প্রতিবারের মতো এবারও বছরের ‘সেরা শব্দ’ ঘোষণা করেছে অক্সফোর্ড ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে ২০২২ সালের সেরা শব্দের খেতাব পেয়েছে ‘গবলিন মোড’। মূলত লোভী, অলস, অপরিচ্ছন্ন, আত্মকেন্দ্রিক বা সামাজিক নিয়মনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে এই ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এই শব্দটি।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড ডিকশনারির ওয়েবসাইটে ‘গবলিন মোড’কে বছরের সেরা শব্দ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটা করতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনমত বা ভোটের আয়োজন করা হয়। অনলাইনে টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলে ভোটগ্রহণ। যেখানে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৬টি ভোট পড়েছে এর পক্ষে, যা মোট ভোটের ৯৩ শতাংশ।
২০২২ সালে এই শব্দবন্ধই ‘অক্সফোর্ড ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছে। অক্সফোর্ড অভিধান কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত তিনটি শব্দ বা শব্দবন্ধ থেকে বিপুল ভোটে সেরা নির্বাচিত হয়েছে গবলিন মোড। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশ অর্থাৎ ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৬টি ভোট নিয়ে জয়ী হয় ‘গবলিন মোড’। আর বাকি ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ‘মেটাভার্স’ শব্দে। সেক্ষেত্রে রানারআপ শব্দ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এই ‘মেটাভার্স’ শব্দটি।
‘গবলিন মোড’ শব্দটি যেভাবে এলো
২০০৯ সালে টুইটারের মাধ্যমে এই শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয় মানুষ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে শব্দটি ব্যাপক মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
মূলত, করোনার কড়াকড়ি বা লকডাউন শিথিল হওয়ার পরও বেশকিছু মানুষ তাদের বাড়িতেই সারাদিন অলসভাবে সময় কাটানোকে বেশি প্রাধান্য দিতেন।
করোনার প্রায় দুই বছর ঘরে বন্দী থাকার পর যখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করে, তখনো অনেকেই লকডাউনের সময়ে ঘরে শুয়ে-বসে সময় কাটানোর অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে চায়নি বা পারেনি। এ বিষয়গুলোকে বুঝাতেই ‘গবলিন মোড’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়।
বিবিসি ও সিএনএন লিখেছে, এই ‘অপ্রমিত’ শব্দবন্ধ দিয়ে এমন আচরণকে বোঝায়- যেখানে কেউ ভীষণভাবে কেবল নিজেকে নিয়েই ভাবেন বা প্রশ্রয় দেন। তিনি এমন একজন, যিনি অলস, অপরিচ্ছন্ন, উদাসীন ও পেটুক; সেইসঙ্গে সামাজিক আচার-আচরণকে পাত্তা দেন না। আর এসব বৈশিষ্ট্য সম্ভবত কোভিড লকডাউনের সময় অনেকেরই খুব চেনা হয়ে গেছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের অভিধানলেখকদের একটি দল এ বছরের সেরা শব্দ নির্বাচনে ‘গবলিন মোড’, ‘মেটার্ভাস’ ও ‘হ্যাশট্যাগ আই স্ট্যান্ড উইথ’ বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে ‘গবলিন মোড’ সেরা নির্বাচিত হয়। ভোটে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ‘মেটাভার্স’, তৃতীয় হয়েছে ‘হ্যাশট্যাগ আই স্ট্যান্ড উইথ’।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের অক্সফোর্ড ল্যাঙ্গুয়েজেসের প্রেসিডেন্ট ক্যাসপার গ্রাথওহল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “শব্দ নির্বাচনের ক্যাম্পেইনে এত মানুষের সাড়া আমাদের অবাক করে দিয়েছে। আমাদের চারপাশে কী ঘটছে, এবং নিজেদের বোঝার জন্য শব্দ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরএই সাড়া তাই-ই তুলে ধরে।
“আমরা যে বছরটা কাটালাম, সেখানে গবলিন মোডের বৈশিষ্ট্য আমাদের সকলের সঙ্গেই প্রতিফলিত হয়েছে, যারা এ বিষয়টির মত খানিকটা আচ্ছন্ন ছিলেন তখন। এটা স্বীকার করে স্বস্তি লাগছে যে, সবসময় আমরা আদর্শবাদী বা পরিপাটি সত্ত্বায় থাকি না, যেভাবে ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকে নিজেদের তুলে ধরতে চাই।”
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বলছে, ২০০৯ সালে অনলাইনে এই শব্দগুচ্ছ প্রথম পরিচিতি পায়। কিন্তু এ বছরের শুরুতে অনলাইনে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। আমেরিকান কনিয়ে ওয়েস্ট এবং অভিনেত্রী ও মডেল জুলিয়া ফক্সকে নিয়ে একটি ভুয়া সংবাদে জুলিয়া ফক্সের ‘গবলিন মোডের কারণে’ তাদের সম্পর্কের ভাঙনের কথা বলে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে থাকে ‘গবলিন মোড’।
বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
প্রতিবারের মতো এবারও বছরের ‘সেরা শব্দ’ ঘোষণা করেছে অক্সফোর্ড ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে ২০২২ সালের সেরা শব্দের খেতাব পেয়েছে ‘গবলিন মোড’। মূলত লোভী, অলস, অপরিচ্ছন্ন, আত্মকেন্দ্রিক বা সামাজিক নিয়মনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে এই ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এই শব্দটি।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড ডিকশনারির ওয়েবসাইটে ‘গবলিন মোড’কে বছরের সেরা শব্দ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটা করতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনমত বা ভোটের আয়োজন করা হয়। অনলাইনে টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলে ভোটগ্রহণ। যেখানে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৬টি ভোট পড়েছে এর পক্ষে, যা মোট ভোটের ৯৩ শতাংশ।
২০২২ সালে এই শব্দবন্ধই ‘অক্সফোর্ড ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছে। অক্সফোর্ড অভিধান কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত তিনটি শব্দ বা শব্দবন্ধ থেকে বিপুল ভোটে সেরা নির্বাচিত হয়েছে গবলিন মোড। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশ অর্থাৎ ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৬টি ভোট নিয়ে জয়ী হয় ‘গবলিন মোড’। আর বাকি ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ‘মেটাভার্স’ শব্দে। সেক্ষেত্রে রানারআপ শব্দ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এই ‘মেটাভার্স’ শব্দটি।
‘গবলিন মোড’ শব্দটি যেভাবে এলো
২০০৯ সালে টুইটারের মাধ্যমে এই শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয় মানুষ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে শব্দটি ব্যাপক মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
মূলত, করোনার কড়াকড়ি বা লকডাউন শিথিল হওয়ার পরও বেশকিছু মানুষ তাদের বাড়িতেই সারাদিন অলসভাবে সময় কাটানোকে বেশি প্রাধান্য দিতেন।
করোনার প্রায় দুই বছর ঘরে বন্দী থাকার পর যখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করে, তখনো অনেকেই লকডাউনের সময়ে ঘরে শুয়ে-বসে সময় কাটানোর অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে চায়নি বা পারেনি। এ বিষয়গুলোকে বুঝাতেই ‘গবলিন মোড’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়।
বিবিসি ও সিএনএন লিখেছে, এই ‘অপ্রমিত’ শব্দবন্ধ দিয়ে এমন আচরণকে বোঝায়- যেখানে কেউ ভীষণভাবে কেবল নিজেকে নিয়েই ভাবেন বা প্রশ্রয় দেন। তিনি এমন একজন, যিনি অলস, অপরিচ্ছন্ন, উদাসীন ও পেটুক; সেইসঙ্গে সামাজিক আচার-আচরণকে পাত্তা দেন না। আর এসব বৈশিষ্ট্য সম্ভবত কোভিড লকডাউনের সময় অনেকেরই খুব চেনা হয়ে গেছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের অভিধানলেখকদের একটি দল এ বছরের সেরা শব্দ নির্বাচনে ‘গবলিন মোড’, ‘মেটার্ভাস’ ও ‘হ্যাশট্যাগ আই স্ট্যান্ড উইথ’ বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে ‘গবলিন মোড’ সেরা নির্বাচিত হয়। ভোটে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ‘মেটাভার্স’, তৃতীয় হয়েছে ‘হ্যাশট্যাগ আই স্ট্যান্ড উইথ’।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের অক্সফোর্ড ল্যাঙ্গুয়েজেসের প্রেসিডেন্ট ক্যাসপার গ্রাথওহল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “শব্দ নির্বাচনের ক্যাম্পেইনে এত মানুষের সাড়া আমাদের অবাক করে দিয়েছে। আমাদের চারপাশে কী ঘটছে, এবং নিজেদের বোঝার জন্য শব্দ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরএই সাড়া তাই-ই তুলে ধরে।
“আমরা যে বছরটা কাটালাম, সেখানে গবলিন মোডের বৈশিষ্ট্য আমাদের সকলের সঙ্গেই প্রতিফলিত হয়েছে, যারা এ বিষয়টির মত খানিকটা আচ্ছন্ন ছিলেন তখন। এটা স্বীকার করে স্বস্তি লাগছে যে, সবসময় আমরা আদর্শবাদী বা পরিপাটি সত্ত্বায় থাকি না, যেভাবে ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকে নিজেদের তুলে ধরতে চাই।”
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বলছে, ২০০৯ সালে অনলাইনে এই শব্দগুচ্ছ প্রথম পরিচিতি পায়। কিন্তু এ বছরের শুরুতে অনলাইনে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। আমেরিকান কনিয়ে ওয়েস্ট এবং অভিনেত্রী ও মডেল জুলিয়া ফক্সকে নিয়ে একটি ভুয়া সংবাদে জুলিয়া ফক্সের ‘গবলিন মোডের কারণে’ তাদের সম্পর্কের ভাঙনের কথা বলে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে থাকে ‘গবলিন মোড’।