ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে এক বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রত্যাশি। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হলেও পরবর্তীতে শর্ত সাপেক্ষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। হামলাকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি রোম দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। রোম দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সেই হামলার কিছু ভিডিও নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছে।
প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায় একজন ব্যক্তি দূতাবাসের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত মেটাল পোল দিয়ে দূতাবাসের মেইন গেটের সুইচবোর্ডে বারবার আঘাত করছেন। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি দূতাবাসের মেইন গেইট সংলগ্ন নির্দেশিকা বোর্ড এবং দূতাবাসের ৫নং গেট সংলগ্ন নোটিশ বোর্ডটিও ভেঙ্গে ফেলেন। এসময় দূতাবাসের দুইজন কর্মককর্তা ৫নং গেটের সামনে গেলে ওই ব্যক্তি মেটাল পোল দিয়ে তাদের আঘাতের চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে দূতাবাসে সংলগ্ন এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য উক্ত ব্যক্তি দূতাবাসের মেইন গেইটের পাশে থাকা বর্জ্য ফেলার তিনটি প্লাস্টিক কন্টেইনার আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই কন্টেইনারগুলো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে।
ঘটনার আকস্মিকতায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানায় এবং দূতাবাসের বাইরে গিয়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। এসময় ওই ব্যক্তি মেটাল পোল দিয়ে তাদেরকে আঘাতের জন্য এগিয়ে আসেন। এরমধ্যে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তাকে নিরস্ত্র করা সম্ভব হয়।
এরমধ্যে স্থানীয় পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়ে ঐ ব্যক্তিকে আটক করে। পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নাশকতার অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ দূতাবাসের অভিযোগের যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তীতে ইতালিয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক তাকে পুলিশি তদন্তে সহায়তা এবং পুলিশ স্টেশন বা আদালতে ডাকা মাত্র উপস্থিত হওয়ার শর্ত সাপেক্ষে পুলিশ স্টেশন হতে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে উক্ত ব্যক্তি একই দিন সকালে তার পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে দূতাবাসের কাউন্টারে আসলে সংশ্লিষ্ট স্টাফ তার কাগজপত্রাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে নিশ্চিত হন যে, বিদ্যমান বিধি মোতাবেক পুরনো পাসপোর্টের কপি ব্যতিরেকে তার পাসপোর্টের আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। বিষয়টি তাকে একাধিকবার বুঝিয়ে বলার পরেও তিনি তর্ক করতে থাকেন এবং গালিগালাজ শুরু করেন।
কাউন্টারের সামনে উপস্থিত কয়েকজন সেবাগ্রহীতা তাকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। প্রবাসি ভাইবোনদের স্বাভাবিক সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার জন্য দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীরা ঐ ব্যক্তিকে দূতাবাসের গেইটের বাইরে নিয়ে যায়। এতে আরো উত্তেজিত হয়ে পরবর্তী সময়ে প্রবল আক্রোশে তিনি দূতাবাসের তথা সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন ও নাশকতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পর দূতাবাস এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দূতাবাসে ঐ সময় একশো’র বেশি সেবাগ্রহীতা ছিলেন। দূতাবাসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি বা সিকিউরিটি গার্ড কোনভাবেই উক্ত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে আঘাত করেনি। এমনকি কাউন্টারে তার সঙ্গে ন্যূনতম খারাপ ব্যবহারও করা হয়নি মর্মে দূতাবাসের অভ্যন্তরীণ তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ২৯ মার্চ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় এরূপ ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে মর্মে দূতাবাসের গোচরীভুত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এত অল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অগ্নি সংযোগ ও নাশকতামূলক তৎপরতা দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে, এর পেছনে কোন স্বার্থান্বেষী মহলের সুগভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। বিশেষত, দেশবিরোধী ও সরকারবিরোধী কোন গোষ্ঠী অতীতের আগুন-সন্ত্রাসের নজির স্থাপন করে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ও সরকারের সুনাম ভুলুন্ঠিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে কিনা তা দূতাবাস খতিয়ে দেখছে।
তৃতীয়ত, সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন ও অগ্নিসংযোগ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কোন পরিস্থিতিতেই তা সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। বিদেশের মাটিতে দূতাবাসে এরূপ আক্রমণ দেশের ভাবমূর্তি চূড়ান্তভাবে ক্ষুণ্ণ করে। তথাপি, কতিপয় অসাধু চক্র ঐ নাশকতাকারীর পক্ষ অবলম্বন করে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে যার বিষয়ে ইতোমধ্যেই সরকারের উচ্চপর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
চতুর্থত, দূতাবাস প্রচলিত সরকারি বিধি মোতাবেক পাসপোর্ট ও অন্যান্য কনস্যুলার সেবা প্রদান করে থাকে। বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে কারো জন্য কোন বিশেষ বিবেচনার সুযোগ দূতাবাসের নেই। দূতাবাসের সেবা সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ থাকলে তা দূতাবাসের ইমেইলে বা ফেসবুক পেইজে সরাসরি জানানোর সুযোগ রয়েছে এবং তার প্রতিকারও নিয়মিতভাবে দূতাবাস কর্তৃক করা হয়ে থাকে।
এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট সকলকে চক্রান্তকারী সরকার বিরোধী গোষ্ঠীর মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানায় দূতাবাস। পাশাপাশি, ইতালির বুকে বাংলাদেশের লাল-সবুজ ঠিকানা, বাংলাদেশ দূতাবাসের তথা সরকারের সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে যত্নশীল হবার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে দূতাবাস ইতালিয় সরকারের সঙ্গে যুগপৎভাবে কাজ করে চলেছে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে এক বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রত্যাশি। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হলেও পরবর্তীতে শর্ত সাপেক্ষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। হামলাকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি রোম দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। রোম দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সেই হামলার কিছু ভিডিও নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছে।
প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায় একজন ব্যক্তি দূতাবাসের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত মেটাল পোল দিয়ে দূতাবাসের মেইন গেটের সুইচবোর্ডে বারবার আঘাত করছেন। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি দূতাবাসের মেইন গেইট সংলগ্ন নির্দেশিকা বোর্ড এবং দূতাবাসের ৫নং গেট সংলগ্ন নোটিশ বোর্ডটিও ভেঙ্গে ফেলেন। এসময় দূতাবাসের দুইজন কর্মককর্তা ৫নং গেটের সামনে গেলে ওই ব্যক্তি মেটাল পোল দিয়ে তাদের আঘাতের চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে দূতাবাসে সংলগ্ন এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য উক্ত ব্যক্তি দূতাবাসের মেইন গেইটের পাশে থাকা বর্জ্য ফেলার তিনটি প্লাস্টিক কন্টেইনার আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই কন্টেইনারগুলো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে।
ঘটনার আকস্মিকতায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানায় এবং দূতাবাসের বাইরে গিয়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। এসময় ওই ব্যক্তি মেটাল পোল দিয়ে তাদেরকে আঘাতের জন্য এগিয়ে আসেন। এরমধ্যে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তাকে নিরস্ত্র করা সম্ভব হয়।
এরমধ্যে স্থানীয় পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়ে ঐ ব্যক্তিকে আটক করে। পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নাশকতার অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ দূতাবাসের অভিযোগের যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তীতে ইতালিয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক তাকে পুলিশি তদন্তে সহায়তা এবং পুলিশ স্টেশন বা আদালতে ডাকা মাত্র উপস্থিত হওয়ার শর্ত সাপেক্ষে পুলিশ স্টেশন হতে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে উক্ত ব্যক্তি একই দিন সকালে তার পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে দূতাবাসের কাউন্টারে আসলে সংশ্লিষ্ট স্টাফ তার কাগজপত্রাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে নিশ্চিত হন যে, বিদ্যমান বিধি মোতাবেক পুরনো পাসপোর্টের কপি ব্যতিরেকে তার পাসপোর্টের আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। বিষয়টি তাকে একাধিকবার বুঝিয়ে বলার পরেও তিনি তর্ক করতে থাকেন এবং গালিগালাজ শুরু করেন।
কাউন্টারের সামনে উপস্থিত কয়েকজন সেবাগ্রহীতা তাকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। প্রবাসি ভাইবোনদের স্বাভাবিক সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার জন্য দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীরা ঐ ব্যক্তিকে দূতাবাসের গেইটের বাইরে নিয়ে যায়। এতে আরো উত্তেজিত হয়ে পরবর্তী সময়ে প্রবল আক্রোশে তিনি দূতাবাসের তথা সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন ও নাশকতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পর দূতাবাস এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দূতাবাসে ঐ সময় একশো’র বেশি সেবাগ্রহীতা ছিলেন। দূতাবাসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি বা সিকিউরিটি গার্ড কোনভাবেই উক্ত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে আঘাত করেনি। এমনকি কাউন্টারে তার সঙ্গে ন্যূনতম খারাপ ব্যবহারও করা হয়নি মর্মে দূতাবাসের অভ্যন্তরীণ তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ২৯ মার্চ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় এরূপ ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে মর্মে দূতাবাসের গোচরীভুত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এত অল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অগ্নি সংযোগ ও নাশকতামূলক তৎপরতা দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে, এর পেছনে কোন স্বার্থান্বেষী মহলের সুগভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। বিশেষত, দেশবিরোধী ও সরকারবিরোধী কোন গোষ্ঠী অতীতের আগুন-সন্ত্রাসের নজির স্থাপন করে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ও সরকারের সুনাম ভুলুন্ঠিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে কিনা তা দূতাবাস খতিয়ে দেখছে।
তৃতীয়ত, সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন ও অগ্নিসংযোগ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কোন পরিস্থিতিতেই তা সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। বিদেশের মাটিতে দূতাবাসে এরূপ আক্রমণ দেশের ভাবমূর্তি চূড়ান্তভাবে ক্ষুণ্ণ করে। তথাপি, কতিপয় অসাধু চক্র ঐ নাশকতাকারীর পক্ষ অবলম্বন করে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে যার বিষয়ে ইতোমধ্যেই সরকারের উচ্চপর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
চতুর্থত, দূতাবাস প্রচলিত সরকারি বিধি মোতাবেক পাসপোর্ট ও অন্যান্য কনস্যুলার সেবা প্রদান করে থাকে। বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে কারো জন্য কোন বিশেষ বিবেচনার সুযোগ দূতাবাসের নেই। দূতাবাসের সেবা সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ থাকলে তা দূতাবাসের ইমেইলে বা ফেসবুক পেইজে সরাসরি জানানোর সুযোগ রয়েছে এবং তার প্রতিকারও নিয়মিতভাবে দূতাবাস কর্তৃক করা হয়ে থাকে।
এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট সকলকে চক্রান্তকারী সরকার বিরোধী গোষ্ঠীর মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানায় দূতাবাস। পাশাপাশি, ইতালির বুকে বাংলাদেশের লাল-সবুজ ঠিকানা, বাংলাদেশ দূতাবাসের তথা সরকারের সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে যত্নশীল হবার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে দূতাবাস ইতালিয় সরকারের সঙ্গে যুগপৎভাবে কাজ করে চলেছে।