সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ কারণে সকাল থেকেই রাজধানীতে বিআরটিসি-মেট্রোরেল ছাড়া অন্য কোনো গণপরিবহন নেই বললেই চলে। দু-একটা বেসরকারি পরিবহন চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
এ অবস্থায় ঢাকার সড়কে আজ রিকশা, মোটরসাইকেল আর সিএনজিচালিত অটোরিকশাই হয়ে উঠেছে যাতায়াতের প্রধান ভরসা। যদিও এই সযোগে এসব যানবাহনেও হাঁকানো হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, গুলিস্তান, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর থেকে জিগাতলা পর্যন্ত ৮০ থেকে ৯০ টাকা রিকশা ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক দিনে একই রুটে রিকশা ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মোহাম্মদপুর থেকে পল্টন রুটে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া হাঁকছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা। অন্য সময়ে যাওয়া যায় ২৫০ টাকা।
এ অবস্থায় শাটডাউনের দিনেও নগরবাসীকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছে বিআরটিসি বাস ও মেট্রোরেল। তবে এসব পরিবহনেও যাত্রীদের ভিড় অনেক বেশি দেখা গেছে।
অন্যদিকে, শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের ব্যারিকেট বসানো হয়েছে। সব ধরনের যানবাহন এমনকি রিকশা-মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেলগামী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখিয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-টিএসসি এলাকায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির পক্ষে আন্দোলনকারীদের দেখা যায়নি। বিজিবি-পুলিশ-আনসার সদস্যরা সব জায়গায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। পল্টন-কাকরাইল এলাকায় যানবাহন তেমন চোখে পড়েনি। রিকশা-সিএনজি চলাচল বেশি দেখা গেছে।
সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে গণপরিবহন ছিল একেবারেই কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। বিশেষত সকালে অফিস-কর্মস্থলগামী মানুষদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঢাকার সড়কগুলোতে এমনিতেই যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। তবে আজ তেমনটি দেখা যায়নি। ঢাকার বেশিরভাগ সড়ক ছিল ফাঁকা।
সকাল থেকে পল্টন এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে ১০ নম্বরের গোলচক্কর পর্যন্ত অধিকাংশ মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী চলাচল খুবই কম। নগরীর মোহাম্মদপুর-পল্টন এলাকার অধিকাংশ স্থানেও দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ কারণে সকাল থেকেই রাজধানীতে বিআরটিসি-মেট্রোরেল ছাড়া অন্য কোনো গণপরিবহন নেই বললেই চলে। দু-একটা বেসরকারি পরিবহন চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
এ অবস্থায় ঢাকার সড়কে আজ রিকশা, মোটরসাইকেল আর সিএনজিচালিত অটোরিকশাই হয়ে উঠেছে যাতায়াতের প্রধান ভরসা। যদিও এই সযোগে এসব যানবাহনেও হাঁকানো হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, গুলিস্তান, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর থেকে জিগাতলা পর্যন্ত ৮০ থেকে ৯০ টাকা রিকশা ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক দিনে একই রুটে রিকশা ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মোহাম্মদপুর থেকে পল্টন রুটে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া হাঁকছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা। অন্য সময়ে যাওয়া যায় ২৫০ টাকা।
এ অবস্থায় শাটডাউনের দিনেও নগরবাসীকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছে বিআরটিসি বাস ও মেট্রোরেল। তবে এসব পরিবহনেও যাত্রীদের ভিড় অনেক বেশি দেখা গেছে।
অন্যদিকে, শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের ব্যারিকেট বসানো হয়েছে। সব ধরনের যানবাহন এমনকি রিকশা-মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেলগামী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখিয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-টিএসসি এলাকায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির পক্ষে আন্দোলনকারীদের দেখা যায়নি। বিজিবি-পুলিশ-আনসার সদস্যরা সব জায়গায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। পল্টন-কাকরাইল এলাকায় যানবাহন তেমন চোখে পড়েনি। রিকশা-সিএনজি চলাচল বেশি দেখা গেছে।
সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে গণপরিবহন ছিল একেবারেই কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। বিশেষত সকালে অফিস-কর্মস্থলগামী মানুষদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঢাকার সড়কগুলোতে এমনিতেই যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। তবে আজ তেমনটি দেখা যায়নি। ঢাকার বেশিরভাগ সড়ক ছিল ফাঁকা।
সকাল থেকে পল্টন এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে ১০ নম্বরের গোলচক্কর পর্যন্ত অধিকাংশ মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী চলাচল খুবই কম। নগরীর মোহাম্মদপুর-পল্টন এলাকার অধিকাংশ স্থানেও দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে।