন এ পুরস্কার। তারা হলেন ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি, ব্যারি শার্পলেস ও ডেনমার্কের মর্টেন মেলডাল। রসায়নকে কার্যকারিতার যুগে নিয়ে আসা ও ক্লিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপন করায় ব্যারি শার্পলেস ও মর্টেন মেলডালকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ক্যারোলিন বার্তোজ্জি ক্লিক রসায়নকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন, যা জীবন্ত অর্গানিজমে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়াগুলো এখন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অবদান রাখছে।
আগামী শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে (অর্থনীতি) নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে সোমবার (১০ অক্টোবর)।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।
১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।