সরকার পতনের একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকামুখী লংমার্চে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রবেশ করে লাখো আন্দোলনকারীসহ সাধারণ জনতা। সকাল সাড়ে ১১টার পর উত্তরা-আজমপুর থেকে যাত্রা শুরু হওয়া এই জনস্রোত তিন ঘণ্টায় বনানী পার হয়। ওদিকে প্রগতি সরণি দিয়েও হাজারো মানুষ তখন যাচ্ছিল শাহবাগের দিকে।
নানা বয়সি, নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ছিলেন এই জনস্রোতে। তাদের অনেকের হাতে পতাকা, কারও হাতে লাঠি দেখা গেছে। কাউকে আবার ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে বিজয়োল্লাস করতে দেখা যায়। কারফিউয়ের দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যরা আন্দোলনকারীদের বাধা দিচ্ছেন না। কোথাও কোথাও সোনবাহিনীর সঙ্গে হাতে মেলাতে, কোলাকুলি করতেও দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার পরে কারফিউ অমান্য করে উত্তরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নানা পেশার মানুষ। তারা আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় র্যাব ও সেনা সদস্যরা। এর এক ঘণ্টা বাদে তারা রাজলক্ষ্মীর দিকে পৌঁছায়। বেলা ৩টার দিকে তারা ফার্মগেট হয়ে শাহবাগের দিকে আসেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরই রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েন সাধারণ জনতা। এ সময় তাদের প্রধান বিচারপতির ব্যবহৃত আসবাবপত্র যে যার মত নিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায়।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে গাবতলী থেকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে, ছেড়ে দেয়া হয় সড়ক। তাতে গাবতলী সেতু এলাকায় আটকে থাকা ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ শুরু করেছে। এদিকে শাহবাগে জনতার ঢল নেমেছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ দখল করেন। পরে চতুর্দিক থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে আসেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার দুপুর ১টার পর থেকে রাজধানীর অলিগলিতে, প্রধান রাস্তায় লোকজন নেমে আসে। এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে উল্লাস করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীদের। বিকেল পৌনে ৩টায় সরেজমিন রাজধানীর কাওরানবাজার, বাংলামোটরে দেখা গেছে, লাখ লাখ মানুষ শাহবাগের দিকে প্রবেশ করে। টানা কয়েক দিন ঘর থেকে বের হননি কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। কাওরানবাজার মোড়ে তিনি বলেন, গলিতে সবাই দৌড়াদৌড়ি করছেন। সবাই রাস্তার দিকে, তাই আমিও আসছি। সবারই মুখে হাসি দেখে ভালো লাগছে। পাশে আরও অনেকে হাসি দিয়ে বলছিলেন, সময়টা পরিবর্তন হবে দ্রুত আশা করি। আমরা এই সময়ের জন্য অপেক্ষায় আছি।
মিরপুরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। মিরপুরের পল্লবী, ১১ ও ১১ নম্বর থেকে মিছিল নিয়ে মানুষ ১০ নম্বর সেকশনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা আগারগাঁওয়ের দিকে রওনা নেই। রাজধানীর উত্তরা থেকে বনানী অভিমুখে আসেন আন্দোলনকারীদের একটি দল। সেখানে থাকা শিক্ষার্থী-অভিভাবক ছাড়াও স্থানীয় মানুষ রয়েছে ওই দলে। তারা খ- খ- মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসেন।
শাহবাগে বিপুল পরিমাণ সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ রয়েছে। তবে তারা আন্দোলনকারীদের বাধা দিচ্ছেন না। বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনী সরকার’, ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’, ‘এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা গদি ছাড়’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি স্লোগান নেই।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় জড়ো হওয়া হাজারো মানুষকে সোমবার বিকেলে বিজয় উল্লাস করতে দেখা গেছে। হাসপাতালের কর্মীদের রাস্তায় দেখা গেছে। অসুস্থ নারীরা হুইলচেয়ারে বেরিয়ে আসে। এই এলাকার তরুণ-তরুণীদের রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রিকশায় যেতে দেখা গেছে। তাদের হাতে ও মাথায় ছিল পতাকা। কল্যাণপুরের বাসিন্দা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।’ ধানমন্ডির বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, ‘কী যে আনন্দ লাগছে, বোঝাতে পারব না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরই রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করছেন। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, গাবতলীর প্রধান সড়কগুলোতে জড়ো হন লাখো মানুষ। এসময় তাদের বিজয় উল্লাস করতে দেখা গেছে। সবার মুখেই স্লোগান ছিল, পলাইছে রে পলাইছে, শেখ হাসিনা পলাইছে; ছি ছি হাসিনা লজ্জায় বাঁচি না, হই হই রই রই ছাত্রলীগ গেল কই- ইত্যাদি।
শ্যামলী থেকে ধানমন্ডি ২৭ এ লাখো লোকের সমাগম দেখা গেছে। মোটরসাইকেল হর্ন বাজিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে। আসাদ এভিনিউ সড়কে শামসুজ্জামান নামের একজন বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে মানুষ কোনো কথা বলতে পারে না। আজকে মন হালকা হচ্ছে। নুর মুহাম্মদ নামের একজন বলেন, জাতির এই আনন্দ মুহূর্তে ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের আত্মত্যাগ ভোলা যাবে না। এদিন সড়কে সব শ্রেণীপেশার মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। তাদের অনেকের হাতে ও মাথায় শোভা পাচ্ছিল বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেনাপ্রধান বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তর্বতী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।’ জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সংঘাত থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানান।
সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে ঢাকার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু হয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পাশের সাভার ও আশুলিয়া এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ যোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সাভারের বিভিন্ন অলিগলি থেকে হাজার হাজার মানুষকে এ পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা যেকোনো মূল্যে ঢাকার গাবতলী পর্যন্ত যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারপর সেখান থেকে তারা সম্মিলিতভাবে রাজধানীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
মঙ্গলবার, ০৬ আগস্ট ২০২৪
সরকার পতনের একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকামুখী লংমার্চে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রবেশ করে লাখো আন্দোলনকারীসহ সাধারণ জনতা। সকাল সাড়ে ১১টার পর উত্তরা-আজমপুর থেকে যাত্রা শুরু হওয়া এই জনস্রোত তিন ঘণ্টায় বনানী পার হয়। ওদিকে প্রগতি সরণি দিয়েও হাজারো মানুষ তখন যাচ্ছিল শাহবাগের দিকে।
নানা বয়সি, নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ছিলেন এই জনস্রোতে। তাদের অনেকের হাতে পতাকা, কারও হাতে লাঠি দেখা গেছে। কাউকে আবার ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে বিজয়োল্লাস করতে দেখা যায়। কারফিউয়ের দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যরা আন্দোলনকারীদের বাধা দিচ্ছেন না। কোথাও কোথাও সোনবাহিনীর সঙ্গে হাতে মেলাতে, কোলাকুলি করতেও দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার পরে কারফিউ অমান্য করে উত্তরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নানা পেশার মানুষ। তারা আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় র্যাব ও সেনা সদস্যরা। এর এক ঘণ্টা বাদে তারা রাজলক্ষ্মীর দিকে পৌঁছায়। বেলা ৩টার দিকে তারা ফার্মগেট হয়ে শাহবাগের দিকে আসেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরই রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েন সাধারণ জনতা। এ সময় তাদের প্রধান বিচারপতির ব্যবহৃত আসবাবপত্র যে যার মত নিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায়।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে গাবতলী থেকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে, ছেড়ে দেয়া হয় সড়ক। তাতে গাবতলী সেতু এলাকায় আটকে থাকা ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ শুরু করেছে। এদিকে শাহবাগে জনতার ঢল নেমেছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ দখল করেন। পরে চতুর্দিক থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে আসেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার দুপুর ১টার পর থেকে রাজধানীর অলিগলিতে, প্রধান রাস্তায় লোকজন নেমে আসে। এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে উল্লাস করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীদের। বিকেল পৌনে ৩টায় সরেজমিন রাজধানীর কাওরানবাজার, বাংলামোটরে দেখা গেছে, লাখ লাখ মানুষ শাহবাগের দিকে প্রবেশ করে। টানা কয়েক দিন ঘর থেকে বের হননি কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। কাওরানবাজার মোড়ে তিনি বলেন, গলিতে সবাই দৌড়াদৌড়ি করছেন। সবাই রাস্তার দিকে, তাই আমিও আসছি। সবারই মুখে হাসি দেখে ভালো লাগছে। পাশে আরও অনেকে হাসি দিয়ে বলছিলেন, সময়টা পরিবর্তন হবে দ্রুত আশা করি। আমরা এই সময়ের জন্য অপেক্ষায় আছি।
মিরপুরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। মিরপুরের পল্লবী, ১১ ও ১১ নম্বর থেকে মিছিল নিয়ে মানুষ ১০ নম্বর সেকশনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা আগারগাঁওয়ের দিকে রওনা নেই। রাজধানীর উত্তরা থেকে বনানী অভিমুখে আসেন আন্দোলনকারীদের একটি দল। সেখানে থাকা শিক্ষার্থী-অভিভাবক ছাড়াও স্থানীয় মানুষ রয়েছে ওই দলে। তারা খ- খ- মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসেন।
শাহবাগে বিপুল পরিমাণ সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ রয়েছে। তবে তারা আন্দোলনকারীদের বাধা দিচ্ছেন না। বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনী সরকার’, ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’, ‘এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা গদি ছাড়’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি স্লোগান নেই।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় জড়ো হওয়া হাজারো মানুষকে সোমবার বিকেলে বিজয় উল্লাস করতে দেখা গেছে। হাসপাতালের কর্মীদের রাস্তায় দেখা গেছে। অসুস্থ নারীরা হুইলচেয়ারে বেরিয়ে আসে। এই এলাকার তরুণ-তরুণীদের রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রিকশায় যেতে দেখা গেছে। তাদের হাতে ও মাথায় ছিল পতাকা। কল্যাণপুরের বাসিন্দা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।’ ধানমন্ডির বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, ‘কী যে আনন্দ লাগছে, বোঝাতে পারব না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরই রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করছেন। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, গাবতলীর প্রধান সড়কগুলোতে জড়ো হন লাখো মানুষ। এসময় তাদের বিজয় উল্লাস করতে দেখা গেছে। সবার মুখেই স্লোগান ছিল, পলাইছে রে পলাইছে, শেখ হাসিনা পলাইছে; ছি ছি হাসিনা লজ্জায় বাঁচি না, হই হই রই রই ছাত্রলীগ গেল কই- ইত্যাদি।
শ্যামলী থেকে ধানমন্ডি ২৭ এ লাখো লোকের সমাগম দেখা গেছে। মোটরসাইকেল হর্ন বাজিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে। আসাদ এভিনিউ সড়কে শামসুজ্জামান নামের একজন বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে মানুষ কোনো কথা বলতে পারে না। আজকে মন হালকা হচ্ছে। নুর মুহাম্মদ নামের একজন বলেন, জাতির এই আনন্দ মুহূর্তে ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের আত্মত্যাগ ভোলা যাবে না। এদিন সড়কে সব শ্রেণীপেশার মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। তাদের অনেকের হাতে ও মাথায় শোভা পাচ্ছিল বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেনাপ্রধান বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তর্বতী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।’ জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সংঘাত থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানান।
সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে ঢাকার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু হয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পাশের সাভার ও আশুলিয়া এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ যোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সাভারের বিভিন্ন অলিগলি থেকে হাজার হাজার মানুষকে এ পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা যেকোনো মূল্যে ঢাকার গাবতলী পর্যন্ত যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারপর সেখান থেকে তারা সম্মিলিতভাবে রাজধানীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।