বাংলাদেশের সম্মুখ সারিতে কর্মরত আলোকচিত্র সাংবাদিকদের অর্জনকে উদযাপন এবং সম্মান জানাতে দৃক পিকচার লাইব্রেরি আয়োজিত বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন হলো আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকাস্থ দৃক গ্যালারিতে। এবারের প্রদর্শনীতে ২০২২ সাল থেকে দৃকের ধারাবাহিক আয়োজন বাংলাদেশ প্রেস ফটো কনটেস্ট (বিপিপিসি) এর ৩য় সংস্করণে নির্বাচিত ৩০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।
এবছর ১৬ এপ্রিল ছবি আহ্বানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করা হয়। এতে আলোকচিত্র সাংবাদিকরা ২০২৩ সালে তোলা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রায় একহাজারের বেশি ছবি জমা দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিপিসি ২০২৪ এর অন্যতম বিচারক ও দৃক পিকচার লাইব্রেরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।
তিনি বলেন, “দুনিয়ার কোন প্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় আমার জানামতে গণমুখী সাংবাদিকতার ক্যাটাগরি নেই। মিডিয়ার মালিকানাসহ নানা কারণে তারকা বা প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় প্রচারেই মিডিয়ার কাজ সীমাবদ্ধ থাকে। আজকের প্রদর্শিত ছবিগুলোর আলোকচিত্রীরা নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজগুলো করেছে। তাদের কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করে বাংলাদেশের আলোকচিত্র আজ অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছে।“
প্রতিযোগিতার অন্য বিচারকেরা ছিলেন, অমল আকাশ, মনিরুল আলম, শোয়েব ফারুকী এবং তাসমিমা হোসেন। বিচারকরা তাদের বক্তব্যে এই আয়োজন এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন প্রদর্শনীর কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান ।
অনুষ্ঠানে মনিরুল আলম বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের প্রথাগত ছবির বাইরে, সাধারণ অনুষ্ঠানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি তোলার অভ্যাস করতে হবে, যেসকল ছবি অনন্য এবং আলাদা সেগুলোই মানুষের মনে ধরে, প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতে নেয়। আর যারা এবছর পুরস্কার পায়নি তাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।“
শোয়েব ফারুকী বলেন, “সাংবাদিকদের চোখ খোলা রাখতে হবে নতুন ধরনের ছবির জন্য। নতুন ছবি সহজেই যেকোন মানুষের চোখে পরে এবং পুরস্কার জেতার দৌড়ে এগিয়ে থাকে।“
ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের কাজ অনেক কঠিন। তাদের সকল কিছু আলাদা চোখ দিয়ে দেখতে হয় কিন্তু সেই দেখার চোখের আজ অনেক অভাব। তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করারটাও সমানভাবে জরুরী।“
এবারে বর্ষসেরা আলোকচিত্র ২০২৩ বিজয়ী হয়েছেন ফোকাস বাংলার কুদ্দুস আলম এবং তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ১,০০,০০০ টাকা।
একইসাথে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন আরও ছয়জন আলোকচিত্রী। বিভাগ বিজয়ীরা হচ্ছেন-
শিল্প, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াঃ কাজী গোলাম কুদ্দুস হেলাল এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন পিয়াস বিশ্বাস।
রাজনীতিঃ নায়েম আলী, বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ সাজিদ হোসাইন।
জনমুখী সাংবাদিকতাঃ আবদুল গনি এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ মাহমুদুর রহমান।
প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন বিজয়ী ও একজন বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার বিজয়ী পেয়েছেন যথাক্রমে ৫০,০০০ টাকা ও ১০,০০০ টাকা। পাশাপাশি তাঁরা প্রত্যেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক এবং সনদ।
দৃক ২০২৩ সাল থেকে আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় প্রান্তিক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠী গ্র্যান্ট’ প্রবর্তন করেছে। এবছর এই গ্র্যান্টটি জিতেছেন আদিবাসী আলোকচিত্রী ডেনিম চাকমা, যার মূল্যমান ৫০,০০০ টাকা।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষনা করেন আলোকচিত্রী এবং লেখক জান্নাতুল মাওয়া।
এবারের প্রদর্শনীতে ২০২৩ সালের প্রথম অনুদান বিজয়ী পদ্মিনী চাকমার কিছু বাছাইকৃত ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।
সকলের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ২৬ জুলাই, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশের সম্মুখ সারিতে কর্মরত আলোকচিত্র সাংবাদিকদের অর্জনকে উদযাপন এবং সম্মান জানাতে দৃক পিকচার লাইব্রেরি আয়োজিত বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন হলো আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকাস্থ দৃক গ্যালারিতে। এবারের প্রদর্শনীতে ২০২২ সাল থেকে দৃকের ধারাবাহিক আয়োজন বাংলাদেশ প্রেস ফটো কনটেস্ট (বিপিপিসি) এর ৩য় সংস্করণে নির্বাচিত ৩০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।
এবছর ১৬ এপ্রিল ছবি আহ্বানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করা হয়। এতে আলোকচিত্র সাংবাদিকরা ২০২৩ সালে তোলা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রায় একহাজারের বেশি ছবি জমা দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিপিসি ২০২৪ এর অন্যতম বিচারক ও দৃক পিকচার লাইব্রেরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।
তিনি বলেন, “দুনিয়ার কোন প্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় আমার জানামতে গণমুখী সাংবাদিকতার ক্যাটাগরি নেই। মিডিয়ার মালিকানাসহ নানা কারণে তারকা বা প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় প্রচারেই মিডিয়ার কাজ সীমাবদ্ধ থাকে। আজকের প্রদর্শিত ছবিগুলোর আলোকচিত্রীরা নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজগুলো করেছে। তাদের কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করে বাংলাদেশের আলোকচিত্র আজ অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছে।“
প্রতিযোগিতার অন্য বিচারকেরা ছিলেন, অমল আকাশ, মনিরুল আলম, শোয়েব ফারুকী এবং তাসমিমা হোসেন। বিচারকরা তাদের বক্তব্যে এই আয়োজন এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন প্রদর্শনীর কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান ।
অনুষ্ঠানে মনিরুল আলম বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের প্রথাগত ছবির বাইরে, সাধারণ অনুষ্ঠানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি তোলার অভ্যাস করতে হবে, যেসকল ছবি অনন্য এবং আলাদা সেগুলোই মানুষের মনে ধরে, প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতে নেয়। আর যারা এবছর পুরস্কার পায়নি তাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।“
শোয়েব ফারুকী বলেন, “সাংবাদিকদের চোখ খোলা রাখতে হবে নতুন ধরনের ছবির জন্য। নতুন ছবি সহজেই যেকোন মানুষের চোখে পরে এবং পুরস্কার জেতার দৌড়ে এগিয়ে থাকে।“
ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের কাজ অনেক কঠিন। তাদের সকল কিছু আলাদা চোখ দিয়ে দেখতে হয় কিন্তু সেই দেখার চোখের আজ অনেক অভাব। তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করারটাও সমানভাবে জরুরী।“
এবারে বর্ষসেরা আলোকচিত্র ২০২৩ বিজয়ী হয়েছেন ফোকাস বাংলার কুদ্দুস আলম এবং তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ১,০০,০০০ টাকা।
একইসাথে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন আরও ছয়জন আলোকচিত্রী। বিভাগ বিজয়ীরা হচ্ছেন-
শিল্প, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াঃ কাজী গোলাম কুদ্দুস হেলাল এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন পিয়াস বিশ্বাস।
রাজনীতিঃ নায়েম আলী, বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ সাজিদ হোসাইন।
জনমুখী সাংবাদিকতাঃ আবদুল গনি এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ মাহমুদুর রহমান।
প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন বিজয়ী ও একজন বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার বিজয়ী পেয়েছেন যথাক্রমে ৫০,০০০ টাকা ও ১০,০০০ টাকা। পাশাপাশি তাঁরা প্রত্যেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক এবং সনদ।
দৃক ২০২৩ সাল থেকে আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় প্রান্তিক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠী গ্র্যান্ট’ প্রবর্তন করেছে। এবছর এই গ্র্যান্টটি জিতেছেন আদিবাসী আলোকচিত্রী ডেনিম চাকমা, যার মূল্যমান ৫০,০০০ টাকা।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষনা করেন আলোকচিত্রী এবং লেখক জান্নাতুল মাওয়া।
এবারের প্রদর্শনীতে ২০২৩ সালের প্রথম অনুদান বিজয়ী পদ্মিনী চাকমার কিছু বাছাইকৃত ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।
সকলের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ২৬ জুলাই, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।