* নিহত আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়ের লাশের গলায় রশি লাগিয়ে আধা কিলোমিটার দুরে ফেলে রাখা হয়
* ৮ সাংবাদিকসহ আহত শতাধিক
* এমপির বাড়ি, ৩টি ইউএনও অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন, ভাংচুর, লুটপাট
রংপুর নগরীতে আন্দোলকারী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা, যুবলীগ কর্মী ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮ সাংবাদিকসহ শতাধিক। গুরতর আহত ৯ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও মেট্রোপলিটান পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায়, যুবলীগ কর্মী খসরু, মাসুম (৩১)। নিহত আরেকজনের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
খসরুর বাড়ি রংপুর নগরীর গুড়াতি পাড়া এবং আর মাসুমের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়ের মৃতদেহ গলায় রশি দিয়ে বেঁধে আধা কিলোমিটার দুরে রংপুর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে ওভার ব্রীজের নীচে ৫ ঘন্টা ধরে ফেলে রেখে উল্লাস করা হচ্ছিলো বলে অভিযোগ স্বজন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের। লাশটি উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ তাদের।
বদরগজ্ঞ উপজেলা সদরে রংপুর-২ আসনের এমপি ডিউক চৌধুরী , বদরগজ্ঞ পৌরসভার মেয়র টুটুল চৌধুরী , উপজেলা যুবলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট , যুবলীগ নেতা পুলিন চৌধুরীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট হয়েছে।
একই ভাবে মিঠাপুকুর উপজেলার ইউএনও কার্যালয় , সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি সরকারী অফিস ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে। পীরগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন এবং প্রেসক্লাবের সামনে রাখা ১১টি মটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ে আগুন, মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আর গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে থাকা ৬টি মটর সাইকেলও জালিয়ে দেয়া হয়েছে। নগর জুড়ে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
সকাল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রংপুর নগরীর টাউন হল চত্বরে সমবেত হতে থাকে অপরদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা নগরীর জাহাজ কোম্পানী এলাকায় অবস্থান নেয়। দুপুর ১১টার দিকে দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সিটি বাজার থেকে শুরু করে জাহাজ কোম্পানী এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পিস্তল সহ দেশী অস্ত্র ব্যাবহার করতে দেখা গেছে।
দুপুর ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিলো। সংঘর্ষ চলা কালে একুশে টিভির ক্যামেরা পার্সন আলী হায়দার রনি, এনটিভির ক্যামেরাপার্সন আরমান সহ ৮ সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় পেলেই এবং ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনে ছবি নিতে দেখলেই মারধরের শিকার হতে হয়েছে বলে সংবাদ কর্মীরা জানিয়েছেন।
২ ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে শতাধিক আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯জনকে আশংকা জনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকেই দেখা যায়নি।
সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর কালিবাড়ির সামনে মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় ও তার ভাগ্নেকে গনপিটুনী নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়ের লাশের গলায় রশি লাগিয়ে টেনে আধা কিলোমিটার দুরে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে ওভার ব্রীজের নীচে ফেলে রাখা হয়। এ সময় গনমাধ্যম কর্মীরা ছবি নেবার চেষ্টা করলে তাদের বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত তার লাশ সেখানেই পড়েছিলো। লাশটিকে ঘিরে অবস্থান করছিলো সশস্ত্র ব্যাক্তিরা।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের অভিযোগ, ‘জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত জঙ্গিরা একজন জনপ্রতিনিধিকে হত্যা করে লাশের গলায় রশি লাগিয়ে টেনে এনে ৫ ঘন্টা ধরে ফেলে রেখে উল্লাস করছে অথচ লাশ উদ্ধার করার কোনই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এমন অমানবিক ঘটনা আমি কল্পনাও করতে পারিনা। তিনি জানান নিহত হারাধন রায়ের লাশটি তাদের স্বজনদের কাছে দেবার জন্য ৫ ঘন্টা ধরে কাকুতি মিনতি করলেও লাশ আটকিয়ে রেখেছে।’
এদিকে ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদসহ ৭ শিক্ষার্থী নিহত হবার ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্যদের রংপুর সফর স্থগিত করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচারপতি কেএম জাহিদ সরওয়ার ও বিচারপতি মোঃ শওকত আলী চৌধুরী আজ রোববার দুপুর ১২ টায় রংপুরে আসার ছিলো।তারা বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করলেও নিরাপত্তাজনিত কারনে রংপুর সফর স্থগিত করা হয়েছে বলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুল হাসান রুমি জানিয়েছেন।
রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪
* নিহত আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়ের লাশের গলায় রশি লাগিয়ে আধা কিলোমিটার দুরে ফেলে রাখা হয়
* ৮ সাংবাদিকসহ আহত শতাধিক
* এমপির বাড়ি, ৩টি ইউএনও অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন, ভাংচুর, লুটপাট
রংপুর নগরীতে আন্দোলকারী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা, যুবলীগ কর্মী ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮ সাংবাদিকসহ শতাধিক। গুরতর আহত ৯ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও মেট্রোপলিটান পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায়, যুবলীগ কর্মী খসরু, মাসুম (৩১)। নিহত আরেকজনের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
খসরুর বাড়ি রংপুর নগরীর গুড়াতি পাড়া এবং আর মাসুমের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়ের মৃতদেহ গলায় রশি দিয়ে বেঁধে আধা কিলোমিটার দুরে রংপুর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে ওভার ব্রীজের নীচে ৫ ঘন্টা ধরে ফেলে রেখে উল্লাস করা হচ্ছিলো বলে অভিযোগ স্বজন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের। লাশটি উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ তাদের।
বদরগজ্ঞ উপজেলা সদরে রংপুর-২ আসনের এমপি ডিউক চৌধুরী , বদরগজ্ঞ পৌরসভার মেয়র টুটুল চৌধুরী , উপজেলা যুবলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট , যুবলীগ নেতা পুলিন চৌধুরীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট হয়েছে।
একই ভাবে মিঠাপুকুর উপজেলার ইউএনও কার্যালয় , সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি সরকারী অফিস ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে। পীরগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন এবং প্রেসক্লাবের সামনে রাখা ১১টি মটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ে আগুন, মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আর গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে থাকা ৬টি মটর সাইকেলও জালিয়ে দেয়া হয়েছে। নগর জুড়ে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
সকাল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রংপুর নগরীর টাউন হল চত্বরে সমবেত হতে থাকে অপরদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা নগরীর জাহাজ কোম্পানী এলাকায় অবস্থান নেয়। দুপুর ১১টার দিকে দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সিটি বাজার থেকে শুরু করে জাহাজ কোম্পানী এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পিস্তল সহ দেশী অস্ত্র ব্যাবহার করতে দেখা গেছে।
দুপুর ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিলো। সংঘর্ষ চলা কালে একুশে টিভির ক্যামেরা পার্সন আলী হায়দার রনি, এনটিভির ক্যামেরাপার্সন আরমান সহ ৮ সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় পেলেই এবং ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনে ছবি নিতে দেখলেই মারধরের শিকার হতে হয়েছে বলে সংবাদ কর্মীরা জানিয়েছেন।
২ ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে শতাধিক আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯জনকে আশংকা জনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকেই দেখা যায়নি।
সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর কালিবাড়ির সামনে মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় ও তার ভাগ্নেকে গনপিটুনী নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়ের লাশের গলায় রশি লাগিয়ে টেনে আধা কিলোমিটার দুরে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে ওভার ব্রীজের নীচে ফেলে রাখা হয়। এ সময় গনমাধ্যম কর্মীরা ছবি নেবার চেষ্টা করলে তাদের বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত তার লাশ সেখানেই পড়েছিলো। লাশটিকে ঘিরে অবস্থান করছিলো সশস্ত্র ব্যাক্তিরা।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের অভিযোগ, ‘জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত জঙ্গিরা একজন জনপ্রতিনিধিকে হত্যা করে লাশের গলায় রশি লাগিয়ে টেনে এনে ৫ ঘন্টা ধরে ফেলে রেখে উল্লাস করছে অথচ লাশ উদ্ধার করার কোনই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এমন অমানবিক ঘটনা আমি কল্পনাও করতে পারিনা। তিনি জানান নিহত হারাধন রায়ের লাশটি তাদের স্বজনদের কাছে দেবার জন্য ৫ ঘন্টা ধরে কাকুতি মিনতি করলেও লাশ আটকিয়ে রেখেছে।’
এদিকে ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদসহ ৭ শিক্ষার্থী নিহত হবার ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্যদের রংপুর সফর স্থগিত করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচারপতি কেএম জাহিদ সরওয়ার ও বিচারপতি মোঃ শওকত আলী চৌধুরী আজ রোববার দুপুর ১২ টায় রংপুরে আসার ছিলো।তারা বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করলেও নিরাপত্তাজনিত কারনে রংপুর সফর স্থগিত করা হয়েছে বলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুল হাসান রুমি জানিয়েছেন।