তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে। এতে এ পর্যন্ত সিরিয়া এবং তুরস্ক মিলিয়ে অন্তত ১১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। খবর বিবিসি ও এনডিটিভি’র।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি সংস্থা এএফএডি এক বিবৃতিতে ভূমিকম্পে দেশটিতে ৭৬ জন নিহত ও ৪৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে দেশটিতে অন্তত ৪২ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্কের মালাটিয়ায় অন্তত ২৩, সানলিউরফার ১৭, দিয়ারবাকিরে ৬ এবং ওসমানিয়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।
প্রতিবেশি দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শিক্ষারী মোহামাদ এর ছামা বলেন, ‘আমি কিছু একটা লিখছিলাম এবং হঠাৎ করেই পুরো ভবন কাঁপতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কী হচ্ছে।’
‘আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং আমার ভয় হচ্ছিলো যে সেগুলো ভেঙে পড়বে। প্রায় ৪-৫ মিনিট ধরে এটা চলে এবং পুরো বিষয়টি ভয়ংকর ছিল। এটা অভূতপূর্ব ছিল।’
গাজা উপত্যকায় থাকা বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুয়ালুফ বলেন, তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় সিসমোলজিস্টরা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৪ ছিল বলে জানিয়েছে। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরেই দ্বিতীয় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।
তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত।এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে। এতে এ পর্যন্ত সিরিয়া এবং তুরস্ক মিলিয়ে অন্তত ১১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। খবর বিবিসি ও এনডিটিভি’র।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি সংস্থা এএফএডি এক বিবৃতিতে ভূমিকম্পে দেশটিতে ৭৬ জন নিহত ও ৪৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে দেশটিতে অন্তত ৪২ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্কের মালাটিয়ায় অন্তত ২৩, সানলিউরফার ১৭, দিয়ারবাকিরে ৬ এবং ওসমানিয়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।
প্রতিবেশি দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শিক্ষারী মোহামাদ এর ছামা বলেন, ‘আমি কিছু একটা লিখছিলাম এবং হঠাৎ করেই পুরো ভবন কাঁপতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কী হচ্ছে।’
‘আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং আমার ভয় হচ্ছিলো যে সেগুলো ভেঙে পড়বে। প্রায় ৪-৫ মিনিট ধরে এটা চলে এবং পুরো বিষয়টি ভয়ংকর ছিল। এটা অভূতপূর্ব ছিল।’
গাজা উপত্যকায় থাকা বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুয়ালুফ বলেন, তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় সিসমোলজিস্টরা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৪ ছিল বলে জানিয়েছে। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরেই দ্বিতীয় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।
তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত।এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।