alt

জাতীয়

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সবার অধিকার সমান। এ দেশের মানুষ হিসেবে অধিকার আদায়ে বিভক্ত হয়ে নয়, আমরা এক মানুষ, এক অধিকার; এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করবেন না। আমাদের একটু সাহায্য করুন। ধৈর্য ধরেন, কিছু করতে পারলাম কী পারলাম না, সেটা পরে বিচার করবেন। যদি না পারি আমাদের দোষ দিয়েন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক যে আকাঙ্ক্ষা, সেখানে আমরা মুসলমান হিসেবে নয়, হিন্দু হিসেবে নয়, বৌদ্ধ হিসেবে নয়, বরং মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত হউক। সমস্ত সমস্যার গোড়া হলো, আমরা যত প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করেছি, সব কিছু পচে গেছে। এই কারণে গোলমালগুলো হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনগুলোকে ঠিক করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ন্যায় বিচার হলে কে বিচার পাবে না বলেন? আমি কী দেখতেছি যে, এটা কোন জাতের? কোন ধরনের? তা কী আইনে বলা আছে? ওই সম্প্রদায়ের হলে ওই কোর্টে যাবে, ওই সম্প্রদায় হলে ওই আদালতে যাবে? আইন একটা। কার সাধ্য আছে বিভেদ করে যে ওই রকম একটা, এ রকম একটা। এটা হতে পারে না। এটা এমন রোগ মূলে যেতে হবে। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে আমরা বাকস্বাধীনতা পাবো। এগুলো আছে, নতুন কিছু না। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।

‍‘আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন যে আমি অমুক, আমি তমুক। এটা আবার পুরানো খেলা চলে গেলেন। আমাদের শিকার করার জন্য যারা বসে আছে তারা শিকার করবে। আপনারা বলুন যে আপনারা মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ। আমার সাংবিধানিক অধিকার আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন।’

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আপনারা ক্ষোভের মধ্যে চলে যাইয়েন না। ক্ষোভের মধ্যে গেলেই বিভিন্ন রকম মারামারি লেগে যায়। একত্রে আসনে। এক আইন। বলেন যে, আমাদের আইনের অধিকার দিতে হবে। আজকে যেটা বললেন যে, আইনের অধিকার পাই না। বিচার পাই না। এটাই হলো আসল জিনিস। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক যে আয়োজন করেছি, এটা বায়াস্ট একটা আয়োজন। একটা খুঁড়তে আরম্ভ করবেন, তারপর তারা মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের নিয়ে যাবেন না।

সীমান্ত হত্যা ভালো সম্পর্কের অন্তরায় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

দুদকের দপ্তরে এফবিআই প্রতিনিধিদল, সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা

ছবি

বাঁশখালী ইকোপার্ক যেন এক ভুতুড়ে রাজ্য

ছবি

রংপুরে আবু সাইদ হত্যার প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার

আড়িয়াল বিল আমাদের জাতীয় সম্পদ এখানে ড্রেজার আসতে পারবে না- রিজওয়ানা হাসান

ছবি

মায়ের সঙ্গে বাবার মরদেহ নিতে মর্গে নবজাতক

দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ নিয়ে ভিসি নিজেই এখন লাপাত্তা

ছবি

বিএসএফের গুলিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশির মৃত্যু, কড়া প্রতিক্রিয়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

ছবি

রাষ্ট্রপতির ‘সেকেন্ড হোম’ বিতর্কে মন্তব্য করতে অনীহা পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ছবি

প্রতি বছর ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের সম্ভাবনা

সীমান্তে হত্যা দুই দেশের ভালো সম্পর্কের পথে ‘অন্তরায়’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

এমএএন ছিদ্দিকের চুক্তি বাতিল, মেট্রোরেলের নতুন এমডি আব্দুর রউফ

ছবি

শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক জামিল আহমেদ

ছবি

অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ, থাকবে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

ছবি

ছাত্র আন্দোলনে ৬৩১ জন নিহত, আহত ১৯ হাজারের বেশি: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

ছবি

কেবল কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

যাত্রীর লাগেজ থেকে ৬৮০০ ইউরো চুরি, বিমানের ৬ জন চিহ্নিত

ছবি

২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ, অবিলম্বে কার্যকর

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত

ছবি

সাগর উত্তাল, চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ছবি

স্বপ্ন পূরণের আগে দমে যেও না : ইউনূস

ছবি

রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির’ আত্মপ্রকাশ

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ত্বকীহত্যার সাড়ে ১১বছর উপলক্ষ্যে আলোক প্রজ্বালন

ছবি

উইন্ডশিল্ডে ফাটল, ওমান থেকে দুবাইয়ে ফেরত গেল বাংলাদেশের বিমান

ছবি

স্বপ্নপূরণের আগে দমে যেয়ো না : প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

অসুস্থতার কারণে রিমান্ড শেষের আগেই কারাগারে শাজাহান খান

ছবি

জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন নিয়ে আযমীর বক্তব্য ব্যক্তিগত : জামায়াত সেক্রেটারি

ছবি

ক্ষমতাচ্যুতরা চুপচাপ বসে থাকবে না : ড. ইউনূস

ছবি

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: প্রধান কৌঁসুলি

ছবি

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে

ছবি

পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. জসীম উদ্দিন

ছবি

শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে : তাজুল ইসলাম

ছবি

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহের সম্ভাবনা দেখছেন না পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

আবারও টেকনাফে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা

tab

জাতীয়

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সবার অধিকার সমান। এ দেশের মানুষ হিসেবে অধিকার আদায়ে বিভক্ত হয়ে নয়, আমরা এক মানুষ, এক অধিকার; এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করবেন না। আমাদের একটু সাহায্য করুন। ধৈর্য ধরেন, কিছু করতে পারলাম কী পারলাম না, সেটা পরে বিচার করবেন। যদি না পারি আমাদের দোষ দিয়েন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক যে আকাঙ্ক্ষা, সেখানে আমরা মুসলমান হিসেবে নয়, হিন্দু হিসেবে নয়, বৌদ্ধ হিসেবে নয়, বরং মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত হউক। সমস্ত সমস্যার গোড়া হলো, আমরা যত প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করেছি, সব কিছু পচে গেছে। এই কারণে গোলমালগুলো হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনগুলোকে ঠিক করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ন্যায় বিচার হলে কে বিচার পাবে না বলেন? আমি কী দেখতেছি যে, এটা কোন জাতের? কোন ধরনের? তা কী আইনে বলা আছে? ওই সম্প্রদায়ের হলে ওই কোর্টে যাবে, ওই সম্প্রদায় হলে ওই আদালতে যাবে? আইন একটা। কার সাধ্য আছে বিভেদ করে যে ওই রকম একটা, এ রকম একটা। এটা হতে পারে না। এটা এমন রোগ মূলে যেতে হবে। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে আমরা বাকস্বাধীনতা পাবো। এগুলো আছে, নতুন কিছু না। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।

‍‘আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন যে আমি অমুক, আমি তমুক। এটা আবার পুরানো খেলা চলে গেলেন। আমাদের শিকার করার জন্য যারা বসে আছে তারা শিকার করবে। আপনারা বলুন যে আপনারা মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ। আমার সাংবিধানিক অধিকার আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন।’

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আপনারা ক্ষোভের মধ্যে চলে যাইয়েন না। ক্ষোভের মধ্যে গেলেই বিভিন্ন রকম মারামারি লেগে যায়। একত্রে আসনে। এক আইন। বলেন যে, আমাদের আইনের অধিকার দিতে হবে। আজকে যেটা বললেন যে, আইনের অধিকার পাই না। বিচার পাই না। এটাই হলো আসল জিনিস। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক যে আয়োজন করেছি, এটা বায়াস্ট একটা আয়োজন। একটা খুঁড়তে আরম্ভ করবেন, তারপর তারা মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের নিয়ে যাবেন না।

back to top