বিভিন্ন ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে জুয়ার কার্যক্রম। এতে বিদেশে অর্থ পাচারসহ হুমকির মুখে তরুণ সমাজ। তাই অনলাইনে জুয়া, বেটিং এবং পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধে করণীয় বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়; বিটিআরসি; নির্বাচন কমিশন; বাংলাদেশ ব্যাংক; বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; মোবাইল অপারেটর এবং মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, এমএফএস অ্যাকাউন্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ওয়েবসাইটের অপারেশনাল কার্যক্রম মনিটরিং ইত্যাদি বিষয়গুলোকে একটি পরিকাঠামোয় এনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, অনলাইন প্রতারণা, জালিয়াতি ও জুয়া বন্ধে একজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, সিম নাম্বার এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট-তিনটিকে সমন্বতিভাবে যাচাই করা হবে। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালসমূহে জুয়া বন্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক স্থিরতা বজায় রাখা, যুব সমাজের অবক্ষয় রোধ এবং অর্থপাচার বন্ধে একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে বেটিং সাইট ব্রাউজকারীকে সনাক্ত করাসহ এমএফএস অপারেটরসমূহের যেসব অ্যাকাউন্টে লেনদেন সন্দেহজনক তা বিশ্লেষণ সাপেক্ষে ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.) বলেন, জুয়া ও আর্থিক প্রতারণা সনাক্তে বিটিআরসি ও বাংলাদেশ বাংক যৌথভাবে সাবস্ক্রাইবার ডাটা ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম (এসডিভিপি) সিস্টেম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। মোবাইল সিম সংখ্যা কমিয়ে আনাসহ এনইআইআর সিস্টেম কার্যকর হলে জুয়া কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন থেকে আগত প্রতিনিধি জানান, নির্বাচন কমিশন ও বিটিআরসি মিলে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এছাড়া, ডুপ্লিকেশন এড়াতে স্মার্ট আইডি ও পুরানো আইডি ম্যাপিং নিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে বলেও জানান তারা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
বিভিন্ন ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে জুয়ার কার্যক্রম। এতে বিদেশে অর্থ পাচারসহ হুমকির মুখে তরুণ সমাজ। তাই অনলাইনে জুয়া, বেটিং এবং পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধে করণীয় বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়; বিটিআরসি; নির্বাচন কমিশন; বাংলাদেশ ব্যাংক; বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; মোবাইল অপারেটর এবং মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, এমএফএস অ্যাকাউন্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ওয়েবসাইটের অপারেশনাল কার্যক্রম মনিটরিং ইত্যাদি বিষয়গুলোকে একটি পরিকাঠামোয় এনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, অনলাইন প্রতারণা, জালিয়াতি ও জুয়া বন্ধে একজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, সিম নাম্বার এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট-তিনটিকে সমন্বতিভাবে যাচাই করা হবে। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালসমূহে জুয়া বন্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক স্থিরতা বজায় রাখা, যুব সমাজের অবক্ষয় রোধ এবং অর্থপাচার বন্ধে একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে বেটিং সাইট ব্রাউজকারীকে সনাক্ত করাসহ এমএফএস অপারেটরসমূহের যেসব অ্যাকাউন্টে লেনদেন সন্দেহজনক তা বিশ্লেষণ সাপেক্ষে ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.) বলেন, জুয়া ও আর্থিক প্রতারণা সনাক্তে বিটিআরসি ও বাংলাদেশ বাংক যৌথভাবে সাবস্ক্রাইবার ডাটা ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম (এসডিভিপি) সিস্টেম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। মোবাইল সিম সংখ্যা কমিয়ে আনাসহ এনইআইআর সিস্টেম কার্যকর হলে জুয়া কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন থেকে আগত প্রতিনিধি জানান, নির্বাচন কমিশন ও বিটিআরসি মিলে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এছাড়া, ডুপ্লিকেশন এড়াতে স্মার্ট আইডি ও পুরানো আইডি ম্যাপিং নিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে বলেও জানান তারা।