ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে বিটিসিএলের সেবা পৌছে দেয়া হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২শ’র বেশি ইউনিয়নে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবা (ওয়াইফাই) হটস্পট চালু হবে। এ জন্য ৪৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এ প্রকল্পের রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হবে। এতে গ্রামের ছাত্র/ছাত্রীসহ নানা পেশার মানুষ প্রথমে তিন বছর বিনা মূল্যে এ সুবিধা পাবেন। আর বিটিসিএলের লেন্ড ফোন (টিএন্ডটি ফোন) জেলা থেকে উপজেলা পর্যায়ে আরও বেশি পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএলের) ম্যানেজিং ড্রাইরেক্টর মো. রফিকুল মতিন বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে তার কার্যালয়ে এক সাক্ষাতে সংবাদ প্রতিবেদককে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ১২১৬টি ইউনিয়নে ১২ হাজার ৮শ’ (ওয়াইফাই) ইন্টারনেটের হটস্পট চালু করার কাজ শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে উৎসাহ দিতে তিন বছর বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এই সেবা দেশের সব ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌছে দেয়া হবে। নতুন বছর বিটিসিএল সেবার মান বাড়াতে আরও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জানা গেছে, প্রতি বছর ঘুর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা কারণে ইউনিয়ন পর্যায়ে ও উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আবার অনেক এলাকায় পাঁচ থেকে সাত দিন মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। ওই সময় তারা মোবাইল চার্জ দেয়ার মত কোন ব্যবস্থা থাকে না। অনেকের মোবাইল টাওয়ার ঝড়ের কবড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা আত্মীয় স্বজন ও প্রবাসে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও বিদ্যুৎ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এই সব ঘটনা ঘটেছে।
আবার ঝড়ের কবলে বা বন্যার পানি জমে অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই ধরনের বিপদে পড়া মানুষকে সহায়তা করতে বিটিসিএল সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। চলতি বছর সিলেটে দফায় দফায় বন্যার সময়ের সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই সময় বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে ব্যাটারি ও জেনারেটর দিয়ে সংযোগ ব্যবস্থা চালু করে ছিল। এরফলে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এইভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বিপদে পড়লে যাতে যোগাযোগ করতে পারে তা তার জন্য ভূগর্ভস্থ ক্যাবল থাকায় সংযোগ চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। কারণ ভূগর্ভস্থ ক্যাবল যেহেতু মাটির নিচে থাকে। এতে খুব সমস্যা হয় না।
বিটিসিএল অফিস থেকে জানা গেছে, বিটিসিএলের প্রকৌশলীরা মোবাইল যুগে বিটিসিএলের ল্যান্ডফোনকে আরও জন প্রিয় করে তুলতে কাজ করছেন। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় বিটিসিএলের ল্যান্ড ফোন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে মেলার আয়োজন করেছেন। মেলা থেকে অনেকেই বিটিসিএলের ফোন (টিএন্ডটি) গ্রাহক পাওয়া গেছে। জেলা থেকে উপজেলা ও পর্যায়ক্রমে গ্রাম গঞ্জে পৌছে দেয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। এতে করে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। যে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিটিসিএলের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আরও আন্তরিক হলে এবং সেবারমান বাড়ালে গ্রামগঞ্জে এর চাহিদা বাড়বে। স্বাধীনতার পর ডিজিটাল যুগে গ্রামগঞ্জে টিএন্ডটি ফোন (ল্যান্ড ফোন) ছিল সোনার হরিণ। অনেকেই ফোন নিতে চাইলেও নানা সীমাবদ্ধতার অভিযোগে সংযোগ দেয়া সম্ভব হত না বলে অভিযোগ রয়েছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যোগাযোগ করে ফোন পাওয়া কষ্টকর ছিল। এখন ফোন পাওয়া যায়। কিন্তু নিতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করছেন। আগে মাঠ পর্যায়ে ও ক্যাম্প পর্যায়ে ফোন সংযোগ নিতে গেলে লাইনম্যানের ভোগান্তির শিকার হত। এখন একটি ম্যাসেজ পাঠালে বা অল্প সময়ে কম টাকায় ল্যান্ড ফোন হাতের নাগালে পৌছে যায় বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। এরপরও ভোগান্তি এখনও কিছুটা আছে বলে অনেকেই মনে করেন।
বুধবার, ০২ নভেম্বর ২০২২
ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে বিটিসিএলের সেবা পৌছে দেয়া হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২শ’র বেশি ইউনিয়নে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবা (ওয়াইফাই) হটস্পট চালু হবে। এ জন্য ৪৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এ প্রকল্পের রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হবে। এতে গ্রামের ছাত্র/ছাত্রীসহ নানা পেশার মানুষ প্রথমে তিন বছর বিনা মূল্যে এ সুবিধা পাবেন। আর বিটিসিএলের লেন্ড ফোন (টিএন্ডটি ফোন) জেলা থেকে উপজেলা পর্যায়ে আরও বেশি পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএলের) ম্যানেজিং ড্রাইরেক্টর মো. রফিকুল মতিন বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে তার কার্যালয়ে এক সাক্ষাতে সংবাদ প্রতিবেদককে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ১২১৬টি ইউনিয়নে ১২ হাজার ৮শ’ (ওয়াইফাই) ইন্টারনেটের হটস্পট চালু করার কাজ শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে উৎসাহ দিতে তিন বছর বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এই সেবা দেশের সব ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌছে দেয়া হবে। নতুন বছর বিটিসিএল সেবার মান বাড়াতে আরও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জানা গেছে, প্রতি বছর ঘুর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা কারণে ইউনিয়ন পর্যায়ে ও উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আবার অনেক এলাকায় পাঁচ থেকে সাত দিন মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। ওই সময় তারা মোবাইল চার্জ দেয়ার মত কোন ব্যবস্থা থাকে না। অনেকের মোবাইল টাওয়ার ঝড়ের কবড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা আত্মীয় স্বজন ও প্রবাসে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও বিদ্যুৎ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এই সব ঘটনা ঘটেছে।
আবার ঝড়ের কবলে বা বন্যার পানি জমে অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই ধরনের বিপদে পড়া মানুষকে সহায়তা করতে বিটিসিএল সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। চলতি বছর সিলেটে দফায় দফায় বন্যার সময়ের সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই সময় বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে ব্যাটারি ও জেনারেটর দিয়ে সংযোগ ব্যবস্থা চালু করে ছিল। এরফলে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এইভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বিপদে পড়লে যাতে যোগাযোগ করতে পারে তা তার জন্য ভূগর্ভস্থ ক্যাবল থাকায় সংযোগ চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। কারণ ভূগর্ভস্থ ক্যাবল যেহেতু মাটির নিচে থাকে। এতে খুব সমস্যা হয় না।
বিটিসিএল অফিস থেকে জানা গেছে, বিটিসিএলের প্রকৌশলীরা মোবাইল যুগে বিটিসিএলের ল্যান্ডফোনকে আরও জন প্রিয় করে তুলতে কাজ করছেন। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় বিটিসিএলের ল্যান্ড ফোন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে মেলার আয়োজন করেছেন। মেলা থেকে অনেকেই বিটিসিএলের ফোন (টিএন্ডটি) গ্রাহক পাওয়া গেছে। জেলা থেকে উপজেলা ও পর্যায়ক্রমে গ্রাম গঞ্জে পৌছে দেয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। এতে করে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। যে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিটিসিএলের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আরও আন্তরিক হলে এবং সেবারমান বাড়ালে গ্রামগঞ্জে এর চাহিদা বাড়বে। স্বাধীনতার পর ডিজিটাল যুগে গ্রামগঞ্জে টিএন্ডটি ফোন (ল্যান্ড ফোন) ছিল সোনার হরিণ। অনেকেই ফোন নিতে চাইলেও নানা সীমাবদ্ধতার অভিযোগে সংযোগ দেয়া সম্ভব হত না বলে অভিযোগ রয়েছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যোগাযোগ করে ফোন পাওয়া কষ্টকর ছিল। এখন ফোন পাওয়া যায়। কিন্তু নিতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করছেন। আগে মাঠ পর্যায়ে ও ক্যাম্প পর্যায়ে ফোন সংযোগ নিতে গেলে লাইনম্যানের ভোগান্তির শিকার হত। এখন একটি ম্যাসেজ পাঠালে বা অল্প সময়ে কম টাকায় ল্যান্ড ফোন হাতের নাগালে পৌছে যায় বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। এরপরও ভোগান্তি এখনও কিছুটা আছে বলে অনেকেই মনে করেন।