জুলাই সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তারমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০২ নাম্বার ওয়ার্ডে ১৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তেমনই একজন ১০২ নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছেন আবুল খায়ের। আবুল খায়ের (২৬) গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম জিওসি মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ১ নং রুম ৩ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। আবুল খায়ের এর ছোট ভাই সাদ্দাম বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন ৩টা অপারেশন লাগবে, আর শরীরের প্রাথমিক অবস্থা ফিরিয়ে না আসা পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে হবে। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার ঔষধ কেনা লাগছে। তার বাবা কেরামত আলী মসজিদে চাকরি করে। আমরা খুব দরিদ্র মানুষ। এ ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ করেছি। যদি সম্ভব হয় আমাদের একটু সাহায্য করবেন।’
সুজন (২২) লক্ষীপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী। গত ৫ আগস্ট বিকেলে জেলা সদর গোলচত্বর পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার এদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ১০২ নাম্বার ওয়ার্ড ১২ নাম্বার বেড চিকিৎসাধীন আছে। তার খালাতো ভাই রাকিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, শরীরের কন্ডিশন ভালো না। এ পর্যন্ত ৫ ব্যাগ রক্ত লাগছে।’
সাভার আশুলিয়া শাকিল নামে এক শিক্ষার্থীও গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন এদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তার পরেরদিন ৬ আগস্ট একটি অপারেশন করা হয়েছে। ১০২ নাম্বার রুম বারান্দায় ১৫ নং বেড চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার (১২ আগস্ট) এ রোগীর চাচী রোজিনা বেগম বলেন, ‘গতকালও আরও একটি অপারেশন করা হয়েছে, এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় রোগী অপারেশনের জন্য ওটিটিই ছিল। সারাদিন একবার ডাক্তার আসে। ভালোমত চিকিৎসা হলে আরও আগে ভালো হয়ে যেত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৯৪, এরমধ্যে ছাত্র ৫৪ জন। আন্দোলনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৭৫০ জন। এ পর্যন্ত ৯৮ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। এখনও আইসিইউতে আছেন ১০ জন। এরমধ্যে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৪৭ জন। সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহত লোকজন নিতে আসেন। যেমন আজকেও এসেছে বগুড়া থেকে।’
ঢামেক কলেজ মর্গ ও জরুরি বিভাগ মর্গে লাশ আছে ১৯টি
সোমবার দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে স্বামীর সন্ধানে আসেন স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা। মর্গে এসে তার স্বামীর লাশ সনাক্ত করতে সক্ষম হন। শনাক্ত করতে পারলেও স্বামীর লাশ নিতে পারেনি। আইনি ঝামেলা মিটিয়ে তার স্বামীর লাশ নিতে হবে বলে জানান তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা।
তার স্বামী নুর নবী আনসার ব্যাটালিয়ন (৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোস্টিংয়ে কর্মরত ছিল। গত ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার সময় স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছিল। এ সময় স্ত্রীকে বলে, আমি থানায় আটকে পড়েছি। আমি যদি এ হামলা থেকে বাঁচি তাহলে তোমার সঙ্গে দেখা হবে। আর না হলে দেখা হবে না। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে তিনি গুলি খান, এবং এ গুলির শব্দ তিনি শুনতে পান। তারপর তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
আবু রায়হানও গাবতলী থেকে অফিস শেষ করে বাসায় আসার সময় গুলিতে আহত হন। বড় ভাই সেলিম জানান, গত ১৫ আগস্ট থেকে তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ৮ জনের ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মর্গে আছে ১১টি লাশ। মোট ১৯ জনের লাশ আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পড়ে থাকা লাশগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না, কেউ খোঁজ করতেও আসছেন না। থানার কার্যক্রম এখনও শুরু না হওয়ায় করা যাচ্ছে না সুরতহাল। লাশগুলো পঁচে ফুলে গেছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সহকারী বাবুল বলেন, ‘লাশগুলো চেনার কোনো উপায় নাই। প্রত্যেকটাই ফুলে গেছে। দ্রুত সুরতহাল করা দরকার।’
শাহবাগ থানার কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, এখন পর্যন্ত আসা লাশের মধ্যে যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেগুলো তাদের স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ১৯টি লাশের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীর থানার আমারই কলিগ চিনতে পারি নাই। লাশগুলো ফুলে এমন অবস্থা হয়েছে সেগুলোর বায়োমেট্রিক ডেটা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনটি বডি পুড়ে গেছে। এগুলোর কিছু করা যাচ্ছে না।’
কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণেও কিছুটা সমস্যা হয়েছে। শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলো সৎকারের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দেয়ার পক্ষে তিনি। কারণ এ বিষয়গুলো যতো দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারবো ততো আগে আমি মুক্তি পাবো। যেহেতু দায়িত্ব আমি নিয়েছি, আমি চাই তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ হোক। আমি অনেকদিন ধরে বাড়িতে যেতে পারি না।’
সালাহ উদ্দিন জানান, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি, এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের একটাই পথ, অজ্ঞাত হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে, ডিএনএ সংগ্রহ করে লাশগুলো দ্রুত আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দিয়ে দেয়া। এতে লাশও মুক্তি পাইল, আমরাও মুক্তি পাইলাম। এ ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা নাই।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মরচুয়ারিতে জায়গা কম। ফলে এতগুলো মরদেহ এখানে দীর্ঘদিন রাখাও যাচ্ছে না। থানার কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় আছি আমরা। পুলিশ যদি সুরতহাল করে দেয়, তাহলে আমরা অটোপসি করে করে দেব। ডিএনএস স্যাম্পল রেখে সেগুলো আনজুমান মফিদুল ইসলামে দিয়ে দেব। আর পরে কেউ ক্লেইম করলে ডিএনএ টেস্ট করে তাদের স্বজনদের জানানো যাবে।’
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
জুলাই সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তারমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০২ নাম্বার ওয়ার্ডে ১৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তেমনই একজন ১০২ নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছেন আবুল খায়ের। আবুল খায়ের (২৬) গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম জিওসি মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ১ নং রুম ৩ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। আবুল খায়ের এর ছোট ভাই সাদ্দাম বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন ৩টা অপারেশন লাগবে, আর শরীরের প্রাথমিক অবস্থা ফিরিয়ে না আসা পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে হবে। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার ঔষধ কেনা লাগছে। তার বাবা কেরামত আলী মসজিদে চাকরি করে। আমরা খুব দরিদ্র মানুষ। এ ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ করেছি। যদি সম্ভব হয় আমাদের একটু সাহায্য করবেন।’
সুজন (২২) লক্ষীপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী। গত ৫ আগস্ট বিকেলে জেলা সদর গোলচত্বর পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার এদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ১০২ নাম্বার ওয়ার্ড ১২ নাম্বার বেড চিকিৎসাধীন আছে। তার খালাতো ভাই রাকিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, শরীরের কন্ডিশন ভালো না। এ পর্যন্ত ৫ ব্যাগ রক্ত লাগছে।’
সাভার আশুলিয়া শাকিল নামে এক শিক্ষার্থীও গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন এদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তার পরেরদিন ৬ আগস্ট একটি অপারেশন করা হয়েছে। ১০২ নাম্বার রুম বারান্দায় ১৫ নং বেড চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার (১২ আগস্ট) এ রোগীর চাচী রোজিনা বেগম বলেন, ‘গতকালও আরও একটি অপারেশন করা হয়েছে, এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় রোগী অপারেশনের জন্য ওটিটিই ছিল। সারাদিন একবার ডাক্তার আসে। ভালোমত চিকিৎসা হলে আরও আগে ভালো হয়ে যেত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৯৪, এরমধ্যে ছাত্র ৫৪ জন। আন্দোলনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৭৫০ জন। এ পর্যন্ত ৯৮ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। এখনও আইসিইউতে আছেন ১০ জন। এরমধ্যে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৪৭ জন। সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহত লোকজন নিতে আসেন। যেমন আজকেও এসেছে বগুড়া থেকে।’
ঢামেক কলেজ মর্গ ও জরুরি বিভাগ মর্গে লাশ আছে ১৯টি
সোমবার দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে স্বামীর সন্ধানে আসেন স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা। মর্গে এসে তার স্বামীর লাশ সনাক্ত করতে সক্ষম হন। শনাক্ত করতে পারলেও স্বামীর লাশ নিতে পারেনি। আইনি ঝামেলা মিটিয়ে তার স্বামীর লাশ নিতে হবে বলে জানান তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা।
তার স্বামী নুর নবী আনসার ব্যাটালিয়ন (৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোস্টিংয়ে কর্মরত ছিল। গত ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার সময় স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছিল। এ সময় স্ত্রীকে বলে, আমি থানায় আটকে পড়েছি। আমি যদি এ হামলা থেকে বাঁচি তাহলে তোমার সঙ্গে দেখা হবে। আর না হলে দেখা হবে না। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে তিনি গুলি খান, এবং এ গুলির শব্দ তিনি শুনতে পান। তারপর তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
আবু রায়হানও গাবতলী থেকে অফিস শেষ করে বাসায় আসার সময় গুলিতে আহত হন। বড় ভাই সেলিম জানান, গত ১৫ আগস্ট থেকে তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ৮ জনের ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মর্গে আছে ১১টি লাশ। মোট ১৯ জনের লাশ আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পড়ে থাকা লাশগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না, কেউ খোঁজ করতেও আসছেন না। থানার কার্যক্রম এখনও শুরু না হওয়ায় করা যাচ্ছে না সুরতহাল। লাশগুলো পঁচে ফুলে গেছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সহকারী বাবুল বলেন, ‘লাশগুলো চেনার কোনো উপায় নাই। প্রত্যেকটাই ফুলে গেছে। দ্রুত সুরতহাল করা দরকার।’
শাহবাগ থানার কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, এখন পর্যন্ত আসা লাশের মধ্যে যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেগুলো তাদের স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ১৯টি লাশের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীর থানার আমারই কলিগ চিনতে পারি নাই। লাশগুলো ফুলে এমন অবস্থা হয়েছে সেগুলোর বায়োমেট্রিক ডেটা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনটি বডি পুড়ে গেছে। এগুলোর কিছু করা যাচ্ছে না।’
কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণেও কিছুটা সমস্যা হয়েছে। শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলো সৎকারের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দেয়ার পক্ষে তিনি। কারণ এ বিষয়গুলো যতো দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারবো ততো আগে আমি মুক্তি পাবো। যেহেতু দায়িত্ব আমি নিয়েছি, আমি চাই তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ হোক। আমি অনেকদিন ধরে বাড়িতে যেতে পারি না।’
সালাহ উদ্দিন জানান, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি, এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের একটাই পথ, অজ্ঞাত হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে, ডিএনএ সংগ্রহ করে লাশগুলো দ্রুত আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দিয়ে দেয়া। এতে লাশও মুক্তি পাইল, আমরাও মুক্তি পাইলাম। এ ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা নাই।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মরচুয়ারিতে জায়গা কম। ফলে এতগুলো মরদেহ এখানে দীর্ঘদিন রাখাও যাচ্ছে না। থানার কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় আছি আমরা। পুলিশ যদি সুরতহাল করে দেয়, তাহলে আমরা অটোপসি করে করে দেব। ডিএনএস স্যাম্পল রেখে সেগুলো আনজুমান মফিদুল ইসলামে দিয়ে দেব। আর পরে কেউ ক্লেইম করলে ডিএনএ টেস্ট করে তাদের স্বজনদের জানানো যাবে।’